আচরণবিধি: হুইপ সামশুলের কাছে ব্যাখ্যা তলব

শনিবারের মধ্যে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির কাছে ব্যাখ্যা দিতে হবে তাকে।

পতাকাবাহী গাড়িতে চড়ে ও পুলিশ প্রহরায় এসে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ায় পটিয়ার সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরীকে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলেছে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি।

চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এনামুল হক বলেন, “উনার গাড়িতে পতাকা ও সামনে পুলিশ থাকার বিষয়ে জানতে চেয়ে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি ব্যাখ্যা তলব করেছেন। আগামীকালের মধ্যে উনাকে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।”

বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যান চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনের সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরী। এবার তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাননি। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এবার মনোনয়ন নিয়েছেন সামশুল।

দুপুরে কয়েকটি গাড়িতে নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে আদালত ভবন এলাকায় আসেন সামশুল। তিনি যে গাড়িতে ছিলেন সেটিতে ছিল জাতীয় পতাকা। ছিল পুলিশ প্রহরাও।

এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে হুইপ সামশুল হক চৌধুরীকে শুক্রবার নোটিস পাঠিয়েছেন চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনের নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান সিনিয়র সহকারী জজ শেখ মো. মুহিবুল্লাহ।

পতাকাশোভিত গাড়িতে এসে মনোনয়নপত্র দিলেন হুইপ সামশুল

বৃহস্পতিবার মনোনায়নপত্র জমা দেওয়া শেষে এ বিষয়ে সামশুল হক চৌধুরী বলেছিলেন, “এটা ১৭ তারিখের পর আমি শুধু জাতীয় পতাকা ও প্রটোকল নিয়ে আমার নির্বাচনি এলাকায় ঢুকতে পারব না।”

প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নির্দেশনার বিষয়ে সাংবাদিকরা দৃষ্টি আকর্সণ করলে সামশুল বলেন, “প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, আমি শুধু আমার নির্বাচনি এলাকায় প্রটোকল পাব না, পতাকা পাব না। আমি এই পাঁচ বছরে সরকারি গাড়িতে চড়িনি। তেলও ব্যবহার করিনি বা চালকও নিইনি। সুতরাং পতাকা ও প্রটোকল বন্ধ হবে আমার এলাকায় ঢুকলে।

“তফসিল ঘোষণার পর আচরণবিধি যদি কার্যকর হয়, তাহলে আমি এখনো পতাকা নিয়ে আমার এলাকায় ঢুকি নাই। এখনও আমাকে কিছু জানানো হয়নি। জানালে আর পতাকা নিয়ে ঢুকব না।”

চট্টগ্রাম-১২ আসনে দলের মনোনয়ন পেয়েছেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পটিয়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী।