তা না হলে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের অপসারণ করা হবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. ফাহমিদা খানম।
Published : 03 Sep 2024, 09:39 PM
চট্টগ্রামে পাহাড়ে বসতি স্থাপনকারীদের সাত দিনের মধ্যে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. ফাহমিদা খানম।
মঙ্গলবার বন্দরনগরী চট্টগ্রামের আকবর শাহ এলাকায় পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরপর চট্টগ্রামের কয়েকটি এলাকায় রাতের আঁধারে পাহাড় কাটার ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে আকবর শাহ এলাকা অন্যতম।
এর প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার আকবর শাহ এলাকায় পাহাড় কাটা এলাকা পরিদর্শন ও পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি দল।
পরিবেশ, বন ও জলাবায়ু মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. ফাহমিদা খানম এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন।
তিনি বলেন, “পাহাড় কাটা রোধে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। পাহাড় কেটে বসতবাড়ি তৈরি করলে ভারি বৃষ্টির ফলে পাহাড়ের মাটি ধসে পড়ে অনেক মানুষের মৃত্যু হয়।
“এছাড়া বিশ্বের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৩০ সালের মধ্যে বায়ো-ডাইভারসিটি ফ্রেমওয়ার্ক এর আওতায় পানি ও জমির ৩০ শতাংশ সংরক্ষণ করার জন্য আইন পাস করা হয়েছে।”
তিনি বলেন, “এসব বিবেচনা করে পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থান নিয়েছে। কোনো ধরনের নদী, পুকুর, ডোবা যেমন ভরাট করা যাবে না তেমনি পাহাড়ের মাটিও কাটা যাবে না। কোনো পাহাড় ব্যক্তি মালিকানাধীন হলেও সে পাহাড়ের মাটি কাটা যাবে না।
“যারা এতদিন পাহাড় কেটে বসতবাড়ি তৈরি করেছেন, তাদের আগামী সাত দিনের মধ্যে নিজ দায়িত্বে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিচ্ছি। অন্যথায় আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের অপসারণ করা হবে।”
বন্দর নগরীতে গত দুই দশক ধরে প্রায় প্রতি বছর পাহাড় ধসের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। প্রতি বছর বর্ষা এলে স্থানীয় প্রশাসন পাহাড়ে বসতি স্থাপনকারীদের সরাতে তৎপরতা শুরু করে।
পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের পরিচালক মো. হাসান হাছিবুর রহমানসহ অধিদপ্তরের বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা মঙ্গলবার অভিযানে অংশ নেন।