পটিয়ায় আওয়ামী লীগ নেতাকে গাছে বেঁধে মারধরের ঘটনায় করা মামলায় স্থানীয় চেয়ারম্যান ও তার ছেলেসহ ১৭ আসামির বিরুদ্ধে বিচার শুরু হয়েছে।
সোমবার চট্টগ্রামের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম কামরুন নাহার রুমির আদালতে এই মামলায় অভিযোগ গঠনের মধ্যে দিয়ে বিচার শুরু হয়।
সাক্ষ্য শুরুর জন্য ২৮ জুলাই দিন ধার্য করেছে আদালত।
চট্টগ্রামের জেলা পিপি শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অভিযোগপত্রে যে ১৭ জনকে আসামি করা হয়েছিল তাদের সবার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
“এরমধ্যে দু’জন আসামি অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে শিশু আদালতে পৃথকভাবে মামলার বিচার চলবে বলে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন। আসামিরা সবাই বিভিন্ন সময় উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন। তারা এখন জামিনে আছেন।”
মামলার আসামিরা হলেন- স্থানীয় হাইদগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বদর উদ্দিন (বিএম) মো. জসিম, তার ছেলে মুশফিক উদ্দিন ওয়াসি, রবিউল হোসেন রবি, ইন্দ্রজিৎ চৌধুরী, মো ইকবাল উদ্দিন সাকিব, আবদুল হাকিম, রিমন উদ্দিন চৌধুরী, আয়ুব আলী চৌধুরী হিরু, টিটন শীল, মো. রুবেল, মো. সোহেল, মো. করিম মোস্তফা, মো. আসিফ, আ ন ম আবদুল্লাহ রানা এবং মো. রুবেল।
গত বছরের ২৯ এপ্রিল পটিয়া উপজেলার হাইদগাঁও ইউনিয়নের ব্রাহ্মণঘাটা গাউসিয়া কমিউনিটি সেন্টারে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছিল।
ইফতার মাহফিলের ব্যানারে ‘নাম না থাকায়’ চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক জসিমের নেতৃত্বে সেখানে হামলা হয়।
পটিয়ার হাইদগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি জিতেন গুহকে সেদিন গাছে বেঁধে মারধর করা হয়। মাথায় আঘাত এবং হাত ভেঙে দেওয়ার পর জিতেন গুহকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
গাছের সঙ্গে বাঁধা অবস্থায় জিতেনের রক্তাক্ত ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়লে তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। এ ঘটনায় জিতেন গুহর ছোট ভাই তাপস গুহ বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৫-৬ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করেন।
পরদিন পটিয়ার পশ্চিম হাইদগাঁও এলাকার বাড়ি থেকে চেয়ারম্যান বিএম জসিম ও তার ছেলে মুশফিক উদ্দিন ওয়াসিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।