সেই ফলাহারিয়ায় আবারও ৩ বনকর্মীকে মারধর

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় বন বিভাগের পাহাড়ি জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মাণের বাধা দেওয়ায় তিন বনকর্মীকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Jan 2021, 12:41 PM
Updated : 19 Jan 2021, 12:51 PM

রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের ফলাহারিয়া এলাকায় সোমবার এ ঘটনা ঘটে, যেখানে এমন ঘটনা আগেও ঘটেছিল।

আহতরা হলেন- খুরুশিয়া বনবিট কর্মকর্তা শাহ আলম হাওলাদার (৫৫), বন প্রহরী আলী আকবর (৩৫) ও আবু তাহের (৫৪)।  

হামলার জন্য বন বিভাগের কর্মীরা পাহড়ি এলাকায় গড়ে তোলা ‘জ্ঞানশরণ মহাঅরণ্য’ বৌদ্ধ বিহারের অনুসারীদের দায়ী করেছেন।

হামলাকারী হিসেবে ছয়জনের নাম উল্লেখের পাশাপাশি অজ্ঞাতনামা আরও ২৫ জনকে আসামি করে রাঙ্গুনিয়া থানায় একটি মামলা করেছেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের খুরুশিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. আশরাফুল ইসলাম।

মামলার পর পুলিশ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে বলে জানান রাঙ্গুনিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহবুব মিল্কী।

গ্রেপ্তার চারজন হলেন- টিপু বড়ুয়া (৩২) ও বিদর্শন বড়ুয়া (৩৫), নিখিল বড়ুয়া ও দীপক বড়ুয়া। তাদের মধ্যে টিপু ও বিদর্শনের নাম মামলার এজাহারে রয়েছে বলে জানান পুলিশ পরিদর্শক মাহবুব।

তিনি বলেন, এজাহারনামীয় দুজন ছাড়া বাকি দুজনকে মামলার বাদী শনাক্ত করেছে। এর আগেও বন বিভাগের পক্ষ থেকে দুটি মামলা করা হয়েছিল। তারা সে মামলায়ও তারা আসামি ছিলেন।

খুরুশিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বৌদ্ধ ভান্তে শরণংকর থেরো রাঙ্গুনিয়া উপজেলার খুরুশিয়া রেঞ্জের সংরক্ষিত বনের ফলাহারিয়া মৌজার প্রায় ৫০ একর জায়গা দখল করে মন্দিরসহ স্থাপনা নির্মাণ করেছেন। বিভিন্ন সময়ে তাকে বাধা দেওয়া হলেও আদেশ অমান্য করে স্থাপনা নির্মাণ অব্যাহত রেখেছেন। এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য বন বিভাগের পক্ষ থেকে মামলাও করা হয়েছে।

তিনি বলেন, “সোমবার তার অনুসারীরা পাহাড়ের নিচে সিমেন্ট ও সুরকি নিয়ে যাচ্ছিলেন আরও স্থাপনা নির্মাণের জন্য। খবর পেয়ে আমিসহ বনবিভাগের কর্মীরা গিয়ে বাধা দিলে আমাদের এলোপাতাড়ি মারধর করা হয়।”

এই বিষয়ে শরণংকর কিংবা ‘জ্ঞানশরণ মহাঅরণ্য’ বিহারের কারও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

তবে শরণংকর থেরো এর আগে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জিজ্ঞাসায় স্বীকার করেছিলেন যে সরকারি জমিতেই তিনি বিহার প্রতিষ্ঠা করেন।

তবে বন বিভাগের অন্য সব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছিলেন তিনি।