এর মধ্যে দিয়ে পিসিটিতে বিদেশি অপারেটর রেড সি গেটওয়ে টার্মিনাল ইন্টারন্যাশনালের (আরএসজিটিআই) বাণিজ্যিক জাহাজের অপারেশনাল কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হল।
Published : 10 Jun 2024, 09:35 PM
চট্টগ্রাম বন্দরের পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনালে বিদেশি অপারেটরের তত্ত্বাবধানে প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিক জাহাজ ভিড়েছে।
সোমবার বিকালে পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনালে (পিসিটি) ‘এমভি মায়েরস্ক দাভাও’ জাহাজটি ভেড়ে।
ক্রেনযুক্ত ফিডার জাহাজটি খালি ও ভর্তি মিলিয়ে ৮০০ কন্টেইনার (প্রতিটি ২০ ফুট দৈর্ঘ্যের) ওঠানামা শেষে জাহাজটি ইন্দোনেশিয়ার বেলাওয়ান বন্দরে যাওয়ার কথা।
এর মধ্যে দিয়ে পিসিটিতে বিদেশি অপারেটর রেড সি গেটওয়ে টার্মিনাল ইন্টারন্যাশনালের (আরএসজিটিআই) বাণিজ্যিক জাহাজের অপারেশনাল কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হল। দেশে বন্দর ব্যবস্থাপনায় ‘ল্যান্ড লর্ড’ মডেলের ধারণাও প্রতিষ্ঠিত হল।
এ উপলক্ষ্যে পিসিটিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম সোহায়েল, আরএসজিটি বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী এরউইন হেইজ।
পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল বিদেশি অপারেটর দ্বারা পরিচালনার জন্য গত বছরের ডিসেম্বর মাসে সৌদি আরবকেন্দ্রিক প্রতিষ্ঠান রেড সি গেটওয়ে টার্মিনাল ইন্টারন্যাশনালের সাথে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের আনুষ্ঠানিক চুক্তি হয়।
পিসিটি চুক্তি অনুযায়ী নিজেদের অর্থে সরঞ্জাম কিনে আগামী ২২ বছর পরিচালনা করলেও পণ্যের সংরক্ষণ ও নিরাপত্তার কাজটি করবে বন্দর।
পিপিপির আওতায় সৌদি প্রতিষ্ঠানটির সাথে জিটুজি পদ্ধতিতে চুক্তি হয়েছে। সরবরাহ, পরিচালনা ও হস্তান্তরের ভিত্তিতে পরিচালনা করবে তারা।
সৌদি প্রতিষ্ঠানটি যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তিনির্ভর ব্যবস্থাপনায় ১৭ কোটি ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা জানিয়েছে।
চুক্তি অনুযায়ী এককালীন ও বার্ষিক নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ পাবে বন্দর। এছাড়া সৌদি কোম্পানি কনটেইনার ওঠানো-নামানোর জন্য শিপিং কোম্পানি ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে যে মাশুল পাবে, তা থেকে বন্দর একটা অংশ পাবে।
পতেঙ্গা টার্মিনালটির অবস্থান ড্রাইডক ও বোটক্লাবের মাঝামাঝি। টার্মিনালটিতে একসঙ্গে তিনটি জাহাজ ভেড়ানোর সুবিধা রয়েছে।
পিসিটি চালু হওয়ায় চট্টগ্রাম বন্দরে টার্মিনালের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে চারটি। বাকি তিনটি হল জিসিবি, সিসিটি ও এনসিটি। সারা দেশে আমদানি-রপ্তানি কনটেইনারের ৯৮ শতাংশই চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আনা–নেওয়া হয়। নতুন টার্মিনালটি চালু হলে ব্যবসায়ীদের পণ্য আমদানি-রপ্তানিতে সুবিধা বাড়বে বলে আশা করা যায়।
পিসিটি চালুর অনুষ্ঠানে আরএসজিটি বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী এরউইন হেইজ বলেন, “এ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আমরা বাংলাদেশের অর্থনীতি এবং বৈশ্বিক লজিস্টিক চেইনে চট্টগ্রাম বন্দরের কেন্দ্রীয় ভূমিকা বাড়াতে অবদান রাখতে চাই।”