এ বন্দর দিয়ে মূলত চীন, পাকিস্তান, মিসর ও তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ আসে।
Published : 11 Dec 2023, 07:07 PM
চট্টগ্রাম বন্দরে দুই দিনে ২২৬ টন পেঁয়াজ এসে পৌঁছেছে; যেগুলো চীন ও পাকিস্তান থেকে আমদানি হয়েছে।
এসব পেঁয়াজ খালাসের জন্য ইতোমধ্যে ছাড়পত্রও দিয়েছে সমুদ্রবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ বিভাগ। এতে এসব পেঁয়াজ বন্দর থেকে ছাড় করতে পারবেন আমদানিকারকরা বলে জানিয়েছেন এ কেন্দ্রের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ শাহ আলম।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি জানান, সোমবার পাকিস্তান থেকে ৫৮ টন এবং এর আগের দিন চীন থেকে ১৬৮ টন পেঁয়াজ বন্দরে এসে পৌঁছেছে।
জাহাজে করে উদ্ভিদজাত কোনো পণ্য এসে পৌঁছালে বন্দরে থাকা সংগনিরোধ বিভাগের কেন্দ্রে এগুলো ছাড় করতে সনদের জন্য আবেদন করা হয়।
এ দুই চালানের আমদানিকারক আবেদন করে সনদও পেয়েছেন জানিয়ে শাহ আলম বলেন, “আমরা বন্দরে পরিদর্শন করে কোনো ধরণের পোকামাকড় ও রোগবালাই আছে কি না তা যাচাই করে ছাড়পত্র দিয়ে থাকি। এ দুটি চালানের ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এখন তারা যে কোনো সময় পেঁয়াজ খালাস করতে পারবেন।”
এর আগে চলতি বছরের জুলাই থেকে গত সপ্তাহ পর্যন্ত ২ হাজার ৪১৯ টন পেঁয়াজ বিভিন্ন দেশ থেকে সমুদ্রপথে চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছিল বলে জানান তিনি।
চট্টগ্রাম বন্দরে মূলত চীন, পাকিস্তান, মিসর ও তুরস্ক থেকে সাগর পথে পেঁয়াজ আসে।
ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের নির্দেশ দেওয়ার পর শুক্রবার বিকাল থেকে লাফিয়ে লাফিয়ে পেঁয়াজের দাম বাড়তে শুরু করে। শুক্রবার সকালের ১১০ টাকা কেজি দরের পেঁয়াজের দাম এক দিনের মধ্যে বেড়ে ২২০ টাকা পর্যন্ত হয়।
পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জসহ কয়েকটি বাজারে অভিযান চালায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের অভিযান দল।
অভিযানে গিয়ে তারা ‘পেঁয়াজ নেই’ লেখা দেখলেও কোনো কোনো আড়তের ভিতর পেঁয়াজের সন্ধান পেয়েছে।
সোমবার খাতুনগঞ্জে গিয়ে আড়তগুলোতে তেমন পেঁয়াজ দেখা যায়নি। ব্যবসায়ীদের দাবি, ভারত থেকে পেঁয়াজ না আসায় বাজারে সরবরাহ নেই।