'এর বেশি কিছু বলার নেই। আমরা ভালো বোলিং করিনি'- ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডে হারের পর বলছিলেন তামিম ইকবাল। প্রশ্ন উঠেছে টস জিতে তার আগে ফিল্ডিং নেওয়ার সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা নিয়েও। উত্তরে নিজের সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে ঘুরেফিরে বোলিংকেই দায় দিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
শের-ই বাংলায় শুক্রবারের ম্যাচের উইকেটে বোলারদের জন্য সাহায্য ছিল স্পষ্ট। উইকেটের চিটচিটে ভাব আছে উল্লেখ করে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন তামিম। তবে জস বাটলার বলেন, টস জিতলে তিনি আগে ব্যাটিংই নিতেন।
তামিমের ধারণা ভুল ছিল না। প্রথম ওভার থেকেই টার্ন পান স্পিনাররা। তাই দুই প্রান্ত থেকেই স্পিনার দিয়ে বোলিং শুরু করে বাংলাদেশ। কিন্তু প্রথম স্পেলে সেই টার্ন কাজে লাগাতে পারেননি তাইজুল ইসলাম, সাকিব আল হাসানরা। ফলে পঞ্চম ওভারেই আনা হয় পেসার।
পেসারদের ওভারেও শুরুর দিকে উইকেটে ধুলা উড়িয়ে বল কিছুটা থেমে ব্যাটে যায়। অবশ্য সেই সুবিধাও ঠিকমতো কাজে লাগাতে পারেননি বাংলাদেশের বোলাররা। জেসন রয়ের সেঞ্চুরি ও জস বাটলারের ফিফটিতে প্রায় ৫ বছর পর মিরপুরে ৩০০ ছাড়ানো স্কোর গড়ে ইংল্যান্ড।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে, উইকেট পড়তে কি ভুল হয়েছিল বাংলাদেশের? কারণ ইংলিশ অধিনায়ক চেয়েছিলেন আগে ব্যাটিং করতে এবং কেন চেয়েছিলেন সেটি তাদের ব্যাটসম্যানরা প্রমাণও করেছেন।
তবে টসের সিদ্ধান্তে ভুল দেখেন না তামিম। বাংলাদেশ অধিনায়কের কাঠগড়ায় উঠল বোলারদের এলোমেলো বোলিং।
“প্রতিপক্ষ অধিনায়ক কী বলেছে, তা নিয়ে আমি একদমই চিন্তিত নই। সে হয়তো বলেছে আগে ব্যাট করতে চেয়েছিল। আমিও অনেক সময় টস হেরে এমন কথা বলেছি। তো এটি আমার কাছে তেমন চিন্তার কিছু নয়।”
“আমি ও আমার ম্যানেজম্যান্টের মনে হয়েছে, উইকেট কিছুটা চিটচিটে এবং এটি তা-ই ছিল। তবে যতই চিটচিটে ভাব থাকুক অথবা সাহায্য থাকুক, আপনি যদি ঠিক জায়গায় বোলিং না করেন, তাহলে আপনার ওপর মার পড়বে।”
অবশ্য শুধু নিজেদের বোলিংকেই দায় দিতে রাজি নন তামিম। রয়-বাটলারের পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া ব্যাটিংকেও বাহবা দিলেন তিনি।
“ওরা যেভাবে খেলেছে, কৃতিত্ব দিতেই হবে। ওরা সুযোগ নিয়েছে। সুইপ খেলেছে, রিভার্স সুইপ খেলেছে। এগুলো কাজে লেগেছে। ওদেরকে কৃতিত্ব দিতে হবে।”
ক্যারিয়ারে দ্বাদশ সেঞ্চুরিতে ১২৪ বলে ১৩২ রান করার পথে ৭টি রিভার্স সুইপ খেলেছেন রয়। যেখানে ৪টি চার ও ৩ সিঙ্গেলে ১৯ রান পেয়েছেন তিনি।