দুটি শোভাযাত্রা কাছাকাছি এলে দুপক্ষের নেতা-কর্মীরা পাল্টাপাল্টি স্লোগান দিতে থাকে; এতে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
Published : 16 Dec 2022, 11:06 PM
বিজয় দিবসে চট্টগ্রামে দুই দলের শোভাযাত্রা মুখোমুখি হলে বিএনপিকে আগে যাওয়ার পথ করে দিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
শুক্রবার আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের দুটি শোভাযাত্রা নগরীর লাভ লেইন মোড়ে এলে মুখোমুখি হয়ে পড়ে। কাছাকাছি দূরত্বে এলে দুপক্ষের নেতাকর্মীরা পাল্টাপাল্টি স্লোগান দিতে শুরু করলে উত্তেজনারও সৃষ্টি হয়।
এসময় নওফেল মাইকে বিএনপির শোভাযাত্রাটিকে আগে রাস্তা করে দিতে বলেন।
এদিন দুপুরে এম এ আজিজ স্টেডিয়াম প্রাঙ্গণ থেকে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদের শোভাযাত্রা শুরু হয়; যেটির নেতৃত্বে ছিলেন নওফেল।
শোভাযাত্রাটি কাজীর দেউড়ি, জামালখান, চেরাগী পাহাড় মোড়, বৌদ্ধ মন্দির মোড় ঘুরে লাভ লেইনের দিকে যায়।
বিজয় শোভাযাত্রা থেকে ‘দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র’ ধ্বংসের হুঁশিয়ার নওফেলের
এর মধ্যেই আউটার স্টেডিয়ামের কাছে নুর আহম্মদ সড়কের নাসিমন ভবনে দলীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে বিজয় শোভাযাত্রা শুরু করে বিএনপি।
এ বিষয়ে নগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ইদ্রিস আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, নগর কমিটির উদ্যোগে তারা বিজয় শোভাযাত্রা শুরু করেন। কিছু দূর এগোনোর পর পুলিশ তাদের থামালেও ততক্ষণে বিজয় মেলার শোভাযাত্রাটিও কাছাকাছি চলে আসে।
“তখন দেখি উপমন্ত্রী নওফেল মিছিলের সামনে দাঁড়িয়ে গেছেন। তিনি পুলিশসহ দাঁড়িয়ে আমাদের মিছিল এগিয়ে নিতে বলেন। আমরা এগিয়ে যাই। তখন উনারা দাঁড়িয়ে আমাদের পার করে দেন।”
জানতে চাইলে নওফেল বলেন, রাজনীতিতে সহাবস্থান ও সহনশীলতায় বিশ্বাস করেন; প্রতিহিংসায় নয়। তাই বিএনপির মিছিল দেখে তাদের চলে যেতে দিয়েছি।
“কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেনি। তাদের মিছিল চলে যাওয়ার পর আমরা মিছিল নিয়ে বিজয় মঞ্চে চলে যাই। আশাকরি তারাও রাজনীতিতে প্রতিহিংসা পরিহার করে চলবে।"
এদিকে শোভাযাত্রা শুরুর আগে সরকারের বিরুদ্ধে ‘দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র’ চলছে মন্তব্য করে তা ‘ধ্বংস করার’ হুঁশিয়ারি দেন উপমন্ত্রী নওফেল।
বিএনপির শোভাযাত্রাটি আগে যেতে দেওয়ায় অনাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়ানো সম্ভব হওয়ায় হাঁফ ছেড়েছেন পুলিশ সদস্যরাও।
কোতোয়ালী থানার ওসি জাহিদুল কবীর বলেন, “দুটি মিছিল মুখোমুখি হয়ে পড়েছিল। উভয় পক্ষে অনেক লোকজন ছিল।
"তখন উপমন্ত্রী মহোদয় নিজে এগিয়ে এসে নিজেদের মিছিলটি থামিয়ে দেন। মাইকে বিএনপিকে তাদের মিছিলটি নিয়ে এগিয়ে যেতে বলেন। এতে শান্তিপূর্ণভাবে সব হয়েছে। না হলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কঠিনই হত।"
পরে বিএনপির নেতাকর্মীরা শোভাযাত্রাসহ মিছিল করে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শহীদদের শ্রদ্ধা জানায়।