চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বণিক জানান, জামিনের কাগজপত্র হাতে পাওয়ার পর তা যাচাই বাছাই করে সোমবার সকালে খসরুকে মুক্তি দেওয়া হয়।
নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় নওমী নামে একজনের সঙ্গে আমীর খসরুর কথিত ফোনালাপ ফাঁস হয়ে যায়।
ওই ঘটনায় চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর গত ৪ অগাস্ট তথ্য প্রযুক্তি আইনে আমীর খসরুর বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় এ মামলা করেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, “বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছিলেন। ইলেকট্রনিকস ডিভাইস ব্যবহারের মাধ্যমে রাষ্ট্রে নৈরাজ্য সৃষ্টির উদ্দেশ্যে তিনি উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন।”
এ মামলায় গত ২৭ অগাস্ট হাই কোর্ট থেকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন নিয়েছিলেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী; যা পরে আপিল বিভাগও বহাল রাখে।
এ আগাম জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই গত ৭ অক্টোবর চট্টগ্রামের জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। ২১ অক্টোবর আদালত জামিন নামঞ্জুর করে খসরুকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।
ওই আদেশ চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে জামিন আবেদন করেছিলেন খসরু। বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি জাফর আহমেদের হাই কোর্ট বেঞ্চ গত ৪ নভেম্বর তা মঞ্জুর করে তাকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেয়।