৪৪৬টি কেন্দ্রকে ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অতীত অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ভৌগলিক অবস্থান এবং ‘প্রভাবশালী প্রার্থীর’ বাসাবাড়ি বিবেচনায় নিয়ে এসব কেন্দ্র চিহ্নিত করা হয়েছে।
Published : 31 Dec 2023, 05:38 PM
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম মহানগরের ৬৬০টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৪৪৬টিকে ‘অধিক গুরুত্বপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে পুলিশ।
রোববার নগরীর মনসুরাবাদ পুলিশ লাইনে সিএমপি’র ডগ স্কোয়াড কে-নাইন ইউনিটের উদ্বোধনী অনুষ্টানে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান নগর পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়।
সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় জানান, চট্টগ্রাম মহানগরীতে তিনটি পূর্ণাঙ্গ ও চারটি সংসদীয় আসনের আংশিক অবস্থান। এসব আসনের ৬৬০টি কেন্দ্রের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ। বাকীগুলোতে থাকবে জেলা পুলিশ।
৪৪৬টি কেন্দ্রকে ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অতীত অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ভৌগলিক অবস্থান এবং ‘প্রভাবশালী প্রার্থীর’ বাসাবাড়ি বিবেচনায় নিয়ে এসব কেন্দ্র চিহ্নিত করা হয়েছে।
গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে চার জন এবং কম গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে তিন জন করে অস্ত্রধারী পুলিশ ও দুই জন করে অস্ত্রধারী আনসার সদস্যসহ ১৫ জন আনসার মোতায়েন থাকবে বলে জানান সিএমপি কমিশনার।
এর পাশাপাশি মোবাইল টিম, থানা এবং কন্ট্রোল রুমে স্ট্রাইকিং টিম থাকবে। সোয়াট, বোম্ব ডিস্পোজাল ইউনিট ও ডগ স্কোয়াডের কে-নাইন ইউনিটকেও স্ট্রাইকিং হিসেবে রাখা হবে।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশ প্রধান কৃষ্ণপদ রায় বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তিন স্তরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজানো হয়েছে। এর একটি তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচনের আগের দিন পর্যন্ত, একটি নির্বাচনের দিন এবং অপরটি নির্বাচন পরবর্তী সময়ের জন্য।
এদিকে নির্বাচনের আগে পুলিশের বিশেষ অভিযানে বেশকিছু অস্ত্র এবং নির্বাচনের জন্য হুমকি হতে পারে এমন কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
সিএমপি কমিশনার বলেন, “নির্বাচনে প্রধান আইন শৃঙ্খলা বাহিনী হিসেবে পুলিশের পাশাপাশি তাদের সহযোগী সংস্থাগুলোও নির্বাচনকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করবে এবং স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে নিয়োজিত থাকবে।”
ভোটাররা কেন্দ্রে গিয়ে নিরাপদে যেন ভোট দিতে পারেন সেজন্য পুলিশের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছেও জানান তিনি।
পুলিশ কর্মকর্তা কৃষ্ণপদ রায় বলেন, “নির্বাচন কমিশন বলেছে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও ক্রেডিবল ইলেকশন তারা নিশ্চিত করতে চায়, সেটা নিশ্চিত করতে সিএমপির সকল সদস্য প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।”
নির্বাচনকে ভীতিহীন করতে নির্বাচনের তিন আগে থেকে নির্বাচনের পরদিন পর্যন্ত পাঁচ দিনে সিএমপির ৪ হাজারের বেশি অফিসার ও ফোর্স মোতায়েন থাকবে বলেও জানান নগর পুলিশ প্রধান।
তিনি আরও বলেন, “আইন সবার জন্য সমান ভাবে প্রয়োগ হবে, এজন্য প্রার্থীর দলীয় এবং ব্যক্তিগত পরিচয় আমরা বিবেচনায় সামনে নিয়ে আসব না।
“নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী, কোনো বৈধ অস্ত্র বহন কিংবা ব্যবহার করা যাবে না, যদি কেউ বহন বা ব্যবহার করে তাহলে অস্ত্র আইনের আওতায় অপরাধী বলে গণ্য হবে এবং সে অনুসারে তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
এসময় নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (প্রশাসন) এমএ মাসুদ, অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) এএসএম মাহাতাব উদ্দিন, অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) আব্দুল মান্নান মিয়া, উপ-কমিশনার (সদর) আব্দুল ওয়ারীশ, উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মোস্তাফিজুর রহমানসহ বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।