চট্টগ্রামে ওসিসহ ১৪ পুলিশের বিরুদ্ধে ঘুষ দাবির মামলা

আদালত মামলা আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Sept 2022, 10:21 AM
Updated : 23 Sept 2022, 10:21 AM

চট্টগ্রামে বায়েজীদ বোস্তামি থানার সাবেক ওসিসহ ১৪ জন পুলিশের সদস্য এবং এক সোর্সের বিরুদ্ধে ‘চাঁদা’ দাবির অভিযোগে মামলা হয়েছে।

নগরীর আমিন জুট মিল এলাকার বাসিন্দা মো. রুবেল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের হাকিম আদালতে এ মামলা করেন।

মহানগর হাকিম মো. অলি উল্লাহ অভিযোগ আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

বায়েজিদ বোস্তামী থানার সাবেক ওসি মো. কামরুজ্জামান বর্তমানে নীলফামারী থানায় কর্মরত। বাকি আসামিরা হলেন: ওই থানার এসআই আজাহার ইসলাম, মনিরুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম, নাজিবুল ইসলাম, তানভীরুল আজম, বশির গাজী ও আসাদুর রহমান, এএসআই মো. শাহাদাত, আবুল হাশেম, সাইফুল ইসলাম, আবদুল মালেক, লিটন শীল ও মো. রবিউল এবং পুলিশের সোর্স মো. শাহজাহান।

বাদীর আইনজীবী আজিজুল হক আদিল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কোনো পরোয়ানা ছাড়াই গত বছরের ২৫ নভেম্বর একটি হোটেলের সামনে থেকে রুবেলকে আটক করে পুলিশ। তিন লাখ টাকা চাঁদা চেয়ে না পাওয়ায় তাকে (রুবেল) গ্রেপ্তার দেখিয়ে ইয়াবা ও অস্ত্রের মামলা দেয়।”

মামলার এজাহারে বলা হয়, “সেদিন আটকের পর রুবেলের পকেটে থাকা সাড়ে ২৩ হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন কেড়ে নেয় পুলিশ। “

আইনজীবী আজিজুল হক আদিল বলেন, ‘চাঁদা দাবি, মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো, ভাঙচুর এবং টাকা ও মোবাইল কেড়ে নেওয়ার’ অভিযোগ করা হয়েছে তাদের মামলায়।

“এতদিন রুবলে কারাগারে থাকায় মামলা করতে পারেননি। ১৫ সেপ্টেম্বর তিনি জামিন পান।”

আদালত বাদীর বক্তব্য শুনে পিবিআইয়ের সহকারী পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কোনো কর্মকর্তাকে দিয়ে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান আইনজীবী আদিল।

ওসি মো. কামরুজ্জামানের দাবি, রুবেল একজন ‘মাদক’ ব্যবসায়ী এবং তার কাছে চাঁদা দাবির কোনো ঘটনা ঘটেনি।

অভিযোগের বিষয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রশ্নের উত্তরে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, “মো. রুবেল এর আগেও কয়েকবার ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার হয়েছিল। নিজেকে পুলিশের সোর্স পরিচয় দিয়ে মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়াত। “

গত বছর রুবেলকে মাদকের মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান ওসি কামরুজ্জামান।