মঙ্গলবার চট্টগ্রামের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলাম রায়ের নতুন তারিখ দেন। এর আগে গত ১২ ডিসেম্বর রায় ঘোষণার জন্য ১১ জানুয়ারি দিন নির্ধারণ করেছিল আদালত।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আজ রায় ঘোষণার কথা ছিল। কিন্তু রায় প্রস্তুত না হওয়ায় নতুন করে তারিখ দেওয়া হয়েছে।”
আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) লোকমান হোসেন চৌধুরী জানান,এ মামলায় আগামী ২৭ জানুয়ারি রায় ঘোষণার জন্য পরবর্তী দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।
২০১৫ সালের ২১ জানুয়ারি রাতে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার রানীরহাট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মূল ফটকের কাছে জিল্লুর রহমান ওরফে জিল্লুর ভাণ্ডারিকে মারধরের পর গুলি করে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই মোহাম্মদ আজিম উদ্দিন রাঙ্গুনিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন। পরে ২০১৬ সালের ৯ অক্টোবর ১৩ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ- সিআইডি।
২০১৯ সালের ২৮ মে ১৩ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়। মামলার অভিযোগপত্রে মোট ২৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৩ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
এই মামলার পলাতক আসামি রমিজ উদ্দিন ওরফে রঞ্জুকে গত ২ জানুয়ারি রাতে পটিয়া উপজেলার চট্টগ্রাম-কক্সবাজার বাইপাস সড়ক থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
আসামিদের মধ্যে রঞ্জু, শহীদুল ইসলাম খোকন ও জাহাঙ্গীর কারাগারে আছেন। বাকিদের মধ্যে ইসমাইল, জসিম, কামাল, আবু, তোতাইয়া, নাছির ও সুমন পলাতক এবং আজিম, নাজিম ও শাহাব উদ্দিন জামিনে আছেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, জিল্লুর ভাণ্ডারির ভাই মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন বাবলুকে ঘটনার তিনমাস আগে কাতার নেন আসামি ইসমাইল ওরফে পিস্তল ইসমাইলের ভাই মোহাম্মদ জব্বার।
পরবর্তীতে ভিসা জটিলতা নিয়ে বাবলুর সঙ্গে জব্বারের কথা কাটাকাটি হয়। এ অবস্থায় বাবলুর ভিসা বাতিল করে তাকে দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেন জব্বার।
২০১৫ সালের ২০ জানুয়ারি রাতে জব্বারের ভাই ইসমাইলকে রানিরহাট বাজারে পেয়ে জিল্লুর ভাণ্ডারি তার ছোট ভাইকে দেশে ফেরত পাঠানোর কারণ জানতে চান।
এজাহারে বলা হয়, এসময় ভিসা বাবদ দেওয়া ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ফেরত চান জিল্লুর। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরদিন রাতে জিল্লুরকে একা পেয়ে মারধর করে আসামিরা। এক পর্যায়ে তার পায়ে গুলি করা হয়।
আহত অবস্থায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে রাতেই তার মৃত্যু হয়।
জিল্লুর ভাণ্ডারির ছোট ভাই মোহাম্মদ আজিম উদ্দিনের করা মামলায় ৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছিল। অজ্ঞাত আসামি করা হয় আরও চার-পাঁচ জনকে।