সোমবার চট্টগ্রামের মহানগর হাকিম মো. সফি উদ্দিন এ আদেশ দেন।
একই মামলায় কিছুদিন কারাগারে থাকার পর গত ১২ নভেম্বর মুক্তি পেয়েছেন আমীর খসরু।
ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনায় গত ৫ অগাস্ট কুমিল্লা জেলার বরুড়া থেকে নাওমিকে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
সোমবার কুমিল্লা থেকে এনে চট্টগ্রামের আদালতে তাকে হাজির করা হয়।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী সাহাবুদ্দিন আহমদ বিডিনিউজে টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলায় নাওমিকে আদালতে হাজির করে গ্রেপ্তারের আবেদন করা হয় পুলিশের পক্ষ থেকে।
“আদালত শুনানি শেষে তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দিয়েছেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।”
গত অগাস্টে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে ফেইসবুকে আসা একটি অডিওতে কুমিল্লা থেকে ‘নাওমি’ নামের একজনের সঙ্গে ‘আমীর খসরু’র কথোপকথন শোনা যায়।
ভাইরাল হওয়া অডিওতে নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে ‘মানুষজনকে নামতে’ বলতে শোনা যায় আমীর খসরুকে।
ওই ঘটনায় চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর ৪ অগাস্ট তথ্যপ্রযুক্তি আইনে আমীর খসরুর বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় এই মামলা করেন।
এই মামলায় ২৭ অগাস্ট হাই কোর্ট থেকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন নেন খসরু। এরপর ২১ অক্টোবর চট্টগ্রামের জজ আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠায়।
গত ৪ নভেম্বর হাই কোর্ট আমীর খসরুকে অন্তবর্তীকালীন জামিন দিলে ১২ নভেম্বর তিনি মুক্তি পান।