পুলিশের বিড়ম্বনা কেউ দেখে না: সিএমপি কমিশনার

রোজার মাসে নির্মাণসামগ্রী বহনকারী বড় গাড়িগুলো রাতের নির্ধারিত সময়ে চালানোর অনুরোধ জানান তিনি।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 March 2024, 01:02 PM
Updated : 11 March 2024, 01:02 PM

রোজার মাসে চট্টগ্রাম নগরীর আইনশৃঙ্খলা ও যানজট পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় সভায় বিজিএমইএ ও সিডিএ’র কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত না হওয়ায় খেদ প্রকাশ করেছেন সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়।

সোমবার নগরীর দামপাড়া পুলিশ লাইনের মাল্টিপারপাস শেডে ব্যবসায়ী, পরিবহন সংশ্লিষ্টসহ বিভিন্ন সংগঠন ও সংস্থার প্রতিনিধিদের নিয়ে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে নগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের উত্তর জোনের উপ-কমিশনার জয়নুল আবেদীন বলেন, “জিইসি থেকে ওয়াসা পর্যন্ত সড়কে চার-তৃতীয়াংশ সড়ক বেড়া দিয়ে ঘিরে খনন করেছে নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান, যার কারণে সড়কে যানজট বাড়ছে। ষোলশহর থেকে ওয়াসা পর্যন্ত সড়কে যানজটের প্রভাব পড়বে।”

উপ-কমিশনার জয়নুল আবেদীনের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) প্রতিনিধির বক্তব্য জানতে চান। সভায় কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না।

ঈদের আগে পোশাক শ্রমিকদের বেতন-বোনাস নিয়ে অতীতের অভিজ্ঞতার আলোকে সড়ক অবরোধ ও আন্দোলনের মত বিষয় নিয়েও কথা বলেন সিএমপি কমিশনার। এসময় বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ’র কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না।

সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় খেদ প্রকাশ করে বলেন, “ঈদের আগে বেতন-বোনাস নিয়ে শ্রমিকরা আন্দোলন করে। এসময় তারা সড়ক অবরোধ করলে যানজটের সৃষ্টি হয়। পোশাক মালিকের বিষয়গুলোও তখন পুলিশকে সামাল দিতে হয়।”

রোজার মাসে নির্মাণসামগ্রী বহনকারী বড় গাড়িগুলো রাতের নির্ধারিত সময়ে চালানোর অনুরোধ জানান তিনি। এসময় নগরীর হকার উচ্ছেদ, ব্যাটারি রিকশাসহ বিভিন্ন সমস্যা নিয়েও কথা বলেন।

সিএমপি কমিশনার বলেন, “সবাই তাদের মার্কেটে ফোর্স বাড়ানোর কথা বলে-কিন্তু এত ফোর্স দেওয়া তো সম্ভব নয়। গত ২০ বছরে নগরীতে মার্কেট বড়েছে, কোথাও কোনো খালি জায়গা নেই। কিন্তু কোথাও তো রাস্তা বাড়েনি।

“আপনারা ব্যাটারি রিকশা উচ্ছেদের জন্য দাবি করছেন, আমার পুলিশ সদস্যরা রিকশা জব্দ করে থানায় আনল, কিন্তু সেগুলো রাখার তো জায়গা নেই। বিভিন্নভাবে এগুলো চলছে, তাদের ধরা হলে আপনারাই ফেইসবুকে দেবেন।”

কৃষ্ণপদ রায় বলেন, “একইভাবে আপনারা হকারদের উচ্ছেদের জন্য বলেন, কিন্তু জীবন-যাপনের অমানবিক বিষয়টি মিডিয়ায় তুলে ধরা হয়। কিন্তু আমাদের যেসব বিড়ম্বনা আসে, সেগুলো তো কেউ দেখে না।”

সভায় বক্তব্য রাখেন ট্রাফিক বিভাগের দক্ষিণ জোনের উপ-কমিশনার নাসির উদ্দিন, উপ-কমিশনার (পশ্চিম) নিহাদ আদনান তাইয়ান, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি চট্টগ্রামের সভাপতি ছালামত আলী, সাধারণ সম্পাদক মো. ইউসুফ, তামাকমুণ্ডি লেইন বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আহমেদ কবির দুলাল এবং চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স, জুনিয়র চেম্বার অব কমার্সসহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা।

সিটি করপোরেশন, ফায়ার সার্ভিসসহ বিভিন্ন সরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা আলোচনা করেন।