অবস্থান কর্মসূচি শেষে তারা প্রক্টরের কাছে স্মারকলিপি দেন।
Published : 09 Feb 2024, 03:57 PM
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যে দুটি মামলা করেছে, তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
রোববার দুপুরে ক্যাম্পাসের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে ‘সাধারণ শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়’ ব্যানারে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। সেখানে মামলা প্রত্যাহারসহ চার দফা দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
তাদের দাবি চারটি হলো- শিক্ষার্থীদের নামে দেওয়া অজ্ঞাতনামা মামলা প্রত্যাহার, আহত শিক্ষার্থীদের পরিপূর্ণ সুস্থতার ভার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নেওয়া, শাটল ট্রেনে সবার সিট নিশ্চিত করা, ফিটনেসবিহীন বগি ও ইঞ্জিন সংস্কার করা এবং বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেলে অভিজ্ঞ চিকিৎসক ও পর্যাপ্ত ওষুধের ব্যবস্থা করা।
অবস্থান কর্মসূচি শেষে তারা প্রক্টরের কাছে স্মারকলিপি দেন। এরপর এসব দাবিতে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ কর্মসূচি পালন করা হয়।
বৃহস্পতিবার রাতে নগরী থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়গামী শাটল ট্রেন চৌধুরীহাট স্টেশনের কাছে পৌঁছালে সেখানে একটি ভেঙে পড়া গাছের সাথে ধাক্কা খায় ট্রেনের ছাদে থাকা শিক্ষার্থীরা। এতে কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়।
রাতেই শিক্ষার্থীদের একাংশ উপাচার্যের বাসভবনে গিয়ে সেখানে ভাংচুর চালায়। তার পরে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের একটি দল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন দপ্তরে গিয়ে সেখানে থাকা শিক্ষকদের বেশ কয়েকটি বাস ভাংচুর করে। এ সময় সেখানে থাকা ২৪টি বাস, ১৫টি মাইক্রোবাস ও প্রাইভেট কার ও একটি মোটর সাইকেল ভাংচুর করা হয়।
এরপর শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ক্লাবেও হামলা চালায়। সেখানে আসবাবপত্র ভাংচুর করে। সেখানে থাকা শিক্ষকরা একটি কক্ষে আশ্রয় নেন।
(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)