মামলায় সাতটি প্রাইভেট কারের নম্বর উল্লেখ করে বলা হয়েছে, আরো দুই-তিনটি গাড়ির নম্বর শনাক্ত করা যায়নি।
Published : 02 Nov 2023, 02:26 PM
কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেলে গতিসীমা ভেঙে গাড়ির রেসের ঘটনায় মামলা করেছে কর্তৃপক্ষ।
টানেল পরিচালনা কর্তৃপক্ষ চায়না কমিউনিকেশন কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডের (সিসিসি) সহকারী ব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর আলম বুধবার রাতে কর্ণফুলী থানায় মামলাটি করেন।
সড়ক পরিবহন আইনের এ মামলায় সাতটি প্রাইভেট কারের নম্বর উল্লেখ করা হয়েছে। আরও দুই/তিনটি গাড়ির নম্বর শনাক্ত করা যায়নি বলে জানানো হয়েছে এজাহারে।
শনাক্ত হওয়া গাড়ির নম্বরগুলো হল- চট্টমেট্রো গ- ১২-৯০৪৩, চট্টমেট্রো ঘ- ১১-৫৭০২, ঢাকামেট্রো খ- ১১-৮৯৩৫, ঢাকা মেট্রো খ- ১২-১৮১৪, চট্টমেট্রো গ- ১৩-৩৫৭৩, চট্টমেট্রো গ- ১৪-২২৫৪, ঢাকা মেট্রো ভ- ১১-০২১৭।
নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (বন্দর) শাকিলা সোলতানা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “টানেল কর্তৃপক্ষ তাদের সিসি ক্যামেরায় শনাক্ত হওয়া সাতটি গাড়ির নম্বর মামলায় দিয়েছে। বিআরটিএ থেকে সেগুলোর মালিকানা যাচাই করা হবে।”
গত ২৮ অক্টোবর কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরদিন থেকে টানেলটি সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। টানেলে যানবাহনের সর্বোচ্চ গতি রাখা হয়েছে ৬০ কিলোমিটার, পাশাপাশি লাইন পরিবর্তন ও ওভারটেকিং করায় নিষেধাজ্ঞা আছে।
টানেল খোলার পর গত কয়েক দিনে কার রেসিং, দ্রুত গতিতে বাস চালিয়ে প্রাইভেট কারকে পিছন থেকে ধাক্কা দেওয়া, টানেলের ভেতর সেলফি তোলা এবং নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে টোল প্লাজার ব্যারিয়ারে ধাক্কা দেওয়ার মত কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে।
মামলায় বলা হয়েছে, সর্বোচ্চ গতিসীমা ৬০ কিলোমিটার লেখা সাইন বোর্ড টাঙানো আছে টানেলে। গত ২৯ অক্টোবর রাত ১১টার দিকে গাড়িগুলোর চালকরা টানেলের আনোয়ারা অংশে অ্যাপ্রোচ সড়কে (চায়না হারবাল ক্রসিং) রেস এবং ওভারটেকিং করে বিপজ্জনভাবে চালানোর মাধ্যমে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।
এরপর রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে গাড়িগুলোর চালক টোল পরিশোধ করে টানেলে প্রবেশ করে। সেখানেও গাড়িগুলো রেসিং, ওভারটেকিং করে বিপজ্জনভাবে চালানোর মাধ্যমে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া কয়েকটি ভিডিওতে মোট ১০টি প্রাইভেট করা দেখা যায়। কর্তৃপক্ষ টানেলের ভেতরে থাকা সিসি ক্যামেরার ভিডিও দেখে গাড়িগুলো শনাক্ত করে। তবে দুই/তিনটি গাড়ির নম্বর শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
পুরনো খবর