“বিপুল অর্থ ব্যয় করেও যে পরিমাণ কাজের অগ্রগতি হওয়ার কথা ছিল, তা হয়নি। ফলে কয়েকবছর ধরে চলা প্রকল্পের সুফল পায়নি নগরবাসী।”
Published : 31 Jan 2025, 09:16 PM
চট্টগ্রামে খাল খননের কাজে অর্থ ‘লুটপাট’ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
শুক্রবার নগরীর বারইপাড়া খাল ও সুন্নিয়া খাল পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের সামনে এসে তিনি বলেন, “জনগণের যে কাজগুলো হবে, সে কাজগুলা করা হয়নি। প্রত্যেক বছর চট্টগ্রাম পানির নিচে চলে গেছে। আমাদের দেশ তো ব্যাপক লুটপাটের শিকার হয়েছিল। আসলে প্ল্যানই ছিল অন্য কিছু।
“সমন্বয়হীনতা ছাড়াও টাকা পাচারও হয়েছে প্রচুর। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা একেবারেই খারাপ করে দেওয়া হয়েছিল, আমরা সেখান থেকে উত্তরণ করার চেষ্টা করছি।”
আদিলুর রহমান বলেন, “এতদিন এখানে কোনো কাজ হয়েছে বলে আমি মনে করি না। নদী নালা, খাল এবং শহরের ভেতর যে জলাবদ্ধতা এগুলোর কোনো খোঁজ করা হয়নি, মাটি ময়লা সমস্ত কিছু, এটা সরাতে যে উদ্যোগটা সেটা শুরু হয়েছে।
খালে পানি প্রবাহ ফেরানোই প্রধান চ্যালেঞ্জ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, “জলাবদ্ধতা প্রকল্পে খাল খননের নামে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতি এবং অর্থ লোপাট করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। বিপুল অর্থ ব্যয় করেও যে পরিমাণ কাজের অগ্রগতি হওয়ার কথা ছিল, তা হয়নি। ফলে কয়েকবছর ধরে চলা প্রকল্পের সুফল পায়নি নগরবাসী।”
এ সময় উপদেষ্টার সঙ্গে থাকা চট্টগ্রামের সিটি মেয়র শাহাদাত হোসেন বলেন, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, টাকা পাচারের পাঁয়তারা, চিন্তাভাবনা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-সিডিএ এর প্রকল্প থাকার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “আমরাও ২১টি খাল নিয়ে কাজ করছি।”
চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা প্রকল্পের অগ্রগতি ও সমস্যা নিরসনে চারজন উপদেষ্টাকে দায়িত্ব দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। এর অংশ হিসেবে শুক্রবার চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন খাল পরিদর্শন করেন উপদেষ্টা আদিলুর রহমান।
সন্ধ্যায় শিল্প উপদেষ্টার সঙ্গে জলাবদ্ধতা নিরসনে সার্কিট হাউসে মতবিনিময় করেন সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন:
চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগ
চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা: প্রকল্প ঘিরেই ভোগান্তি শেষের আশা
চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা: ১৪ হাজার কোটি টাকায় সুফল কতটা?
চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা: 'প্রকল্পগুলোর প্রয়োজনীয়তা ভেবে দেখা হবে'