চট্টগ্রামে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরতদের সরিয়ে নিতে বহুতল ভবন নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী।
ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে ভূমিধসের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি এড়ানোর আহ্বান জানিয়ে রোববার দেওয়া এক বিবৃতিতে একথা জানান তিনি।
মেয়র বলেন, জলবায়ু উদ্বাস্তুদের সংখ্যা চট্টগ্রামে দ্রুত বাড়ছে। ভবিষ্যতে পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে থাকা অধিবাসীদের সরাতে কাজ চলছে।
“ইতোমধ্যে ইউএনডিপিকে ১৮ গণ্ডা ভূমি দেওয়া হয়েছে পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে থাকা অধিবাসীদের জন্য বহুতল ভবন গড়তে।”
বরাবরই অতি বর্ষণে চট্টগ্রামে পাহাড়ে বসবাসরতদের জীবন ঝূঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। তারপরও সেখানে বসবাসরতদের সরানো যাচ্ছে না।
ঘূর্ণিঝড় মোখা উপকূল অতিক্রম করলেও এর প্রভাবে অতি বৃষ্টির আভাস রয়েছে। তাতে ভূমিধসের শঙ্কাও রয়েছে।
ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরতদের জন্য চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (সিসিসি) ৯০টি আশ্রয় কেন্দ্রে প্রস্তুত রেখেছে জানিয়ে সেখানে আশ্রয় নেওয়ার আহ্বান জানান মেয়র রেজাউল।
অবৈধভাবে পাহাড় দখল করা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অচিরেই কঠোর অভিযানের হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
এর আগে সকাল থেকে নগরীর দামপাড়ায় সিসিসি বিদ্যুৎ উপ-বিভাগ ভবনের নিচ তলায় খোলা কন্ট্রোলরুম থেকে ঘূর্ণিঝড়ের সার্বিক পরিস্থিতি ও সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করেন মেয়র।
শনিবার সকাল থেকে নগরীর কাট্টলী, পতেঙ্গা ও হালিশহর এলাকায় সাগর উপকূলে বসবাসকারীদের সরিয়ে নিতে কাজ শুরু করে সিসিসি। শনিবার সিসিসি সাগর তীরের মানুষদের মালামাল সরিয়ে নিতে যানবাহন দিয়ে সহায়তা করে।