চট্টগ্রাম বন্দরকে আত্মনির্ভরশীল হওয়ার তাগিদ।
Published : 03 Feb 2023, 10:28 PM
অন্য পেশার তুলনায় রাজনীতিকদের দায়বদ্ধতা বেশি বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমান।
তিনি বলেছেন, “রাজনীতিবিদ ও অন্যদের ভেতরে একটা তফাত হল রাজনীতিবিদদের সামনে যে সমস্যাটা সেটার সমাধানে দেরি করতে পারে না। এবং সেই সমস্যাটা অস্বীকারও করার কোনো উপায় নেই। ব্যক্তিজীবনে বা পেশাজীবনে আমি যদি একটা জিনিসকে না দেখে না বুঝি সমস্যাটা কী...। তখন রেখে দিই, সন্ধ্যার সময় আবার দেখব।
“কিন্তু রাজনীতিবিদের কাছে যখন ১০ জন লোক এসে বলে বাজারে ওই জিনিসের দাম বেড়েছে রাজনীতিবিদ বলতে পারে না তুমি বাসায় যাও। আমি খোঁজ নিয়ে দেখব দাম কে বাড়াল, কেন বাড়ল দাম।”
শুক্রবার রাতে বন্দরনগরীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে চট্টগ্রাম মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব ডা. এ এস এম ফজলুল করিমের স্মরণসভায় তিনি এমন মন্তব্য করেন।
মসিউর বলেন, “রাজনীতিবিদের এই দায়বদ্ধতা এবং বাধ্যবাধকতা- এটা আমরা অনেক সময় বুঝি না। আমি এটা বেশি করে বললাম এজন্য- আমার প্রাথমিক অভিজ্ঞতা হল যেটাকে আপনারা বলেন, ওই আমলা হিসেবে আর বেশি উত্তেজিত হয়ে বলেন যখন-রাজনীতিবিদ; এ দুটো অপরাধই আমি করেছি- সেজন্য।”
চট্টগ্রামের বিষয়ে তিনি বলেন, “চট্টগ্রামের একটা বড় বৈশিষ্ট্য আছে, যেটা বাংলাদেশের অন্য কোনো শহরের নেই। সে বৈশিষ্ট্য হলো আমাদের যে প্রধান বন্দরটাই হল চট্টগ্রাম। এবং চট্টগ্রাম বন্দর যদি সচল না থাকে তাহলে বাংলাদেশের অন্য যে কোনো অঞ্চলে শিল্প বাণিজ্য ও স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় বিভিন্ন রকম অসুবিধার সৃষ্টি হয়।
“এই বৈশিষ্ট্যকে রাখা এবং একে আরও সমৃদ্ধ করার ক্ষমতাটা একান্তই দরকার। যেটা আপনারা অনেকে বলেছেন, সরকারের সহায়তা বাড়ানো বা সরকারের আর্থিক সহায়তা ইত্যাদি। সেগুলো আছে। কিন্তু তার চেয়ে বড় প্রশ্ন হল চট্টগ্রামের নিজের পায়ে দাঁড়ানোর ক্ষমতা কতটুকু।”
প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, “যদি চট্টগ্রাম বন্দরের নিজের পায়ে দাঁড়ানোর ক্ষমতা না থাকে- তাহলে সারাদেশের উপরে তার একটা প্রভাব পড়ে। সেজন্য আমাদের প্রথম চেষ্টা করতে হবে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর।
“এর পরে যেহেতু এটা প্রধান বন্দর এটাকে সচল রাখতে এবং এটা যাতে সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হয় সেজন্য সরকারের সহায়তা, সরকারের নজর তো অবশ্যই থাকতে হবে। কিন্তু সেই নজরটা নিজের উদ্যোগের বিকল্প না।”
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত।