চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের একটি প্রকল্পের আওতায় রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণের জন্য পাহাড় কাটার সময় ধসে পড়া মাটি চাপায় একজন নিহতের ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
শনিবার নগরীর আকবর শাহ থানায় মামলাটি করেন নিহত মজিবুর রহমান ওরফে খোকার (৪৫) স্ত্রী হাসিনা বেগম।
আকবর শাহ থানার ওসি ওয়ালি উদ্দিন আকবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে একটি ইউডি (অপমৃত্যু) মামলা করেছেন। মামলাটি আমরা তদন্ত করব। তদন্ত সাপেক্ষে কাউকে দোষী পাওয়া গেলে তখন আসামি করার বিষয়টি আসবে।
“এ ঘটনায় জেলা প্রশাসন একটি তদন্ত কমিটি করছে। জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনও আমরা বিবেচনায় নিব।”
নগরীর আকবর শাহ থানার বেলতলী ঘোনা এলাকার ফারুক চৌধুরী মাঠ সংলগ্ন অংশে শুক্রবার বিকালে সিটি করপোরেশনের একটি প্রকল্পের রিটেইনিং ওয়াল তৈরির কাজের সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
শুক্রবার আকবর শাহ থানার ওসি ওয়ালি উদ্দিন আকবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, পাহাড় কাটার সময় শ্রমিকদের ওপর মাটি ধসে পড়ে। তাতে খোকা নিহত হওয়া ছাড়াও আরও তিনজন আহত হন। হতাহতরা সবাই মিস্ত্রি ও শ্রমিক। নিহত ব্যক্তির বাড়ি চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার খুরুমখালীতে।
পাহাড় ধসের খবর পেয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী ও জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দুর্ঘটনাস্থলে যান।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মেয়র বলেছিলেন, সিটি করপোরেশনের অধীনে এডিবির অর্থায়নে দুই কোটি ৬৭ লাখ টাকার প্রকল্পের কাজ ছিল এটি। রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণের কাজ করার সময় এই ঘটনা ঘটেছে।
“এর পেছনে একটা হাউজিং সোসাইটি রয়েছে। সেখানে ভবন করার সময় কাটা মাটিগুলো জড়ো করা হয়েছিল। সেগুলো ধসে পড়েছে। কাজের সময় নিরাপত্তার জন্য যেটা দরকার, সেটা করা হয়নি। কারো গাফেলতি থাকলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
পাহাড় ধসে হতাহতের ঘটনায় জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাকিব হাসানকে প্রধান করে সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। কমিটিতে সিটি করপোরেশন, সিডিএ, পরিবেশ অধিদপ্তর, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের প্রতিনিধিদের রাখা হয়েছে।