নগরীর পাহাড়তলীতে প্রায় সাত একর জমির উপর সাড়ে ছয় লাখ বর্গফুটের পাঁচটি ভবনে এই জেনারেল হাসপাতালটি এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায়।
সোমবার হাসপাতাল প্রাঙ্গণে ইমপেরিয়াল হসপিটাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেন বলেন, “বৃহত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলে ভালো চিকিৎসা সেবা নেই। এ খাতে জনশক্তি তৈরি না হলে ভালো সেবা দেয়া সম্ভব নয়। এজন্য ডাক্তার, নার্স এবং টেকনিশিয়ানদের প্রশিক্ষণ চলছে। ৫২ জন বিদেশি প্রশিক্ষক এ কাজ পরিচালনা করছেন।”
হাসপাতালের বহির্বিভাগে ৬২ জন কনসালটেন্ট নিয়মিত সেবা দেবেন।
এতে থাকছে ৬৪টি ক্রিটিকাল কেয়ার বেড, ৪৪ শয্যার নিওনেটাল ইউনিট, আট শয্যার পেডিয়াট্রিক আইসিইউ এবং ১৪টি মডিউলার অপারেশন থিয়েটার।
ভারতের নারায়ণা হেলথ কেয়ার সেন্টারের সঙ্গে যৌথভাবে কার্ডিয়াক সেন্টারটি পরিচালিত হবে বলে জানান রবিউল।
তিনি বলেন, “আমরা একটি পেপারলেস হাসপাতাল করতে চাই। যে কোনো রোগী একবার তার তথ্য দিলে তা অনলাইনে পাবেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার তথ্যও অনলাইনে পাওয়া যাবে। কনসালটেন্ট যে কোনো স্থান থেকে ইন্টারনেটে ওই তথ্য দেখে পরামর্শ দিতে পারবেন।”
বেসরকারি এই হাসপাতালে আছে ৮৮ টি সিঙ্গেল কেবিন ও ৭৬ টি ডাবল কেবিন।
পাশাপাশি বিশেষায়িত ব্লাড ব্যাংক, ফিজিক্যাল মেডিসিন, ডায়ালাইসিস, ডায়াগনস্টিক, থেরাপি, বায়ো-কেমিক্যাল এবং প্যাথলজিক্যাল টেস্টের জন্য আছে ২৩ টি ল্যাব।
লাইফ সাপোর্টভিত্তিক অ্যাম্বুলেন্স এবং মুমূর্ষু রোগীকে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে স্থানান্তরের জন্য হেলিপ্যাডও আছে হাসপাতালটিতে।
হাসপাতালের ব্যবস্থাপক (মার্কেটিং এন্ড পাবলিক রিলেশন) শেখ আবদুস সালাম জানান, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক স্থাপত্য সংস্থার নকশানুযায়ী প্রতিষ্ঠানটি সম্পূর্ণ অগ্নিঝুঁকি মুক্ত ও প্রাকৃতিক দুযোর্গের আঘাত সহনশীল সরঞ্জাম দিয়ে নির্মিত হয়েছে।
আগামী এক মাসের মধ্যে হাসপাতালের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করার আশাবাদ জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।