শিক্ষা উপমন্ত্রীকে বিষয়টি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী।
Published : 07 Feb 2023, 11:34 PM
বক্তব্য দিতে শ্রেণিকক্ষে প্রবেশের অনুমতি না দেওয়ায় চট্টগ্রামের ওমরগণি এমইএস কলেজে এক শিক্ষিকাকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের এক নেতার বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে উচ্চ মাধ্যমিক প্রথম বর্ষের অর্থনীতি ক্লাস চলাকালে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পর শিক্ষিকা ববি বড়ুয়া বলেছেন, এক দশকের বেশি সময়ের শিক্ষকতা জীবনে এটা তার জন্য অসম্মানজনক। এ ঘটনায় তিনি আতঙ্কিত ও শঙ্কিত।
যার বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই রাকিব হায়দার কলেজটিরই শিক্ষার্থী; তিনি ডবলমুরিং থানা ছাত্রলীগে আছেন সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে।
ববি বড়ুয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, প্রথম বর্ষের ক্লাস চলাকালে শ্রেণিকক্ষের বাইরে কয়েকজন ঘোরাঘুরি করছিল। এরইমধ্যে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বক্তব্য দিতে শ্রেণিকক্ষে প্রবেশের অনুমতি চায় রাকিব হায়দার। পাঠদান চলাকালে তাকে শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করতে নিষেধ করা হয়।
“এ সময় সে আমার সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছে। সে যে ধরনের আচরণ আমার সাথে করেছে, একজন শিক্ষক হিসেবে সেটা আমার কাছে বলা সম্ভব নয়, আমার আত্মসম্মানে লাগে।”
বিষয়টি কলেজ অধ্যক্ষকে জানানোর পর অভিযুক্ত ওই ছাত্রলীগ নেতা ক্ষমা চেয়েছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, “হাজার হাজার স্টুডেন্টদের সামনে বাজে অকারেন্স হলো। শিক্ষার্থীরা কী শিক্ষা নিল? শিক্ষকের সাথে এমন আচরণ করা যায়। ক্ষমা চাইলো রুমের ভেতর, সেটা তো কেউ দেখল না।”
বিষয়টি শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলকে জানিয়েছেন উল্লেখ করে ববি বড়ুয়া বলেন, উপমন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করার আশ্বাস দিয়েছেন।
কলেজ অধ্যক্ষ আ ন ম সরওয়ার আলম বলেন, “বিষয়টি নিয়ে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের উপস্থিতিতে ওই ছাত্র ‘মা’ ডেকে পা ধরে ক্ষমা চেয়েছেন।”
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা রাকিব হায়দারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য জানা যায়নি।
এ দিকে ঘটনার পরপর কলেজে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
খুলশী থানার ওসি সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, “কলেজে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল। শিক্ষার পরিবেশ যাতে নষ্ট না হয়, সেজন্য আমরা গিয়েছিলাম। অভিযোগ পেলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”