ইসি সচিব শফিউল আজিম বলছেন, স্থানীয় সরকার বিভাগ চাইলে এখন শপথ আয়োজনের মাধ্যমে শাহাদাত হোসেনকে মেয়রের দায়িত্বও দিতে পারে।
Published : 08 Oct 2024, 11:01 PM
নির্বাচনের সাড়ে তিন বছর পর নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালের রায়ে বিএনপির প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেনকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।
ইসি সচিবালয় মঙ্গলবার সাবেক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর জায়গায় শাহাদাতকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট সংশোধনের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।
কমিশনের নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপ সচিব আতিয়ার রহমান বলেন, আইন মন্ত্রণালয়ের সম্মতি সাপেক্ষে শাহাদাতের প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে। এখন স্থানীয় সরকার বিভাগে গেজেট পাঠানো হবে। পরবর্তী পদক্ষেপ সরকার নেবে।
২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি হওয়া চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৩ লাখ ৬৯ হাজার ২৪৮ ভোট পেয়ে জয়ী হন নৌকার প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী শাহাদাত ধানের শীষ প্রতীকে পান ৫২ হাজার ৪৮৯ ভোট।
সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া আওয়ামী লীগের নগর কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম রেজাউল করিম চৌধুরীকে বিজয়ী ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু ভোটে কারচুপির অভিযোগ তুলে ফল বাতিল চেয়ে ২৪ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম মহানগরের আহ্বায়ক শাহাদাত।
সেই মামলার রায়ে গত ১ অক্টোবর শাহাদাতকে মেয়র ঘোষণা করেন চট্টগ্রামের নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালের বিচারক যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ খাইরুল আমীন।
কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তী সরকার গত অগাস্ট মাসেই দেশের সব সিটি করপোরেশনের মেয়র, কাউন্সিলরদের অপসারণ করে। চট্টগ্রামের মেয়র পদ থেকে রেজাউল করিম চৌধুরীকে অপসারণ করে চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনারকে দেওয়া হয় প্রশাসকের দায়িত্ব।
তাছাড়া গত ৫ সেপ্টেম্বর থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও নির্বাচন কমিশনারদের পদ শূন্য থাকায় নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালের রায়ের বাস্তবায়ন কীভাবে হবে, তা নিয়ে ইসি কর্মকর্তাদের মধ্যেও সংশয় ছিল।
এ অবস্থায় বিষয়টি নিয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত নেওয়ার কথা জানিয়ে ইসি সচিব শফিউল আজিম বলেন, “এখন কমিশন নেই। কিন্তু আদালতের নির্দেশ পালনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সে বিবেচনায় আইন মন্ত্রণালয় আইনগত মতামত দিয়েছে যে, এমন পরিস্থিতিতে ইসি সচিবালেই গেজেট করতে পারবে।”
তিনি বলেন, নিয়ম অনুযায়ী এখন স্থানীয় সরকার বিভাগ পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে। স্থানীয় সরকার বিভাগ চাইলে শপথ আয়োজনের মাধ্যমে শাহাদাত হোসেনকে দায়িত্বও দিতে পারে।
আরও পড়ুন:
রায় পেলেন শাহাদাত, মেয়রের চেয়ার কি পাবেন?
ভোটের সাড়ে তিন বছর পর শাহাদাতকে চট্টগ্রামের মেয়র ঘোষণার রায়