নয় বছর আগে চট্টগ্রাম নগরীতে এক পুলিশ কনস্টেবলকে হত্যার ঘটনায় ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
গ্রেপ্তার মো. মনির (৩০) ওই ঘটনায় জড়িত ছিনতাইকারীদের বহনকারী অটোরিকশার চালক।
এ ঘটনায় চলতি বছরের ৭ মে তিন ছিনতাইকারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দেয় আদালত। পলাতক মনিরের ১০ বছর কারাদণ্ডাদেশ হয়।
র্যাব-৭ এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক মো. নুরুল আবছার (মিডিয়া) বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, তারা নগরীর হালিশহর থেকে সোমবার মনিরকে গ্রেপ্তার করেন।
“গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি, পুলিশ সদস্য হত্যা মামলা দণ্ডিত আসামি মো. মনির নগরীর হালিশহর থানার নয়াবাজার এলাকায় আত্মগোপন করে আছে। সোমবার সন্ধ্যায় ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে মনিরকে গ্রেপ্তার করা হয়।”
গ্রেপ্তার মনির কুমিল্লা জেলার দেবীদ্বার থানার ফইয়াবাড়ি গ্রামের মৃত আবদুর রশিদের ছেলে।
র্যাব কর্মকর্তা আবছার বলেন, “পরবর্তীতে মনিরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে, সে পুলিশ সদস্য হত্যার ঘটনার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে।”
চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁঞার আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওমর ফুয়াদ জানান, মনিরকে মঙ্গলবার আদালতে হাজির করার পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এ মামলায় দণ্ডিতরা হলেন - মাবুদ দুলাল, জসিম উদ্দিন ও অর্জুন দে।
মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ১৩ জানুয়ারি রাতে নগরীর অক্সিজেন এলাকায় দায়িত্ব পালন শেষে পুলিশ কনস্টেবল মো. ফরিদ উদ্দিন আগ্রাবাদ এলাকায় নিজ বাসায় ফেরার পথে ছিনতাইকারীরা তাকে আটকে মালামাল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।
এসময় ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন তিনি। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় ডবলমুরিং থানা পুলিশের এসআই আমিনুল হক বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেন। পরবর্তীতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে। এদের মধ্যে দুজন মামলা চলাকালীন মারা যান।
২০১৫ সালের ১৭ এপ্রিল এ ঘটনায় অভিযোগপত্র দেওয়া হয় এবং ২০১৬ সালের ৫ এপ্রিল আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে ৭ মে রায় ঘোষণা করা হয়।