চট্টগ্রাম ১০ আসনের সংসদ সদস্য আফছারুল আমীনের জানাজায় অংশ নিয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।
শনিবার বিকালে চট্টগ্রাম নগরীর জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ প্রাঙ্গণে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার বিকালে প্রবীণ এ রাজনীতিক মারা যান। শনিবার দুপুরে হেলিকপ্টার যোগে তার মরদেহ চট্টগ্রামে আনা হয়।
চট্টগ্রামে জানাজায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী বলেন, প্রয়াত জননেতা ডা. আফছারুল আমীন মন্ত্রী, জনপ্রতিনিধি এবং সংগঠনের প্রথম সারির নেতা হিসেবে মানুষকে যে সেবা প্রদান করে গেছেন তা স্মৃতিতে সমুজ্জল হয়ে থাকবে।
নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন প্রয়াত সংসদ সদস্যকে অনুসরণ ও অন্তরে ধারণ করে স্মৃতিতে-স্মরণে জাগিয়ে রাখার আহ্বান জানান।
জানাজায় অন্যদের মধ্যে অংশ নেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, হুইপ সামশুল হক, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ ছালাম, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, উত্তর জেলার সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম, নোমান আল মাহমুদ, আশিকুল্লাহ রফিক, এম.এ লতিফ, দিদারুল আলম, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।
পরে সন্ধ্যায় নগরীর দক্ষিণ কাট্টলীতে প্রাণহরি আমীন একাডেমি প্রাঙ্গণে আফছারুল আমীনের শেষ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সবশেষ নিজ এলাকায় তার দাফন সম্পন্ন হয়।
এর আগে ঢাকায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণে আফছারুল আমীনের প্রথম জানাজা হয়।
পেশায় চিকিৎসক আফছারুল আমীন ১৯৯১ সালে প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ের পর বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে মানুষের সেবা করে আলোচনায় আসেন। এরপর তিনি পান নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতির দায়িত্ব।
চট্টগ্রাম ১০ আসন থেকে তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। কাজ করেছেন নৌ মন্ত্রী এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী হিসেবেও। সবশেষ তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সভাপতি পদে ছিলেন।
রাজনীতির ও চিকিৎসা সেবা প্রদানের পাশাপাশি শিক্ষাখাতেও অবদান রেখেছেন আফছারুল আমীন। নগরীর দক্ষিণ কাট্টলী এলাকায় তার পৃষ্ঠপোষকতায় গড়ে ওঠে ‘প্রাণহরি আমীন একাডেমি’। এই একাডেমির অধীনে এবং এর বাইরেও একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন তিনি।