ফুল উৎসবে থাকবে চট্টগ্রামের ঐতিহ্য ১৫টি সাম্পানের প্রদর্শনী, সাম্পান বাইচ, ঘুড়ি উৎসব, পুতুল নাচ, ভায়োলিন শো, চিত্র প্রদর্শনীর মত নানা ধরনের আয়োজন।
Published : 24 Jan 2024, 07:24 PM
এক সারিতে নানা রঙের ডালিয়া, আরেক সারিতে চন্দ্রমল্লিকা, আছে গোলাপ-গাঁদা, তার সাথে বিদেশি ফুলের বাহারও। চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটে সাগর পাড়ে গড়ে তোলা ডিসি পার্ক সেজেছে নানা রঙের ফুলে।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নিজস্ব উদ্যোগে তৈরি করা এ ডিসি পার্কে শুরু হচ্ছে ফুল উৎসবের দ্বিতীয় আসর। বৃহস্পতিবার মাসব্যাপী এ ফুল উৎসবের উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী পরিষদ সচিব মো. মাহবুবুর রহমান।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সঙ্গে সংযুক্ত ‘বন্দর-ফৌজদারহাট টোল রোড’। ঝাউগাছ আর জলাশয়ের পাশ দিয়ে যাওয়া সড়কটি যুক্ত হয়েছে মেরিন ড্রাইভের সঙ্গে। ফৌজদারহাট থেকে এ টোল রোড ধরে কিছুদূর গেলেই ডিসি পার্ক। সড়কের পাশ দিয়ে যেতেই চোখে পড়বে নানা রঙের ফুলের বাহার।
১২৭ প্রজাতির ফুলের লক্ষাধিক গাছ দিয়ে সাজানো হয়েছে এবারের ফুল উৎসব। ‘ফুলের মত আপনি ফুটাও গান’ শিরোনামে আয়োজন করা হয়েছে এবছরের ফুল উৎসব। এ ফুল উৎসব শেষ হবে ২৩ ফেব্রুয়ারি।
অবৈধ দখলদার উচ্ছেদের পর ১৯৪ একর জায়গা জুড়ে গড়ে তোলা এ ডিসি পার্কে গত বছর আয়োজন করা হয়েছিল প্রথম ফুল উৎসব। যেখানে ব্যাপক সাড়া মিলেছিল দর্শনার্থীদের।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান জানিয়েছেন, গত বছরের ফুল উৎসবে তারা অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছিলেন। যার কারণে এবছর ১২৭ প্রজাতির লক্ষাধিক ফুল গাছের সমারোহে নান্দনিকতায় সাজানো হয়েছে এ ডিসি পার্ক।
চট্টগ্রাম বন্দর-ফৌজদারহাট সংযোগ সড়কের ফৌজদারহাটে সীতাকুণ্ড উপজেলার উত্তর ছলিমপুর মৌজার বালুচর শ্রেণির ১৯৪ একরের এ জায়গাটি দখলে নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছিল ‘শুকতারা’ নামে একটি পর্যটন কেন্দ্র ও রেস্টুরেন্ট। ২০২২ সালের শেষ দিকে রেস্টুরেন্টটি উচ্ছেদ করে জেলা প্রশাসন। নতুন করে সেখান গড়ে তোলা হয় ডিসি পার্ক।
নানা রঙের ফুল আর গাছ দিয়ে সাজানো এ পার্কে এবছরও ফোটানো হয়েছে টিউলিপ। ফুল উৎসবে থাকবে চট্টগ্রামের ঐতিহ্য ১৫টি সাম্পানের প্রদর্শনী, সাম্পান বাইচ, ঘুড়ি উৎসব, পুতুল নাচ, ভায়োলিন শো, চিত্র প্রদর্শনীর মত নানা ধরনের আয়োজন।
সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে এম রফিকুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, নানা প্রজাতির ফুলের সঙ্গে এবার বিদেশ থেকে আনা হয়েছে সাড়ে পাঁচ হাজার টিউলিপ বাল্ব (গাছ)। শীত প্রধান দেশের এ ফুলটি তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এ ডিসি পার্কে ফোটানো হচ্ছে।
“প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দর্শনার্থীরা ৩০ টাকায় টিকিট কেটে পার্কে প্রবেশ করে ফুল উৎসব উপভোগ করতে পারবেন।”
এবছরের ফুল উৎসব উপভোগ করতে পাঁচ লাখের বেশি লোকের সমাগম হবে বলে আশা করছেন ইউএনও রফিকুল।
পার্কে স্থায়ীভাবে লাগানো ফুলের পাশাপাশি বিভিন্ন প্যাকেট ভর্তি ফুলের গাছ দিয়ে সাজানো হয়েছে ডিসি পার্ক। যেখানে দর্শনার্থীরা গিয়ে ইতোমধ্যে ছবি তুলে পোস্ট করছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
পরিবার নিয়েও অনেকে ইতোমধ্যেই উপভোগ করছেন দেশী বিদেশী এ ফুলের সৌন্দর্য।