“নানা কারণে ভারতের অর্থায়নে ওই আলোকায়ন প্রকল্পটি আর হচ্ছে না। কেন সে বিষয়ে বিস্তারিত জানা নেই,” বলেন মেয়র।
Published : 11 Dec 2024, 04:50 PM
চট্টগ্রাম নগরীর সড়ক বাতি আধুনিকায়ন প্রকল্পটির কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
প্রকল্পের সিংহভাগ অর্থায়ন ছিল ভারতীয় ঋণ, যা বাস্তবায়নে পাঁচ মাস আগে ঠিকাদারের সঙ্গে চুক্তি হয়।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব খোন্দকার ফরহাদ আহমদ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ বিষয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে (সিসিসি) জানানো হয়।
জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের নগর উন্নয়ন অনুবিভাগের উপসচিব খোন্দকার ফরহাদ আহমদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এ বিষয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ভালো বলতে পারবে। তাদের সাথে যোগাযোগ করুন।”
যোগাযোগ করা হলে সিটি মেয়র শাহাদাত হোসেন বলেন, “নানা কারণে ভারতের অর্থায়নে ওই আলোকায়ন প্রকল্পটি আর হচ্ছে না। কেন সে বিষয়ে বিস্তারিত জানা নেই। হয়ত আমরা নিজেরাই আলোকায়নে নতুন প্রকল্প করব। দেখি কি করা যায়।”
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের কাছে মন্ত্রণালয়ের ওই চিঠির কপি রয়েছে।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব বরাবরে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়, “বর্তমান প্রেক্ষাপটে প্রকল্পটির কার্যক্রম গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।”
২৬০ কোটি ৮৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘মর্ডানাইজেশন অব স্ট্রিট লাইট সিস্টেম এট ডিফারেন্ট এরিয়া আন্ডার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন’ শীর্ষক ওই প্রকল্পে ২১৪ কোটি ৪৬ লাখ টাকা ভারতীয় ‘নমনীয় ঋণ’ (এলওসি) এর আওতায় দেওয়ার কথা ছিল।
বাকি ৪৬ কোটি ৪৩ লাখ টাকা বাংলাদেশ সরকারের দেওয়ার কথা।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এই আলোকায়ন প্রকল্পের আওতায় নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে ৪৬৬ দশমিক ৭৪ কিলোমিটার সড়কে ২০ হাজার ৬০০টি এলইডি বাতি স্থাপনের কথা ছিল।
পাশাপাশি ২০ হাজার ২৬৭টি জিআই পোল এবং ৫০৭টি কন্ট্রোল সুইচ বক্স বসানোর প্রস্তাব ছিল ওই প্রকল্পে। এছাড়া হাইড্রোলিক বিম লিফটার ও ইলেকট্রিক্যাল ইকুইপমেন্ট সংগ্রহের কথা ছিল।
প্রকল্পটি ২০১৯ সালের ৯ জুলাই জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি, একনেকে অনুমোদিত হয়। এটি বাস্তবায়নের মেয়াদ ধরা হয়েছিল ২০১৯ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর। পরে ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়।
এক্সিম ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার ঋণে বাস্তবায়ন হতে যাওয়া ওই প্রকল্পের ঋণচুক্তি হয়েছিল ২০১৭ সালের ৪ অক্টোবর। এরপর প্রকল্পের অনুমোদিত ঠিকাদার শাপার্জি পালানজি অ্যান্ড কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে চলতি বছরের ৪ জুলাই সিটি করপোরেশেনের চুক্তি স্বাক্ষর করে।
ভারতীয় ঋণে 'স্মার্ট আলোকায়নের' যুগে প্রবেশ করছে চট্টগ্রাম নগরী