Published : 29 Jul 2023, 04:41 PM
ইমো অ্যাকাউন্ট ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্ট ‘হ্যাক’ করে, তাদের বন্ধু তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের কাছ থেকে নানা অজুহাতে টাকা হাতিয়ে নেওয়া একটি চক্রের পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নাটোরের লালপুর এবং পাবনার ঈশ্বরদী থেকে পাঁচজনকে বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার করা হয় বলে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের (সিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের সাইবার ইউনিট জানায়।
গ্রেপ্তারদের মধ্যে আরিফুল ইসলাম (৩১), শিমুল হোসেনকে (২২) পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে ঈশ্বরদী থেকে।
তাদের দেওয়া তথ্যে লালপুর থেকে সাহাবুল ইসলাম ওরফে শাহাবুল (৩৯), ইব্রাহিম হোসেন ওরফে বাপ্পী (২১) এবং হৃদয় হাসান ওরফে শাহীনকে (২৩) গ্রেপ্তার করা হয়।
তাদের কাছ থেকে ‘প্রতারণার’ কাজে ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও সিমও জব্দ করা হয়। পুলিশের ভাষ্য, গ্রেপ্তার ৫ জন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অপরাধ স্বীকার করেছে।
সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার আসিফ মহিউদ্দীন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, প্রতারণার শিকার হওয়া এক ব্যক্তি গত ২৩ জুলাই নগরীর চকবাজার থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করলে, তারা তদন্তে নামেন। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় চক্রটির সন্ধান পাওয়া যায়।
তিনি বলেন. “প্রতারণা চক্রের সদস্যরা ইমো অ্যাকাউন্টের ‘কনটাক্ট লিংক’ থেকে টার্গেট করা ব্যক্তির মোবাইল নম্বর জোগাড় করে। তারপর সেই ব্যক্তির মোবাইলে একটি ওয়ানটাইম পাসওয়ার্ড (ওটিপি) পাঠায়। এরপর তাকে ফোন করে কাস্টমার কেয়ার সার্ভিসের পরিচয় দিয়ে ওটিপি চেয়ে নেয় তারা।
“কেউ ওটিপি বলে দিলে তখন প্রতারক চক্রের সদস্যরা ওই ব্যক্তির ইমো অ্যাকাউন্টের কন্ট্রাক্ট লিস্টে প্রবেশ করে। তারপর বন্ধু তালিকায় থাকা লোকজনের কাছে বিপদে পড়ার কথা জানিয়ে টাকা চায়। যেহেতু ইমো অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা চাওয়া হয়, তাই যার অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়েছে তার বন্ধুরা বিশ্বাস করেন যে সে ব্যক্তি হয়ত সত্যি বিপদে পড়েছে। এভাবে কেউ কেউ টাকা পাঠায়।”
আসিফ মহিউদ্দীন জানান, টাকা নেয়ার জন্য প্রতারক চক্রের সদস্যরা নিজেদের মোবাইল ব্যাংকিং সেবার (এমএসএফ) নম্বর দেয়। এবং সেই নম্বরে টাকা পাঠাতে বলে। টাকা পাওয়ার পর সেটি তুলে নেয় তারা।
পুলিশ কর্মকর্তা আসিফ মহিউদ্দীন বলেন, “গ্রেপ্তাররা জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, এ পর্যন্ত তারা ইমো একাউন্ট হ্যাকিং এর মাধ্যমে প্রতারণা করে দেশ ও বিদেশের বেশ কিছু ভুক্তভোগীর কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। “
এই চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন স্থানে একাধিক প্রতারণার মামলা আছে।
মহিউদ্দীন বলেছেন, চক্রের অন্য সহযোগীদের গ্রেপ্তারে ঢাকার সাভার, নোয়াখালী জেলার সুধারাম ও বেগমগঞ্জ থানা এলাকায় অভিযান চালানো হচ্ছে ।