চোরাই মোটর সাইকেলের ইঞ্জিন ও চেসিস নম্বর পাল্টে দিয়ে ভুয়া কাগজপত্র বানিয়ে বিক্রির সঙ্গে জড়িত একটি চক্রের তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ।
Published : 03 Feb 2022, 05:43 PM
গ্রেপ্তাররা হলেন- আবুল কালাম আজাদ (২২), মো. সাকিব (২৩) ও দোলন দাশ (২৩)। এরা তিনজনই মোটর সাইকেল মেকানিক।
একটি মোটর সাইকেল চুরির মামলায় বুধবার সীতাকুণ্ডের ছলিমপুর থেকে কালাম ও সাকিবকে মোটর সাইকেলসহ গ্রেপ্তারের পর নগরীর কদমতলী এলাকা থেকে দোলনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ বলছে, এ চক্রটি বিভিন্ন স্থান থেকে মোটর সাইকেল চুরি করে সেগুলোর ইঞ্জিন ও চেসিস নম্বর পাল্টে ভুয়া কাগজপত্র বানিয়ে পুরনো গাড়ি হিসেবে বিক্রি করে।
বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিভিন্ন স্থানে চুরি করা মোটর সাইকেলগুলো তারা কদমতলী এলাকায় নিয়ে নম্বর পাল্টে ফেলে।
“গ্রেপ্তার দোলন কদমতলী এলাকার মোটর সাইকেল মেকানিক। সে চুরি করা গাড়ির নম্বর নিখুঁত ভাবে পাল্টে ফেলে। এজন্য সে আট হাজার টাকা করে নিত।”
গ্রেপ্তার তিনজনের সঙ্গে আরও একজন জড়িত আছে জানিয়ে ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, কালাম ও সাকিব আগে চৌধুরীহাট এলাকায় থাকতেন এবং গ্যারেজে কাজ করতেন।
“আলাদা দুটি মোটর সাইকেল চুরির ঘটনায় স্থানীয়রা তাদের এলাকা থেকে বিতারিত করে। পরে সীতাকুণ্ডের সলিমপুর লতিফ নগরে বসবাস শুরু করে এবং চোরাই মোটর সাইকেল কেনা বেচায় জড়িয়ে যায়।
“আগে চৌধুরীহাটে থাকার কারণে সেখানকার আশেপাশের এলাকা তাদের কাছে পরিচিত ছিল। তারা দুইজন এবং তাদের পলাতক অপর সহযোগী বিভিন্ন স্থান থেকে মোটর সাইকেল চুরি করত।”
ওসি জানান, চুরি করা মোটর সাইকেলগুলো তারা মডেল অনুযায়ী নিবন্ধন, ইঞ্জিন এবং চেসিস নম্বর পাল্টে ভুয়া কাগজ তৈরি করত। পরে সেগুলো পুরনো মোটর সাইকেল ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করে দিত।
বায়েজিদ থানার ওসি জানান, গত ৬ জানুয়ারি বালুছড়া আনোয়ারুল আজিম রোডের একটি বাড়ির নিচ তলার পার্কিং থেকে সুজুকি জিক্সার মডেলের মোটর সাইকেল চুরির ঘটনায় একটি মামলা হয়।
“মামলার সূত্র ধরে কালাম ও সাকিবকে গ্রেপ্তারের পর মোটর সাইকেলটি উদ্ধার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যে ইঞ্জিন ও চেসিস নম্বর পাল্টে ফেলার কারিগর দোলনকে গ্রেপ্তার করা হয়।”