“সামনে ক্লিন বাংলাদেশ সংগঠনকে নিয়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৪১টি ওয়ার্ডে ভ্রাম্যমাণ প্লাস্টিক এক্সচেঞ্জ কর্নার চালু করা হবে," বলেন মেয়র।
Published : 14 Mar 2025, 03:31 PM
ব্যবহৃত প্লাস্টিক ও পলিথিন জমা দিলে মিলছে ছোলা, খেজুর, চিড়া, আলু, পেঁয়াজ ও ডিমের মত নিত্যপণ্য।
‘ক্লিন বাংলাদেশ' নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে শুক্রবার নগরীর কাজীর দেউড়ি কাঁচা বাজারে এই ‘প্লাস্টিক এক্সচেঞ্জ কর্নার' উদ্বোধন করা হয়।
এর আগে নগরীর চকবাজার, বহদ্দারহাট ও আগ্রাবাদ কাচাঁ বাজারে একই উদ্যোগ নেওয়া হয়।
‘প্লাস্টিক দিন, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস নিন' এই স্লোগানকে সামনে রেখে নগরীর জলাবদ্ধতা ও প্লাস্টিক দূষণ রোধে ক্লিন বাংলাদেশ’র এই উদ্যোগে সহযোগিতা করছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন।
শুক্রবার কাজীর দেউড়ি কাঁচা বাজারের সামনে বুথ উদ্বোধনের সময় মেয়র শাহাদাত হোসেন বলেন, “ক্লিন বাংলাদেশ এর উদ্যোগটি দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষকে কিছুটা হলেও স্বস্তি দেবে।
“পাশাপাশি ক্লিন সিটি- গ্রিন সিটি হেলদি সিটি বাস্তবায়নে এবং প্লাস্টিক ও পলিথিনের ফলে জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করবে এই উদ্যোগ। সামনে ক্লিন বাংলাদেশ সংগঠনকে নিয়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৪১টি ওয়ার্ডে ভ্রাম্যমাণ প্লাস্টিক এক্সচেঞ্জ কর্নার চালু করা হবে।"
অনুষ্ঠানে ক্লিন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা শওকত হোসেন জনি বলেন, “আমাদের শহরকে প্লাস্টিক ও পলিথিন নিয়ে আমাদের এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সহযোগিতায় ক্লিন বাংলাদেশ এভাবে নগরীর প্রত্যেকটা পয়েন্টে চালু রাখার চেষ্টা থাকবে।
“আমরা চেয়েছি সমস্যার একটি কার্যকর সমাধান দিতে—যেখানে পরিবেশ রক্ষা ও মানবিক সহায়তা একসাথে করা যায়। তাই ‘প্লাস্টিক আনুন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য নিন’ এই ধারণা নিয়ে আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি। এটি শুধু প্লাস্টিক দূষণ রোধ করবে না, বরং নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য রমজানের সময়ে সহায়তা হিসেবে কাজ করবে।"
প্লাস্টিক এক্সচেঞ্জ কর্নার প্রোগ্রামটি পরিচালনা করছেন ক্লিন বাংলাদেশ এর সাধারণ সম্পাদক তানভীর রিসাত।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তরুণ প্রজন্মের হাত ধরেই পরিবর্তন হবে আমাদের লাল সবুজের বাংলাদেশ। এই প্লাস্টিক এক্সচেঞ্জ কর্নারের মাধ্যমে শুরু হোক পরিবর্তন ও সচেতনতা।
“যত্রতত্র প্লাস্টিক ও পলিথিন না ফেলে জমা দিয়ে নিতে পারছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস- যা মানুষকে একদিকে যেভাবে সচেতন হচ্ছে, অন্যদিকে পরিবেশকে রক্ষা করতে ভূমিকা করছে।"
রোজার মাস জুড়ে প্রতি শুক্র ও শনিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত নগরীর চারটি স্থানে এ কার্যক্রম চলবে বলে জানান তিনি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক জাহেদুল করিম কচি, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সহ সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহ আলম, বিএনপি নেতা হাজী মুহাম্মদ আবু ফয়েজ, মুহাম্মদ ইসাক, মুহাম্মদ ইদ্রিস, মুহাম্মদ আলাউদ্দিন।