শুক্রবার রাত ১১টা ২২ মিনিটে নিজের ফেইসবুক পাতায় এই ভিডিও পোস্ট করেন নগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক নাছির।
শনিবার সকালে জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদ মাঠে নগরীর প্রধান ঈদের নামাজ শেষে বিএনপি নেতারাও নগরীর জলাবদ্ধতা নিয়ে সমালোচনা করেন।
ভিডিও বার্তায় মেয়র নাছির চট্টগ্রামবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, “আশা করি এবারের ঈদ চট্টগ্রামবাসীর জন্য আনন্দ বয়ে আনবে। যেহেতু বৃষ্টি চলছে, আজকেও (শুক্রবার) বৃষ্টি হয়েছে। এবং আবহাওয়ার পূর্বাভাস হচ্ছে আগামীকালও (শনিবার) বৃষ্টি হতে পারে।
“বৃষ্টির কারণে দীর্ঘদিনের যে সমস্যা- জলাবদ্ধতা, নগরের বেশ কিছু এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। এর কারণে অনেকের ঈদের আনন্দ উপভোগে এক ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে। এজন্য জনগণের যে সাময়িক অসুবিধা বা দুর্ভোগ, এক জনপ্রতিনিধি হিসেবে নগরবাসীর এই দুঃসময়ে আমি আন্তরিকভাবে দুঃখ ও সহানুভূতি প্রকাশ করছি।”
‘নগরবাসীর কষ্টে অংশীদার হওয়ার জন্য’ নিজের চীন সফর বাতিলের কথাও বলেন মেয়র।
চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা দীর করতে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) যে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে, তাতে ফল আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
শনিবার ঈদের দিনও নগরীর কিছু এলাকায় পানি জমে ছিল।
গত ৯ অগাস্ট ‘চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে খাল পুনঃখনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন’ নামে পাঁচ হাজার ৬১৬ কোটি টাকার একটি প্রকল্প একনেকে অনুমোদন পায়।
গত ২৮ এপ্রিল এই প্রকল্পের কাজ শুরুর দিন বাস্তবায়নকারী সংস্থা সিডিএ’র চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম আগামী বর্ষায় ‘দৃশ্যমান পরিবর্তনের’ আশ্বাস দিয়ে এই বর্ষায় জন্য নগরবাসীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) উদ্যোগে নেওয়া এ প্রকল্প বাস্তবায়নে স্থানীয় সরকার, গণপূর্ত ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠনেরও নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।
ওই প্রকল্পের আওতায় খালের মাটি খনন, কাদা অপসারণ, নালা সংস্কার ও নির্মাণসহ বৈদ্যুতিক বাতি স্থাপনের কাজও সিডিএ করবে।
এই প্রকল্পে শুরুতে ‘অসঙ্গতি’ থাকার কথা বললেও গত ৯ এপ্রিল সেনাবাহিনীর সঙ্গে সিডিএ’র সমঝোতা স্মারক সাক্ষর অনুষ্ঠানে এসে বাস্তবায়নে সহযোগিতার আশ্বাস দেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন।
সিডিএ’র নেওয়া এ প্রকল্পের বাস্তবায়ন করছে সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোর।
দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই নগরীর জলাবদ্ধতা ইস্যুতে সমালোচনার মুখে ছিলেন মেয়র নাছির। তার আগের দুই মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী এবং মনজুর আলমও জলাবদ্ধতা ইস্যুতে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন।