রাষ্ট্রদূত বলেন, তুরস্কের লক্ষ্য সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ এবং তুরস্কের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যকে দুই বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যাওয়া।
Published : 08 May 2024, 07:05 PM
বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়াতে তুরস্কের আগ্রহের কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত রামিস সেন।
বুধবার চট্টগ্রামের সিটি মেয়র মো, রেজাউল করিম চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ েকথা বলেন রাষ্ট্রদূত।
নগরীর টাইগারপাস এলাকায় অস্থায়ী নগর ভবনে এই সাক্ষাৎ হয়।
সাক্ষাতে মেয়র রেজাউল বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের বাণিজ্যিক সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে বিপুল বিনিয়োগ করেছেন। নগরীর যোগাযোগ অবকাঠামোকে ঢেলে সাজাতে আড়াই হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন।
“এছাড়া, নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনেও নেয়া হয়েছে একাধিক প্রকল্প। ফলে বৈদেশিক বিনিয়োগের জন্য চট্টগ্রাম একটি আদর্শ স্থানে পরিণত হয়েছে। তুরস্ক এই সুবর্ণ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ব্যাপক বিনিয়োগের মাধ্যমে লাভবান হতে পারে।”
এসময় রাষ্ট্রদূত রামিস সেন বলেন, “বাংলাদেশের সঙ্গে তুরস্কের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্ণ হতে যাচ্ছে। গত অর্ধশতাব্দীতে বাংলাদেশের সুখ-দুঃখে সবসময় তুরস্ক পাশে ছিল। তবে তুরস্কের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের গভীরতা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে যথাযথভাবে প্রতিফলিত হয় না।
“এজন্য তুরস্কের লক্ষ্য সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ এবং তুরস্কের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যকে দুই বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যাওয়া। বাংলাদেশ তুরস্ক থেকে আমদানির চেয়ে রপ্তানি বেশি করে অর্থাৎ এক্ষেত্রে বাংলাদেশ এগিয়ে আছে।”
রাষ্ট্রদূত রামিস সেন বলেন, বর্তমানে তুরস্কের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য মূলত টেক্সটাইল খাতকেন্দ্রিক। তুরস্ক বাংলাদেশে টেক্সটাইল খাতের বিভিন্ন যন্ত্র ও কেমিকেল রপ্তানি করে। অন্যদিকে বাংলাদেশ থেকে তুরস্ক তৈরি পোশাক আমদানি করে। তুরস্ক কেবল টেক্সটাইল খাতে সীমাবদ্ধ না থেকে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের বহুমুখীকরণ করতে চায়।”
তুরস্কের স্বাস্থ্যখাতের সাফল্য তুলে ধরে তিনি বলেন, বর্তমানে বিশ্বের শীর্ষ পাঁচটি মেডিকেল ট্যুরিজম ডেস্টিনেশনের একটি তুরস্ক। গ্রীষ্মকালে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে পর্যটকরা চিকিৎসা নিতে তুরস্কে যান কারণ তুরস্কের স্বাস্থ্যখাত অত্যন্ত জটিল ও বিরল বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা দিতে সক্ষম।
সামরিক খাতেও তুরস্ক এগিয়ে যাচ্ছে জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, “ফেব্রুয়ারিতে তুরস্ক নিজেদের তৈরি পঞ্চম প্রজন্মের স্টিলথ ফাইটার যুদ্ধবিমান কান (KAAN) উড্ডয়ন করেছে, যা তুরস্কের গভীর সামরিক শক্তির পরিচায়ক। এছাড়া ড্রোন নির্মাণ এবং বিভিন্ন সামরিক প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে তুরস্ক। তুরস্ক তার অর্জিত জ্ঞান বাংলাদেশের সঙ্গে বিনিময় করছে এবং ভবিষ্যতেও করবে।”
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন তুরস্ক নৌবাহিনীর মাইন গ্রুপের কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল মুস্তফা কায়া, সেনাবাহিনীর কর্নেল এরদাল শাহিন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশে তুরস্কের অনারারি কনসাল জেনারেল সালাহউদ্দিন কাশেম খান।