চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের বাণিজ্যমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন, সড়কমন্ত্রীর সাথে তিনি এ নিয়ে কথা বলবেন।
Published : 10 Oct 2022, 05:16 PM
ওজন স্কেল নিয়ে সারাদেশ যে নিয়ম, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অন্য নিয়ম ‘গ্রহণযোগ্য নয়’ বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
সোমবার চট্টগ্রামের আউটার স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার আয়োজিত মাসব্যাপী আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও রপ্তানি মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ বিষয়ে কথা বলেন।
টিপু মুনশি বলেন, “ব্যবসায়ীরা বলেছেন রাস্তার লোড নিয়ে। সারাদেশের জন্য এক নিয়ম, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের জন্য আরেক নিয়ম এটা থাকা উচিত নয়। কারণ আমাদের ফাইনালি ভোক্তাদের দেখতে হবে।
“পণ্য পরিবহন লিমিট করে দিলে পণ্যের ওপর দাম বেশি পড়বে, যেটা সাধারণ মানুষের জন্য কষ্টকর হবে। সেটা রিঅরগানাইজ করা দরকার। আমি আবারো ঢাকায় গিয়ে সড়কমন্ত্রীর সাথে এ নিয়ে কথা বলব। সিস্টেমটা পাল্টাতে হবে।”
ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাংলাদেশ ৩৫টি মহাসড়কের মধ্যে কেবল ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বসানো হয়েছে ওজন স্কেল। এক কেজি ভোগ্যপণ্য চট্টগ্রামের বাইরের জেলায় নিতে কেজিতে দুই-তিন টাকা বেশি খরচ পড়ছে।
আবার কোনো বাহনে ১৩ টনের বেশি পণ্য পরিবহন করতে দেওয়া হচ্ছে না। তাতে লাভ কমে যাচ্ছে বলে ব্যবসায়ীদের ভাষ্য।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, “সারাদেশে যেভাবে আছে সেভাবে অন্তত করতে হবে। অনেক বড় গাড়ি হয়েছে, এটা নিয়ে চিন্তা করা উচিত বলে মনে করি।”
দেশের বাণিজ্য পরিস্থিতি তুলে ধরে টিপু মুনশি বলেন, “আর্ন্তজাতিক বাজারে আমাদের দেশে বিভিন্ন পণ্যের রপ্তানি বাড়ার কথা। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে লেদার গুডস, পাটজাত দ্রব্য, লাইট মেশিনারিজ, আইসিটি পণ্য, ফার্মাসিউটিক্যালস প্রডাক্ট রপ্তানি বিলিয়ন ডলার ছাড়ানোর কথা। ১৫১টি দেশে আমাদের ওষুধ রপ্তানি হয়ে থাকে।”
সামনে এ ক্ষেত্রে ‘সম্ভাবনাময় দিন’ আসছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারনির্ধারিত মূল্যে ব্যবসায়ীরা ভোগ্যপণ্য বিক্রি করছে কি না তা দেখার দায়িত্ব ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের। আগামী তিন দিনের মধ্যে তা নিশ্চিত করার কথা বলেন তিনি।
মেট্রোপলিটন চেম্বারের সভাপতি খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক, দৈনিক পূর্বকোণের প্রকাশক জসিম উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনার কৃঞ্চপদ রায় উপস্থিত ছিলেন।