তাদের মধ্যে একজন জিপিএ-৫ পেয়েছেন।
Published : 11 Jun 2024, 05:13 PM
উত্তরপত্র পুনর্মূল্যায়নের পর চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে এসএসসি পরীক্ষার ফল পাল্টেছে দুই হাজারের বেশি শিক্ষার্থীর; যাদের মধ্যে ১০২ জন অনুত্তীর্ণ থেকে উত্তীর্ণ হয়েছেন।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এ এম এম মুজিবুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, উত্তরপত্র পুনর্মূল্যায়নের পর নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮৭১ জন। আর জিপিএ ও সিজিপিএ বেড়েছে ৭০৬ জন শিক্ষার্থীর।
পাশাপাশি এক পরীক্ষার্থীর ফল ফেল এলেও পুনর্মূল্যায়নে তা জিপিএ-৫ হয়েছে বলে জানান তিনি।
গত ১২ মে মাধ্যমিকের ফল প্রকাশিত হয়। চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ছিল ৮২ দশমিক ৮০ শতাংশ।
গত বছরের তুলনায় এবার পাশের হার চার শতাংশ বাড়লেও জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে।
গত বছর জিপিএ পেয়েছিলেন রেকর্ড ১১ হাজার ৪৫০ জন পরীক্ষার্থী, এ বছর তা কমে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৮২৩ জন।
এবছর চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষার ৭৬ হাজার ৪২টি উত্তরপত্র পুনর্মূল্যায়নের জন্য ২৮ হাজার ৩৫১ জন পরীক্ষার্থী আবেদন করেছিলেন।
সবচেয়ে বেশি আবেদন জমা পড়েছে সাধারণ গণিতে, ৮ হাজার ২৯টি। ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রে জমা পড়েছে ৭ হাজার ৪৩১টি করে। এছাড়া বাংলা প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রের খাতা পুনর্মূল্যায়ন চেয়ে আবেদন করেন ৪ হাজার ৫০০ জন পরীক্ষার্থী।
বিজ্ঞান বিভাগের বিষয়গুলোর মধ্যে পদার্থ বিজ্ঞাননে ৪ হাজার ৫৭৪টি, রসায়নে ৪ হাজার ৯৫৮টি ও জীব বিজ্ঞানে ৩ হাজার ৯২০টি ও উচ্চতর গণিতে ৩ হাজার ৯২০ টি খাতা পুনর্মূল্যায়নের আবেদন জমা পড়ে।
ব্যবসায় শিক্ষা শাখার বিষয়গুলোর মধ্যে হিসাব বিজ্ঞানে ২ হাজার ৩১৮টি, ব্যবসায় উদ্যোগে ২ হাজার ৭৪টি, ফাইন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিংয়ে ১ হাজার ৩১২টি আবেদন জমা পড়ে।
মানবিক বিভাগে ভূগোলে ৩৭২, পৌরনীতিতে ৮৩৬, অর্থনীতিতে ৮২টি উত্তরপত্র পুনর্মূল্যায়নের আবেদন করেন শিক্ষার্থীরা।
সাধারণ বিজ্ঞানে ৪ হাজার ৬০০টি, কৃষি শিক্ষায় ১ হাজার ৫১৭টি, বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচিতিতে ৫ হাজার ৮০৫টি, গার্হস্থ্য বিজ্ঞানে ৬২৮টি, বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতায় ৭৩৭টি, আইসিটিতে ১ হাজার ২০৫ টি উত্তরপত্র পুনর্মূল্যায়নের আবেদন করেন পরীক্ষার্থীরা।
ইসলাম ধর্মে ৩ হাজার ৭৪৩টি, হিন্দু ধর্মে ৮৭৫টি, বৌদ্ধ ধর্মে ১৬৭টি, খ্রিষ্টান ধর্মে ১০টি করে উত্তরপত্র মূল্যায়নের আবেদন করা হয়।
চট্টগ্রাম বোর্ডে এসএসসির খাতা পুনর্মূল্যায়ন চায় ২৮ হাজার শিক্ষার্থী