‘ভোট ডাকাতির’ মুখোশ উন্মোচনে শেষ পর্যন্ত থাকব: শাহাদাত

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নিজের ভোট দিয়ে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন ভোটের পরিবেশ নিয়ে নানা অভিযোগ তুলেছেন।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Jan 2021, 05:52 AM
Updated : 27 Jan 2021, 08:38 AM

তিনি বলছেন, বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে তার এজেন্টদের ‘বের করে দেওয়া’ হয়েছে, এমনকি এজেন্টদের ‘মারধর’ এবং ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে ‘না দেওয়ার’ অভিযোগও তিনি পেয়েছেন।

বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় নগরীর ১৭ নম্বর পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ডের টিচার্স ট্রেনিং কলেজ একাডেমিক ভবন-১ এ ভোট দেন তিনি।

এরপর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শাহাদাত বলেন, “এখন নির্বাচনটা নির্যাতনে, প্রহসনে পরিণত হয়েছে। জাস্ট বলে দিলে হত ভাই মেয়রে ইলেকশন করার দরকার নেই। তাহলে আমি ইলেকশন করতাম না।

“এই যে একটা প্রহসনের নির্বাচন। জনগণকে ধোঁকা দেওয়া, তাদের গায়ে হাত দেওয়া। নির্যাতন করা। বাংলাদেশের মানুষ অনেক ইমোশনাল। তারা কিন্তু জেগে উঠবে। যখন জেগে উঠবে তখন ভয়ঙ্কর হবে।”

এত অভিযোগের পরও শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকছেন কিনা জানতে চাইলে শাহাদাত বলেন, “আমি একজন মাঠের রাজনীতিবিদ। ছাত্র রাজনীতি করে উঠে এসেছি। চট্টগ্রামেই আমার বাস। আমি অন্য জায়গা থেকে উড়ে আসিনি। শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকব, আওয়ামী ভোট ডাকাতির মুখোশ উন্মোচন করব।”

ভোটের পরিস্থিতি তুলে ধরতে গিয়ে ডা. শাহাদাত বলেন, “আড়াই ঘণ্টা ভোট হয়েছে। সকাল ৬টা থেকে চিত্র আপনাদের বলতে পারি। ৬টা থেকে ফোন আসছিল। ভোটাররা প্রস্তুতি নিয়েছিল কেন্দ্রে যেতে। তারা জানিয়েছে, ঘরের সামনে বহিরাগতরা দাঁড়িয়ে আছে । আমার অনেক মহিলা নেত্রী, যারা হয়ত বা ভোটার নিয়ে কেন্দ্রে যাবে, তাদের ঘরে ঘরে সন্ত্রাসী দাঁড়িয়ে আছে। তারা ভোট দিতে যেতে পারছে না।

“৭টার পর থেকে আমাদের বিভিন্ন প্রার্থী ও এজেন্টদের সেন্টার থেকে বের করে দেওয়া হচ্ছে। তাদের গায়ে হাত তোলা হচ্ছে। তাদের রক্তাক্ত করা হচ্ছে। লাঞ্ছিত করা হচ্ছে। এই যে একটা চিত্র, এটা কিন্তু অসম্ভব এক প্রহসন।”

এ সময় সেখানে উপস্থিত বিএনপির কয়েকজন এজেন্ট উচ্চস্বরে বলতে থাকেন, তাদেরও কেন্দ্র থেকে ‘বের করে দেওয়া হয়েছে’।

শাহাদাত বলেন, “এই যে দেখেন, এজেন্টগুলোকে বের করে দিচ্ছে। মহিলাদের গায়ে হাত তুলছে। প্রশাসন সেটা দেখেও না দেখার ভান করছে। এর চেয়ে জঘন্য আর কিছু হতে পারে না। আজকে যাদের কাছ থেকে সুষ্ঠু সুন্দর অংশগ্রহণমূলক ভোট আশা করেছিলাম, সেখানে দেখছি ভোট ডাকাতির আরেকটি ইতিহাস রচনা করতে চাচ্ছে। গত ১২ বছরের ইতিহাসে তাদের কোনো রেকর্ড নেই সুষ্ঠু ভোট করার।

“নির্বাচন শেষ পর্যন্ত আমি দেখব। তাদের এ নগ্নতা, এ পাষণ্ডতা, এ অমানবিকতা, এই ভোট ডাকাতির ইতিহাস শেষ পর্যন্ত আরেকটি ইতিহাস তারা রচনা করবে। তা আপনাদের মাধ্যমে সারা পৃথিবীর মানুষকে জানাতে চাই।”

সকাল ১০টায় ওই কেন্দ্রে গিয়ে বিএনপির মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীর কোনো এজেন্টকে দেখা যায়নি।

তবে প্রিজাইডিং অফিসার হাবিবুর রহমান বলেছেন, সকাল থেকে বিএনপির এজেন্টরা কেন্দ্রেই ‘আসেননি’।