ঘূর্ণিঝড় মোখা আঘাত হানার আগে সতর্কবার্তা উপেক্ষা করে পতেঙ্গা সৈকতে বিভিন্ন বয়সী মানুষ ভিড় জমিয়েছেন।
Published : 13 May 2023, 07:29 PM
প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে সকাল থেকেই চট্টগ্রামের আকাশ মেঘলা; থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিও হচ্ছে। এর মধ্যেই চট্টগ্রামের দর্শনীয় স্থান পতেঙ্গা সৈকতে বিভিন্ন বয়সী মানুষকে ভিড় করতে দেখা গেছে; মৃদু ঢেউয়ে কেউ কেউ সেরে নিচ্ছিলেন সমুদ্র-স্নান।
সতর্কতা অবলম্বনে সৈকত ছাড়তে প্রশাসনের অনুরোধ সত্ত্বেও তারা ভিড় করছেন; তবে তাদের সরাতে পুলিশ কাজ করছে বলে জানান পতেঙ্গা থানার এসআই আবদুল কাদের।
এদিকে শনিবার বিকালে জোয়ারের সময়ও পতেঙ্গা সৈকতে শান্ত সমুদ্রে হালকা ঢেউ দেখা গেছে।
প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা আঘাত হানার প্রাক্কালে নগরীর হালিশহরের গরীবে নেওয়াজ স্কুলের তিন শিক্ষক এসেছিলেন সৈকতে।
এদের একজন ছিলেন নুরুল কাদের; বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “ঘূর্ণিঝড়ের আগে সাগর দেখতে এসেছি।
“স্কুল বন্ধ, কাছেই সৈকত। এর প্রভাবে সমুদ্রের অবস্থা কেমন দেখার পাশাপাশি বেড়ানোও হল।”
একানব্বইয়ের প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ও তিনি দেখেছেন জানিয়ে চট্টগ্রামের বাঁশখালীর এই বাসিন্দা বলেন, “তখন আকাশ এক প্রকার মেঘলা ছিল, সাগরও থম মেরে ছিল। এবারও সেরকম মনে হচ্ছে।”
কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে চট্টগ্রাম বেড়াতে আসা ষাটোর্ধ্ব নমিতা ভট্টাচার্যও পরিবারের সদস্যেদর সঙ্গে এসেছেন পতেঙ্গা সৈকতে।
সতর্কতার মধ্যে সমুদ্র তীরে এসেছেন কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, “সবাই আসছে সাগর দেখতে, আমিও তাদের সঙ্গে চলে এসেছি।”
সিলেট থেকে কক্সবাজার ঘুরে চট্টগ্রামে আসা ব্যবসায়ী ইফতেখার উদ্দিন তার দুই বন্ধুকে নিয়ে পতেঙ্গা এসেছেন।
মোখা নিয়ে সতর্ক সংকেত বাড়ার পর থেকে পতেঙ্গা সৈকত ও উপকূলীয় এলাকা থেকে লোকজনকে সরিয়ে নিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে; সরাসরি গিয়েও অনুরোধ করছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
তারপরও পতেঙ্গা সৈকতে এদিন মানুষের উল্লেখযোগ্য ভিড় ছিল। নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সমুদ্রে নেমে গোসল করছেন, কেউ ভিডিও করছেন; তুলেছেন ছবিও।
সৈকত এলাকায় কিছু দোকানপাট থেকে সরঞ্জাম সরিয়ে নিলেও বেশিরভাগই এখনও রয়ে গেছে।
সৈকতের দোকানী সঞ্জয় চৌধুরী বলেন, “আমরা রাতের মধ্যেই দোকানের সরঞ্জাম সরিয়ে ফেলব। আমাদের প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে সরে যেতে।”
এ বিষয়ে সৈকতের দায়িত্বে থাকা পতেঙ্গা থানার এসআই আবদুল কাদের বলেন, “দুই দিন ধরে সৈকতে লোকজনকে আমরা সরে যেতে অনুরোধ করছি।
“তারপরও অনেকেই নিষেধ অমান্য করে সৈকতে নামছেন, ঝুঁকি নিয়ে গোসল করছেন। অনেকেই বিরূপ আবহাওয়ার মধ্যে বেড়াতে আসছেন। আমরা তাদের সরাতে কাজ করছি।”