চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক এক কর কর্মকর্তাকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে দুটি ধারায় সাড়ে চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
চট্টগ্রামের বিভাগীয় বিশেষ জজ মুন্সী আব্দুল মজিদ রোববার এ রায় দেন বলে দুদকের পিপি কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাভলু জানান।
দণ্ডিত আলী আকবর সিটি করপোরেশনের রাজস্ব সার্কেল- ২ এর উপ কর কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার টাগুটা গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে।
পিপি জানান, দুদকের মামলায় ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দণ্ডবিধির ১৬১ ধারায় আড়াই বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
এছাড়া ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে আরও দুই বছরের দণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের সাজা দেওয়া হয়েছে।
উভয় সাজা একসঙ্গে কার্যকর হবে। ফলে আলী আকবরকে আড়াই বছর সাজা ভোগ করতে হবে বলে জানান পিপি ছানোয়ার।
২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে চট্টগ্রামের বহদ্দারহাটে সার্কেল-২ কার্যালয়ে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ঘুষের ২০ হাজার টাকা নেওয়ার সময় আলী আকবরকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১ এর সহকারী পরিচালক এইচ এম আখতারুজ্জামান বাদি হয়ে চান্দগাঁও থানায় দুর্নীতি দমন আইনে মামলা করেন।
মামলার বিবরণে বলা হয়, চান্দগাঁও থানার রূপালী আবাসিক এলাকার মো. হানিফ নামের এক ব্যক্তি একটি ভবন কেনেন। আর ভবন দেখাশোনার দায়িত্বে ছিলেন জামাল উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি।
জামাল উদ্দিন ভবনটির হোল্ডিং নম্বর পরিবর্তনের জন্য আলী আকবরের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি ৪০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। পরে ২০ হাজার টাকায় রফা হয়।
এ বিষয়ে জামাল দুদকে লিখিত অভিযোগ করলে আট সদস্যের অভিযান দল গঠন করা হয়। ওই সময় তাকে বরখাস্ত করা হয়েছিল।
২০১৮ সালের ১১ জানুয়ারি এ মামলায় আলী আকবরের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে রোববার তাকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত রায় দিল।