পাহাড় কাটায় দু’মাস আগেই ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালায় বেলতলী ঘোনায়

সিটি করপোরেশনের অধীনে এডিবির অর্থায়নে দুই কোটি ৬৭ লাখ টাকার একটি প্রকল্পের কাজ চলছে সেখানে।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 April 2023, 02:57 PM
Updated : 7 April 2023, 02:57 PM

চট্টগ্রামের আকবর শাহ এলাকার বেলতলী ঘোনায় যেখানে পাহাড় ধসে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে, দুই মাস আগেই সেখানে পাহাড় কাটার সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত চালিয়ে এক্সক্যাভেটরসহ একজনকে আটক করা হয়েছিল।

বেলতলী ঘোনার ফারুক চৌধুরী মাঠ এলাকার ওই জায়গায় শুক্রবার বিকালে সিটি করপোরেশন পরিচালিত একটি প্রকল্পের রিটেইনিং ওয়াল তৈরির কাজের সময় দুর্ঘটনা ঘটে। 

পাহাড় কেটে দেয়াল তোলার সময় মাটি ধসে পড়লে মজিবুর রহমান ওরফে খোকা নামে একজন নিহত হন, আহত হন আরও তিনজন। হতাহতরা সবাই মিস্ত্রী ও শ্রমিক। নিহত ব্যক্তির বাড়ি চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার খুরুমখালীতে।

দুর্ঘটনার পরপর সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী এবং জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্লাবন কুমার বিশ্বাস জানান, গত ১১ ফেব্রুয়ারি একই এলাকায় পাহাড় কাটার ঘটনায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।

কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ওমর ফারুক সেই অভিযানে মো. শাহজাহান নামে এক ব্যক্তিকে এক্সক্যাভেটরসহ আটক করেছিলেন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, সিটি করপোরেশনের অধীনে এডিবির অর্থায়নে দুই কোটি ৬৭ লাখ টাকার প্রকল্পের কাজ ছিল এটি। রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণের কাজ করার সময় এই ঘটনা ঘটেছে। 

এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, “এর পেছনে একটা হাউজিং সোসাইটি রয়েছে। সেখানে ভবন করার সময় কাটা মাটিগুলো জড়ো করা হয়েছিল। সেগুলো ধসে পড়েছে। কাজের সময় নিরাপত্তার জন্য যেটা দরকার, সেটা করা হয়নি। কারো গাফেলতি থাকলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, “ঘটনাস্থলে কারা কাজ করছিল আমরা খতিয়ে দেখছি। জেলা প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিস ও সিটি করপোরেশনকে নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি করা হবে।”

Also Read: চট্টগ্রামে পাহাড় কাটার সময় ধস, নিহত ১

নিহত ব্যক্তির দাফনের জন্য প্রাথমিকভাবে ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হবে। এছাড়া দুর্ঘটনাস্থলের ঝুঁকি মোকাবেলায় সেনাবাহিনীর একটি ইঞ্জিনিয়ারিং টিমকে ডাকা হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক।

আহত তিনজনের নাম-পরিচয় প্রাথমিকভাবে জানা যায়নি।