সূর্যমুখী তেলের চালানে তরল কোকেন পাওয়ার ঘটনায় গ্রেপ্তার নূর মোহাম্মদকে দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত।
Published : 01 Feb 2016, 04:51 PM
সোমবার চট্টগ্রামের মহানগর হাকিম ঝলক রায় এ আদেশ দেন।
এর আগে ২৩ জানুয়ারি সন্ধ্যায় নূর মোহাম্মদকে আদালতে হাজির করে দ্বিতীয় দফায় তিন দিনের রিমান্ডের আবেদন করে র্যাব। পরে রিমান্ড শুনানির জন্য সোমবার সময় নির্ধারণ করা হয়।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রশিকিউশন) নির্মলেন্দু বিকাশ চক্রবর্তী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “শুনানি শেষে আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।”
বন্দরে কোকেনবাহী কনটেইনার জব্দের সাত মাস পর ১৫ জানুয়ারি র্যাব-৭ সদর দপ্তরে ডেকে নেওয়ার পর গ্রেপ্তার করা হয় নূর মোহাম্মদকে।
এরপর তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে সেদিন বিকেলেই আদালতে হাজির করা হয়। রাতে আদালতের নির্দেশ চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয় নূর মোহাম্মদকে।
এরপর র্যাব-৭ এর পক্ষ থেকে তাকে তিন দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। পরে শুনানি শেষে ১৭ জানুয়ারি তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।
অবশ্য ১৮ জানুয়ারি আসামি পক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে রিমান্ড স্থগিত করা হয় এবং এ বিষয়ে শুনানি শেষে ২০ জানুয়ারি আসামি পক্ষের করা রিমান্ড বাতিলের আবেদন খারিজ করে আদালত।
এর আগে গত ৭ ডিসেম্বর এ মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণের বিষয়ে শুনানির ধার্য দিনে অভিযোগপত্র গ্রহণ না করে মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য র্যাবকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
মামলার এক আসামি ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদের সম্পৃক্ততার বিষয়টি উল্লেখ করেছেন জানিয়ে আদালত পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্রটি গ্রহণ করেনি।
পাশাপাশি র্যাবকে কমপক্ষে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদ মর্যাদার একজন কর্মকর্তাকে দিয়ে এ তদন্ত করতে নির্দেশ দেয় আদালত।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গত ৭ জুন চট্টগ্রাম বন্দরে থাকা একটি কনটেইনার আটক করে সিলগালা করে দেয় শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর।
বন্দর কর্মকর্তারা জানান, বলিভিয়া থেকে আমদানি করা সূর্যমুখী ভোজ্যতেলবাহী কনটেইনারটি জাহাজিকরণ হয় উরুগুয়ের মন্টেভিডিও বন্দর থেকে। সেখান থেকে সিঙ্গাপুর হয়ে গত ১২ মে কনটেইনারটি এসে পৌঁছায় চট্টগ্রাম বন্দরে।
এ ঘটনায় ২৮ জুন চট্টগ্রাম নগরীর বন্দর থানায় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান খান জাহান আলী লিমিটেডের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ ও কর্মচারী গোলাম মোস্তফা সোহেলকে আসামি করে মাদক আইনে একটি মামলা করে পুলিশ।
পরে আদালত মামলাটিতে চোরাচালানের ধারা সংযোগের নির্দেশ দেয়।