গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে এটিসহ ১৬ প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন তিনি।
Published : 13 Nov 2023, 08:19 PM
চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনসহ জেলায় ১৬টি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার সকাল ১০টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে এসব প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন তিনি। এ উপলক্ষে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে বলে জেলা প্রশাসনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (চমেবি) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. ইসমাইল খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়েছেন তারা।
বর্তমানে ফৌজদারহাটে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডির) ভবনে বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এর কাছেই প্রায় ১ হাজার ৮৫২ কোটি টাকা ব্যয়ের প্রকল্পের আওতায় ১৫তলা হাসপাতাল ভবনসহ ক্যাম্পাস গড়ে তোলা হবে। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী এটির ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করবেন।
২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ থেকে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ১৬টি মেডিকেল কলেজ ও দুটি ডেন্টাল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি শুরু হয়। এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয় চমেবি’র অধীনে।
স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের বাস্তবায়নাধীন এ প্রকল্পের আওতায় হাসপাতাল ভবন ছাড়াও প্রশাসনিক ভবন একটি, একাডেমিক ভবন ও ডিনস অফিস একটি, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি, ক্যাফটেরিয়া, টিএসসি, প্রার্থনা কক্ষ, কনভেনশন হল ও টিচার্স ক্লাব-লাউঞ্জ একটি এবং বিআইটিআইডি হাসপাতাল ভবনের পাঁচ থেকে ১০তলা ঊর্ধ্বমুখী ছয়টি ফ্লোর সম্প্রসারণ করা হবে।
এছাড়া দ্বিতল একটি ভিসি বাংলো, ১৫তলা প্রোভিসি, ট্রেজারার, ডক্টরস ও অফিসার্স কোয়াটার একটি, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্র ও ছাত্রী হোস্টেল, আইএচটি শিক্ষার্থী ছাত্র ও ছাত্রীদের জন্য পৃথক হোস্টেল ও নার্সেস ডরমিটরি হবে; যার সবকটি ১৫তলা ভবন।
৮০০ বেডের হাসপাতালসহ বিভিন্ন চিকিৎসকদের পোস্টগ্র্যাজুয়েট কোর্স চালুর লক্ষ্যে ১০ ফ্যাকাল্টিসহ ৬৯টি চিকিৎসা বিভাগ থাকবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া জানান, ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের পর নির্মাণ কাজ শুরু হবে।
অন্য যত প্রকল্প
এদিন প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) তিনটি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন।
এরমধ্যে আছে লালখান বাজার থেকে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। চট্টগ্রামের প্রথম এ এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে খরচ হচ্ছে ৪ হাজার ২৯৮ কোটি টাকা।
এছাড়া ৩৫৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নগরীর ফৌজদারহাট থেকে বায়েজিদ বোস্তামি পর্যন্ত বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সড়ক নামের লুপ রোড এবং ২১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে সিরাজউদ্দৌলা রোড থেকে শাহ আমানত সেতু সংযোগ সড়ক পর্যন্ত বাকলিয়া এক্সেস সড়ক (জানে আলম দোভাষ সড়ক) উদ্বোধন করা হবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে ৭৪ কোটি ৬৪ লাখ টাকা বরাদ্দে নির্মিত ৮০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের উদ্বোধনও করবেন প্রধানমন্ত্রী।
অন্য প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে- শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ৩১ কোটি ৮৯ লাখ টাকা ব্যয়ে মোট ১০টি নির্বাচিত বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও বেসরকারি মাদ্রাসার উন্নয়ন কার্যক্রম, ৪৭২ কোটি টাকা ব্যয়ে গণপূর্ত অধিদপ্তরের আগ্রাবাদ সিজিএস কলোনিতে জরাজীর্ণ ১১টি ভবনের স্থলে ৯টি নতুন বহুতল আবাসিক ভবনে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নতুন ৬৮৪টি ফ্ল্যাট নির্মাণ এবং চট্টগ্রাম শহরের পরিত্যক্ত জমিতে সরকারি আবাসিক ফ্ল্যাট ও ডরমিটরি ভবন নির্মাণ।
এছাড়া সমাজসেবা অধিদপ্তরের অধীনে ১৫ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত একটি সমাজসেবা কমপ্লেক্স, মীরসরাই উপজেলার মিঠানালা ইউনিয়নের আমান উল্লাহ ভুঁইয়া কমিউনিটি ক্লিনিক, মীরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য গ্যাস পাইপলাইন ও কেজিডিসিএল গ্যাস বিতরণ নেটওয়ার্ক আপগ্রেডেশন প্রকল্প, ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার জাতীয় মহাসড়কের মুরালী খালের উপর ভেল্লাপাড়া সেতু নির্মাণ প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।
পাশাপাশি গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেডের (জিটিসিএল) অধীনে চারটি পাইপলাইন নির্মাণ প্রকল্প উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। সেগুলো হলো- মহেশখালী জিরো পয়েন্ট থেকে সিটিএমএস গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন, মহেশখালী-আনোয়ারা গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন, আনোয়ারা-ফৌজদারহাট গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন ও চট্টগ্রাম-ফেনী-বাখরাবাদ গ্যাস সঞ্চালন সমান্তরাল পাইপলাইন নির্মাণ প্রকল্প।