নির্বাচনে জেতার সম্ভাবনা না দেখে নাশকতা ও বিশৃঙ্খলা করার ষড়যন্ত্রে বিএনপি লিপ্ত বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেছেন, “বিএনপি জানে, নির্বাচনে তাদের কোনো সম্ভাবনা নাই, তাই তারা অনেক ষড়যন্ত্র এঁকেছে; তারা নাশকতা ও বিশৃঙ্খলা করার ষড়যন্ত্র করছে। তারা এখন যদিওবা নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের বাহানা করছে, সুযোগ পেলেই তারা আবার নাশকতা করবে, জনগণকে ছোবল মারবে।”
শনিবার বিকালে চট্টগ্রাম নগরীর আন্দরকিল্লা মোড়ে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, “আওয়ামী লীগ রাজপথের দল। দিয়াশলাইয়ের কাঠিতে যেমন খোঁচা দিলে জ্বলে ওঠে, তেমনই আমাদের নেতাকর্মীদের একটা গুণ হল- খোঁচা দিলে জ্বলে ওঠে। তারা আমাদের খোঁচা দিয়েছে, আমরা জ্বলে উঠেছি। আমরা রাজপথে নেমেছি। আগামী নির্বাচনে বিজয় ছিনিয়ে আনা ছাড়া আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা আর ঘরে ফিরে যাবে না।”
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “রাজপথে নেমেছি, নির্বাচন পর্যন্ত রাজপথে থাকব। কাউকে দেশে বিশৃঙ্খলা করতে দেওয়া হবে না। যদি কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালায়, আওয়ামী লীগ জনগণকে সাথে নিয়ে তাদের প্রতিহত করবে।”
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান বলেন, “দুনিয়ার কোথাও তত্ত্বাবধায়ক সরকার নাই, আছে শুধু একমাত্র পাকিস্তানে। বাংলাদেশ পাকিস্তানকে অনুকরণ করে না, পাকিস্তান এখন বাংলাদেশকে অনুকরণ করে। বাংলাদেশে আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে না।
“সমস্ত সংসদীয় গণতান্ত্রিক দেশে যেই সরকার ক্ষমতায় থাকে, তারা নির্বাচনকালীন সময়ে দায়িত্ব পালন করে। আমাদের দেশেও নির্বাচনকালীন সময়ে জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকবেন, তার সরকার নির্বাচনকালীন সরকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। আর নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে।”
বিএনপির কর্মসূচি নিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, “বিএনপি আজকে সমগ্র বাংলাদেশে আটটি জায়গায় সমাবেশের ডাক দিয়েছে। তাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশে বিশৃঙ্খলা তৈরি করা। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার অপচেষ্টার অংশ হিসেবে বিএনপি এবং তার জোট ধারাবাহিকভাবে নানা কর্মসূচি পালন করছে।”
বিএনপি এখন একটু ‘লাইনে এসেছে’ মন্তব্য করে হাছান বলেন, “জেলে যাবার আগে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাস সাহেবরা বক্তৃতা করেছেন সরকারকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিব। আওয়ামী লীগের ভিত বহু গভীরে প্রোথিত, আওয়ামী লীগকে কেউ ধাক্কা দিলে সে নিজে পড়ে যায়।
“সুতরাং তারা ধাক্কা দিতে গিয়ে কোমর ভেঙ্গে পড়ে গেছে। এখন তারা বলছেন, ‘আমরা কাউকে আর ধাক্কা দিতে চাই না। আমরা নির্বাচনের মাধ্যমে সরকারকে বিদায় করতে চাই।’ আসুন, আপনারা নির্বাচনে আসুন। আপনারা নির্বাচনকে বয়কট করবেন, নির্বাচনকে ভয় পাবেন, আপনাদের নির্বাচনের ট্রেনে তোলার দায়িত্ব আমাদের নয়।”
মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শান্তি সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য নঈম উদ্দিন চৌধুরী, মহানগর কমিটির সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন, অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, উপদেষ্টা শফর আলী, কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ।