তার কাছ থেকে মোট ১৪টি মোবাইল ফোন সেট উদ্ধার করা হয়, সেগুলো মামলার আলামত হিসেবে থানায় রাখা ছিল।
Published : 16 Oct 2024, 07:29 PM
লুটের মোবাইল ব্যবহার করতে গিয়ে চট্টগ্রামে ধরা পড়েছে থানায় ‘লুটপাটকারী’ এক যুবক।
গ্রেপ্তার যুবকের নাম রাগেবুল আমের রিয়াদ (২৪)। চট্টগ্রাম শহরের চকবাজার বড় মিয়া মসজিদ এলাকায় তার বাসা।
ওই এলাকা থেকেই গত ১৩ অক্টোবর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। যদিও বিষয়টি প্রকাশ পায় বুধবার চট্টগ্রাম নগর পুলিশের একটি সংবাদ সম্মেলনে।
কোতোয়ালি থানার ওসি ফজলুল কাদের চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গত ৫ অগাস্ট থানায় হামলা ও ভাংচুরের সময় বেশকিছু আলামত লুট হয়েছিল। আগের একটি মামলায় জব্দ করা একটি মোবাইল ফোনও ছিল লুট হওয়া আলামতের মধ্যে, যেটি হঠাৎ করে ব্যবহার করা শুরু করেছিল কেউ।
“সেই সূত্র ধরে চকবাজার বড় মিয়া মসজিদ এলাকায় অভিযান চালিয়ে রিয়াদকে আটক করা হয়। তার কাছ থেকে মোট ১৪টি মোবাইল ফোন ট উদ্ধার করা হয়।”
উদ্ধার করা মোবাইল সেটগুলো কোতোয়ালি থানার অপর একটি মামলার আলামত হিসেবে জব্দ করা হয়েছিল জানিয়ে ওসি ফজলুল বলেন, মোবাইল সেটগুলো থানার মালখানায় রাখা ছিল। ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগের সরকারের পতনের দিন থানায় হামলার সময় সেগুলো লুট হয়।
সেদিন কোতোয়ালি থানার সব কিছুই জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। থানা প্রাঙ্গণে রাখা পুলিশের সাঁজোয়াযান, মোটরসাইকেল ও বিভিন্ন ধরনের গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। পাশাপাশি তিনতলা ভবনের প্রতিটি কক্ষে ভাঙচুর করে আগুন দেওয়া হয়। লুটপাট করা হয় বিভিন্ন আলামত, অস্ত্র।
পরে পুলিশের পক্ষ থেকে অজ্ঞাতনামা ৪০ হাজার লোককে আসামি করে মামলা করা হয় কোতোয়ালি থানায়।
৫ অগাস্ট পরবর্তী সময়ে পুলিশের সক্রিয় উপস্থিতিতে নগর পুলিশের আভিযানিক সাফল্য জানাতে বুধবারের সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। থানা ভাংচুরের ঘটনায় গ্রেপ্তারের বিষয়টিও বলা হয় সেখানে।
হালিশহর থানা ও পুলিশ বক্সে হামলায় গ্রেপ্তার ২
এদিকে হালিশহর থানা ও পুলিশ বক্সে ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ওভাংচুরের ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান।
তারা হলেন- শহীদুল ইসলাম জিসান (২৯) ও মো. বাচ্চু মিয়া ওরফে বাচাইয়া (৩২)। তাদের মধ্যে জিসানের বিরুদ্ধে চুরি, ছিনতাইসহ অন্তত নয়টি মামলা আছে।
ওসি বলেন, “গ্রেপ্তার দুই যুবক পেশাদার অপরাধী। থানায় হামলার সময় তারা লুটপাটে অংশ নিয়েছিল।”