বিশ্বকাপে নিজেদের ষষ্ঠ ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৮৭ রানে হেরেছে সাকিব আল হাসানের দল।
Published : 28 Oct 2023, 01:55 PM
আফগানিস্তানকে হারিয়ে জয় দিয়ে বিশ্বকাপ শুরুর পর যেন উল্টো পথে হাঁটছে বাংলাদেশ। ভারত, ইংল্যান্ড, নিউ জিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হেরেছে টানা চার ম্যাচ। ক্রমেই ফিকে হয়ে যাওয়া সেমি-ফাইনালের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে জয়ের বিকল্প নেই সাকিব আল হাসানদের।
কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে শনিবার ম্যাচ শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বেলা আড়াইটায়।
ওয়ানডেতে কেবল তৃতীয়বার নেদারল্যান্ডের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ, বিশ্বকাপে দ্বিতীয়বার। এই সংস্করণে দলদুটি ২০১১ বিশ্বকাপের পর প্রথমবার মুখোমুখি হচ্ছে।
দুই দল দাঁড়িয়ে প্রায় একই অবস্থানে। পাঁচ ম্যাচে জয় কেবল একটি, হার চারটি। রান রেটে পিছিয়ে তলানিতে নেদারল্যান্ডস, বাংলাদেশ এগিয়ে থেকে অষ্টম।
পরপর দুই ম্যাচে টস হারলেন সাকিব আল হাসান। টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিলেন নেদারল্যান্ডস অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস।
ভালো উইকেটে দ্রুত রান তোলার তাগিদ দিয়েছেন এডওয়ার্ডস। নতুন ম্যাচে নতুনভাবে এগোনোর লক্ষ্য তার দলের।
আগের চার ম্যাচের ব্যর্থতা ভুলে তিন বিভাগেই ভালো করার প্রত্যয় জানিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
কাঁধের চোটে দুই ম্যাচ বাইরে থাকার পর একাদশে ফিরলেন তাসকিন আহমেদ। তিন ম্যাচ পর ফের একাদশে সুযোগ পেলেন শেখ মেহেদি হাসান।
তারা দুজন ফেরায় বাদ পড়েছেন হাসান মাহমুদ, নাসুম আহমেদ। ফলে বোলিং বিভাগে কম্বিনেশনে আসেনি কোনো পরিবর্তন। তিন পেসারের সঙ্গে তিন স্পিনার নিয়েই নামছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ একাদশ: তানজিদ হাসান, লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, মেহেদী হাসান মিরাজ, শেখ মেহেদি হাসান, তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম।
বাংলাদেশের মতো নেদারল্যান্ডসও নিজেদের একাদশে এনেছে জোড়া পরিবর্তন। বাইরে রাখা হয়েছে রুলফ ফন ডার মেরওয়া, তেজা নিদামানুরুকে। একাদশে সুযোগ পেয়েছেন শারিজ আহমাদ, ওয়েসলি বারেসি।
দুজনেরই রয়েছে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলার অভিজ্ঞতা। ২০১১ সালের বিশ্বকাপে দুই দলের সবশেষ ওয়ানডে ম্যাচের দলে থাকা একমাত্র ডাচ ক্রিকেটার বারেসি। গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলেছেন শারিজ।
নেদারল্যান্ডস একাদশ: স্কট এডওয়ার্ডস (অধিনায়ক), কলিন আকারম্যান, শারিজ আহমাদ, ওয়েসলি বারেসি, লোগান ফন বিক, আরিয়ান দত্ত, সাইব্রান্ড এঙ্গেলব্রেশট, বাস ডে লেডে, পল ফন মেকেরেন, মাক্স ও'ডাওড, ভিক্রাম সিং।
চোট কাটিয়ে একাদশে ফিরেই সাফল্য পেলেন তাসকিন আহমেদ। নিজের প্রথম ওভারেই ভিক্রাম সিংকে ফিরিয়ে দিলেন গতিময় এই পেসার।
প্রথম ওভারটি করেন শরিফুল ইসলাম। বাঁহাতি পেসারের বলে ৩ রান নিয়ে রানের খাতা খোলেন ভিক্রাম। পরের ওভারেই তাকে বিদায় করেন তাসকিন।
তার বলে ফ্লিক করতে চেয়েছিলেন ডাচ ওপেনার। ঠিক মতো পারেননি, শট খেলে ফেলেন একটু আগেভাগেই। ব্যাটের কানায় লেগে সহজ ক্যাচ যায় মিডঅফে। সেখানে কোনো ভুল করেননি সাকিব আল হাসান।
৯ বলে ৩ রান করেন ভিক্রাম।
২ ওভারে ১ উইকেটে নেদারল্যান্ডসের রান ৪। ক্রিজে মাক্স ও'ডাওডের সঙ্গী ওয়েসলি বারেসি।
মাত্র ১৪ বলের মধ্যে দুই ওপেনারকে হারাল নেদারল্যান্ডস। ভিক্রাম সিংয়ের পর ফিরে গেলেন মাক্স ও’ডাওড।
বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলামের অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের বল ঠিক মতো খেলতে পারেননি তিনি। ব্যাটের কানা ছুঁয়ে দ্রুত গতিতে চলে যাচ্ছিল স্লিপ ফিল্ডারের মাথার উপর দিয়ে। দারুণ রিফ্লেক্স দেখিয়ে ক্যাচ মুঠোয় জমান তানজিদ হাসান।
৩ বল খেলে রানের খাতা খুলতে পারেননি ও’ডাওড।
৩ ওভারে নেদারল্যান্ডের রান ২ উইকেটে ৯। ক্রিজে ওয়েসলি বারেসির সঙ্গী কলিন আকারম্যান।
দ্রুতই দুই ওপেনারকে ফেরানোর পর প্রথম ওভারে আর সাফল্য পায়নি বাংলাদেশ। জুটি গড়ার চেষ্টায় এগিয়ে যাচ্ছেন ওয়েসলি বারেসি, কলিন আকারম্যান। প্রথম পাওয়ার প্লেতে তাদের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৪৭ রান।
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই ভিক্রাম সিংকে ফেরান তাসকিন আহমেদ। পরের ওভারে শরিফুল ইসলামের শিকার আরেক ওপেনার ম্যাক্স ও'ডাওড।
স্রেফ ৪ রানে ২ উইকেট হারানোর পর পাল্টা আক্রমণের পথে হাঁটেন তিন নম্বরে নামা বারেসি। ৭ চারে ২৭ বলে ৩৩ রানে অপরাজিত তিনি। অপর প্রান্তে রয়ে সয়ে খেলা আকারম্যান ২১ বলে করেন ৮ রান।
৩৯ বছর ১৭৮ দিন বয়সে খেলতে নেমে চলতি বিশ্বকাপে এখন সবচেয়ে বয়স্ক ক্রিকেটার বারেসি। ২০১১ সালে নেদারল্যান্ডসের সবশেষ বিশ্বকাপ অভিযানের দলে থাকা একমাত্র ক্রিকেটার তিনি।
তিন ওভারের মধ্যে দুই ওপেনারকে হারানো নেদারল্যান্ডসকে টানছেন ওয়েসলি বারেসি ও কলিন আকারম্যান। তৃতীয় উইকেটে তাদের জুটিতে পঞ্চাশ এসেছে কেবল ৫৭ বলে।
বাজে বল প্রচুরই পাচ্ছেন দুই ব্যাটসম্যান। পঞ্চাশ রানের জুটিতে তাদের ব্যাট থেকে এসেছে আটটি চার।
১২ ওভারে নেদারল্যান্ডসের রান ২ উইকেটে ৫৪। ২৬ বলে ১২ রানে খেলছেন আকারম্যান। ৩৪ বলে বারেসির রান ৩৬।
ক্রিজে যাওয়ার পর থেকে দ্রুত রানের চেষ্টায় ছিলেন ওয়েসলি বারেসি। সেই চেষ্টায় খুব একটা সফল হলেন না অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান। দারুণ এক ডেলিভারিতে তাকে ফিরিয়ে দিলেন মুস্তাফিজুর রহমান।
বাঁহাতি পেসারের স্লোয়ার বুঝতে পারেননি বারেসি। লং অফ দিয়ে ছক্কার চেষ্টায় তুলে দেন আকাশে। বোলার মুস্তাফিজের খুব কাছেই ছিল ক্যাচ কিন্তু ছুটে এসে পিচের উপর দাঁড়িয়ে মুঠোয় নেন সাকিব আল হাসান। ভাঙে ৬৮ বল স্থায়ী ৫৯ রানের জুটি।
৮ চারে ৪১ বলে ৪১ রান করেন বারেসি।
১৪ ওভারে নেদারল্যান্ডসের রান ৩ উইকেটে ৬৩। ক্রিজে কলিন আকারম্যানের সঙ্গী স্কট এডওয়ার্ডস।
ক্রিজে অনেকটা সময় কাটানো কলিন আকারম্যানকে ডানা মেলতে দিলেন সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশ অধিনায়ক নিলেন নিজের প্রথম উইকেট।
আগের ওভারে বোলার ছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান, সেবার ক্যাচ নিয়েছিলেন সাকিব। এবার বোলিংয়ে বাঁহাতি এই স্পিনার। ফাইন লেগে চমৎকার ক্যাচ নিলেন মুস্তাফিজ।
সাকিবকে সুইপ করে বাউন্ডারি মারতে চেয়েছিলেন আকারম্যান। বাড়তি বাউন্সের জন্য ঠিক মতো খেলতে পারেননি তিনি। সতর্ক মুস্তাফিজ দুই হাতে জমান ক্যাচ।
৩৩ বলে এক চারে ১৫ রান করেন আকারম্যান।
১৫ ওভারে নেদারল্যান্ডসের রান ৪ উইকেটে ৬৩। ক্রিজে স্কট এডওয়ার্ডসের সঙ্গী বাস ডে লেডে।
পরপর দুই ওভারে দুটি উইকেট হারানো নেদারল্যান্ডসের বিপদ বাড়তে পারত আরও। মুস্তাফিজুর রহমানের বলে দুইবার বেঁচে গেলেন ডাচ অধিনায়ক।
ষোড়শ ওভারের দ্বিতীয় বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে গালিতে ক্যাচ তুলে দেন এডওয়ার্ডস। বেশ দ্রুত আসা বল মুঠোয় নিতে পারেননি লিটন দাস।
এক বল পর আবার সুযোগ দেন এডওয়ার্ডস। এবার ডান দিকে ঝাঁপিয়ে নিচু ক্যাচ ধরতে পারেননি উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিম।
তখন পর্যন্ত রানের খাতা খুলতে পারেননি এডওয়ার্ডস।
১৬ ওভারে ৪ উইকেটে নেদারল্যান্ডসের রান ৬৩।
কলিন আকারম্যানকে আউট করে বিশ্বকাপে স্পিনারদের মধ্যে সর্বোচ্চ উইকেটের তালিকার দুইয়ে উঠলেন সাকিব আল হাসান। তিনি নিচে নামালেন ইমরান তাহিরকে।
এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপে ৩৪ ইনিংসে সাকিব ধরেছেন ৪১ শিকার। তিন বিশ্বকাপের ২১ ইনিংসে তাহির পেয়েছেন ৪০ উইকেট।
স্পিনারদের মধ্যে সাকিবের সামনে এখন শুধু মুত্তিয়া মুরালিধারান। ৩৯ ইনিংসে লঙ্কান কিংবদন্তির শিকার ৬৮ উইকেট।
একাদশ ওভারে পঞ্চাশ ছুঁয়েছিল নেদারল্যান্ডেসর রান। পরের পঞ্চাশ এলো বেশ দেরিতে। ২৫তম ওভারে একশ স্পর্শ করল ডাচদের সংগ্রহ।
২৬তম ওভারে নেদারল্যান্ডসের রান ৪ উইকেটে ১০৫। ২৬ বলে ১৫ রানে খেলছেন বাস ডে লেডে। শূন্য রানে দুইবার বেঁচে যাওয়া স্কট এডওয়ার্ডস ৪৪ বলে ব্যাট করছেন ২৭ রানে। দুই জনই মেরেছেন দুটি করে চার।
বল মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসে জমা পড়তেই জোরাল আবেদন করলেন সাকিব আল হাসান। অভিজ্ঞ কিপার নিশ্চিত ছিলেন না, তিনি আবেদনই করেননি। কিন্তু প্রবল আত্মবিশ্বাসী ছিলেন অধিনায়ক। দ্রুতই নেন রিভিউ, সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় না থেকে হাঁটা ধরেন ডাচ ব্যাটসম্যান!
তাসকিন আহমেদের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে কাট করতে চেয়েছিলেন ডে লেডে। ঠিক মতো পারেননি, কানা ছুঁয়ে যায় কিপারের কাছে। বুক উচ্চতার ক্যাচ অনায়াসেই গ্লাভসে জমান মুশফিক।
আম্পায়ার আবেদনে সাড়া না দিলে রিভিউ নেয় বাংলাদেশ। ডে লেডে হাঁটা ধরায় দল পরিষ্কার হয়ে যায়, ব্যাট ছুঁয়ে গিয়েছিল বল। পরে রিপ্লেতেও সেটা স্পষ্ট হয়। আল্ট্রাএজে ধরা পড়ে স্পাইক। ভাঙে ৭৪ বল স্থায়ী ৪৪ রানের জুটি।
৩২ বলে দুই চারে ডে লেডে করেন ১৭ রান।
২৭ ওভারে নেদারল্যান্ডসের রান ৫ উইকেটে ১০৭। ক্রিজে স্কট এডওয়ার্ডসের সঙ্গী সাইব্রান্ড এঙ্গেলব্রেশট।
শূন্য রানে দুইবার বেঁচে যাওয়া স্কট এডওয়ার্ডস টানছেন দলকে। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ডাচ অধিনায়ক ছুঁয়েছেন পঞ্চাশ। একই সঙ্গে জুটির রানও স্পর্শ করেছে পঞ্চাশ।
তিন চারে ৭৮ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করেন এডওয়ার্ডস। তার সঙ্গে সাইব্রান্ড এঙ্গেলব্রেশটের জুটির পঞ্চাশ হয় ৮১ বলে।
শূন্য রানে দুইবার বেঁচে যাওয়া স্কট এডওয়ার্ডস টানছেন দলকে। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ডাচ অধিনায়ক ছুঁয়েছেন পঞ্চাশ। একই সঙ্গে জুটির রানও স্পর্শ করেছে পঞ্চাশ।
তিন চারে ৭৮ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করেন এডওয়ার্ডস। তার সঙ্গে সাইব্রান্ড এঙ্গেলব্রেশটের জুটির পঞ্চাশ হয় ৮১ বলে।
৪১ ওভারে নেদারল্যান্ডসের রান ৫ উইকেটে ১৬১। ৮১ বলে ৫৫ রানে খেলছেন এডওয়ার্ডস। ৪৭ বলে এঙ্গেলব্রেশটের রান ২৪।
দুর্দান্ত বোলিং করলেও সতীর্থদের ব্যর্থতায় ততটা প্রাপ্তি মিলছে না মুস্তাফিজুর রহমানের। বাঁহাতি এই পেসারের বলে ছুটেছে আরেকটি ক্যাচ।
ষোড়শ ওভারে তিন বলের মধ্যে স্কট এডওয়ার্ডসের দুটি ক্যাচ ছেড়েছিলেন লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিম। এবার সাইব্রান্ড এঙ্গেলব্রেশটকে জীবন দিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
মুস্তাফিজের কাটারে তেড়েফুড়ে মারতে গিয়ে আকাশে তুলে দেন এঙ্গেলব্রেশট। ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট থেকে পিছিয়ে গিয়ে মুঠোয় জমাতে পারেননি মিরাজ। বলের নিচে যেতে না পারায় শেষ মুহূর্তে ঝাঁপিয়ে চেষ্টা করেছিলেন তিনি। কিন্তু মুঠোয় নিতে পারেননি। সে সময় ২৯ রানে ছিলেন ডাচ মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান।
৪৩ ওভারে নেদারল্যান্ডসের রান ৫ উইকেটে ১৭২।
শূন্য রানে যার বলে দুইবার জীবন পেয়েছিলেন সেই মুস্তাফিজুর রহমানের বলেই ফিরলেন স্কট এডওয়ার্ডস।
বৈচিত্র দিয়ে ডাচ ব্যাটসম্যাদের দ্বিধায় রাখছেন মুস্তাফিজ। কখনও কাটার দিচ্ছেন, ইয়র্কার কখনও স্টাম্পে রাখছেন, কখনও অফ স্টাম্পের অনেক বাইরে। তাতে বেশ পরীক্ষাই দিতে হচ্ছে ব্যাটসম্যানদের।
তেমনই এক ডেলিভারিতে ফিরে গেলেন এডওয়ার্ডস। ওয়াইড ইয়র্কার তাড়া করতে গিয়ে সহজ ক্যাচ দেন ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে। এক ওভার আগে একটি ক্যাচ ছাড়লেও এবার কোনো ভুল করেননি মেহেদী হাসান মিরাজ। ভাঙে ১০৫ বল স্থায়ী ৭৮ রানের জুটি।
৬৮ বলে ডাচ অধিনায়ক ছয় চারে করেন ৬৮ রান।
৪৫ ওভারে নেদারল্যান্ডসের রান ৬ উইকেটে ১৮৫। ক্রিজে সাইব্রান্ড এঙ্গেলব্রেশটের সঙ্গী শারিজ আহমাদ।
স্পিনারদের দুটি ওভার আছে। রানের গতি বাড়ানোর জন্য হয়তো সেই ওভারগুলোকে লক্ষ্য করেছিলেন সাইব্রান্ড এঙ্গেলব্রেশট। কিন্তু অফ স্পিনার শেখ মেহেদি হাসানের নতুন স্পেলের প্রথম বলেই আউট হয়ে গেলেন তিনি।
স্টাম্পে থাকা ডেলিভারিতে রিভার্স সুইপ করেন এঙ্গেলব্রেশট। ব্যাটে খেলতে পারেননিম আম্পায়ার এলিবডব্লিউর জোরাল আবেদনে সাড়া দিলে তিনি নেন রিভিউ। তাতে অবশ্য কাজ হয়নি। ইনিংসে তৃতীয়বার টানা দুই ওভারে দুটি উইকেট হারাল নেদারল্যান্ডস।
নতুন ব্যাটসম্যান শারিজ আহমাদ ফিরতে পারতেন শূন্য রানে। তিনি বেঁচে যান আম্পায়ার্স কলে। বল লাগত লেগ স্টাম্পের বাইরের দিকে!
৪৬ ওভারে নেদারল্যান্ডসের রান ৭ উইকেটে ১৮৯। ক্রিজে শারিজের সঙ্গী লোগান ফন বিক।
মুস্তাফিজুর রহমানের বলে রিভিউ নিয়ে বাঁচলেন শারিজ আহমাদ। আম্পায়ার এলবিডব্লিউ দেওয়ার পর বেশ সময় নিয়ে রিভিউ নেন তিনি। আল্ট্রাএজে বলে ব্যাট স্পর্শের প্রমাণ পাওয়ায় সিদ্ধান্ত পাল্টান আম্পায়ার।
সে সময় ৪ রানে ছিলেন শারিজ।
৪৭ ওভারে নেদারল্যান্ডসের রান ৭ উইকেটে ১৯৩।
একবার আম্পায়ার্স কলে আরেকবার রিভিউ নিয়ে বেঁচে যাওয়া শারিজ আহমাদ টিকলেন না বেশিক্ষণ। দুই রান নেওয়ার চেষ্টায় হয়ে রান আউট ফিরে গেলেন তিনি।
শেখ মেহেদি হাসানের বল মিডউইকেটে বল পাঠিয়ে দুই রানের জন্য ছুটেন তিনি। ডাইভ দিয়ে প্রায় পৌঁছেই গিয়েছিলেন কিন্তু একটুর জন্য শেষরক্ষা করতে পারেননি। মাহমুদউল্লাহর থ্রো পেয়েই বেলস ফেলে দেন মুশফিকুর রহিম।
৮ বলে শারিজ করেন ৬ রান।
এই ওভারেই বাই চার থেকে দুইশ স্পর্শ করে নেদারল্যান্ডসের রান।
৪৮ ওভারে ডাচদের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ২০৩।
শরিফুল ইসলামকে ছক্কা মারার পরের বলেই ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেলেন আরিয়ান দত্ত। বাঁহাতি পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরের ফুল লেংথ বল উড়িয়ে লেগে খেলার চেষ্টায় সফল হননি তিনি। ব্যাটের কানায় লেগে শর্ট থার্ড ম্যানে যাওয়া ক্যাচ সহজেই নেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
৬ বলে আরিয়ান করেন ৯ রান।
৪৯ ওভারে নেদারল্যান্ডসের সংগ্রহ ৯ উইকেটে ২১২। ক্রিজে লোগান ফন বিকের সঙ্গী পল ফন মিকেরেন।
ইনিংসের শেষ ওভারে এক ছক্কা আর দুই চারে ১৭ রান তুলে নিলেন লোগান ফন বিক। বাংলাদেশকে ২৩০ রানের লক্ষ্য দিল নেদারল্যান্ডস।
শেখ মেহেদি হাসানের প্রথম দুই বলে দুটি চার মারেন ফন বিক। পরের বলে নেন দুই। চতুর্থ বল ছক্কার উড়ানোর পর প্রান্ত বদল করেন।
শেষ বলে পল ফন মেকেরেনকে এলবিডব্লিউ করে ২২৯ রানে ডাচদের ইনিংস গুটিয়ে দেন মেহেদি। রানের খাতা খুলতে পারেননি ফন মেকেরেন।
১৬ বলে দুই চার ও এক ছক্কায় ২৩ রানে অপরাজিত থাকেন ফন বিক।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
নেদারল্যান্ডস: ৫০ ওভারে ২২৯ (ভিক্রাম ৩, ও’ডাওড ০, বারেসি ৪১, আকারম্যান ১৫, এডওয়ার্ডস ৬৮, ডে লেডে ১৭, এঙ্গেলব্রেশট ৩৫, ফন বিক ২৩*, শারিজ ৬, আরিয়ান ৯, মেকেরেন ০; শরিফুল ১০-০-৫১-২, তাসকিন ৯-১-৪৩-২, সাকিব ১০-১-৩৭-১, মিরাজ ৪-১-১৭-০, মুস্তাফিজ ১৯-১-৩৬-২, মেহেদি ৭-০-৪০-২
এক প্রান্তে দারুণ সাবলীল তানজিদ হাসান। পরপর তিন ওভারে মেরেছেন একটি করে বাউন্ডারি। আরেক প্রান্তে ভুগছেন লিটন দাস। ধৈর্য ধরে একটু অপেক্ষা না করে ঝুঁকি নেওয়ার মাশুল তিনি দিয়েছেন নিজের উইকেট বিলিয়ে।
দীর্ঘদেহী অফ স্পিনার আরিয়ান দত্তের স্টাম্প তাক করা ডেলিভারিতে রিভার্স সুইপ করেছিলেন লিটন। বাড়তি বাউন্সের জন্য ঠিক মতো পারেননি। গ্লাভস ছুঁয়ে যায় স্কট এডওয়ার্ডসের কাছে। উইকেটের পেছনে সহজতম ক্যাচ অনায়াসেই নেন ডাচ অধিনায়ক।
৫ ওভারে বাংলাদেশের রান ১ উইকেটে ১৯। ক্রিজে তানজিদেন সঙ্গী মেহেদী হাসান মিরাজ। আগের ম্যাচে সাতে ব্যাট করা এই তরুণ এবার নেমেছেন তিনে।
নেদারল্যান্ডসের মতো বাংলাদেশও পরপর দুই ওভারে হারাল দুই ওপেনারকে। লিটন দাসের পর ফিরে গেলেন তানজিদ হাসানও।
উইকেটের ঠিক মাঝে একটু ঘাস আছে। সেইটাই ব্যবহার করে তানজিদকে কট বিহাইন্ড করেছেন লোগান ফন বিক। অফ স্টাম্পের একটু বাইরে দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া বল পুল করার চেষ্টায় সফল হননি বাঁহাতি ওপেনার। একটু বাড়তি লাফিয়ে ব্যাটের কানা ছুঁয়ে জমা পড়ে স্কট এডওয়ার্ডসের গ্লাভসে।
পরপর দুই ওভারে দুটি উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি পরপর দুটি মেডেনও নিয়েছে নেদারল্যান্ডস।
৬ ওভারে বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ১৯। ক্রিজে মেহেদী হাসানের সঙ্গী নাজমুল হোসেন শান্ত।
টানা তিনটি মেডেন। রানের পথই পাচ্ছিলেন না বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। লোগান ফন বিককে পুল করে চার মেরে রানের খাতা খুলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ২২ বল পর প্রথম রানের দেখা পায় বাংলাদেশ।
পরের ওভারের প্রথম বলে বেরিয়ে এসে আরিয়ান দত্তকে ছক্কায় ওড়ান মেহেদী হাসান মিরাজ। শেষ তিন বলে মারেন দুটি চার।
৯ ওভারে বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ৩৭। ১০ বলে ৪ রানে খেলছেন শান্ত। ১৬ বলে মিরাজের রান ১৪।
রান তাড়ায় শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। পাওয়ার প্লেতে দুই ওপেনারকে হারিয়েছে তারা।
১০ ওভারে বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ৩৯। ২০ বলে এক ছক্কা ও দুই চারে ১৫ রানে খেলছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ১২ বলে এক চারে নাজমুল হোসেন শান্তর রান ৫।
তিনটি চার মেরে ফেরেন বাঁহাতি ওপেনার তানজিদ হাসান। তার আগেই বিদায় নেন লিটন দাস।
দারুণ বোলিংয়ে ব্যাটসম্যানদের খুব একটা সুবিধা করতে দেননি অফ স্পিনার আরিয়ান দত্ত ও পেসার লোগান ফন বিক। দুই জনে মিলে নেন তিনটি মেডেন।
এক-দুই তেমন একটা নিতে পারছে না বাংলাদেশ। রান আসছে মূলত বাউন্ডারি থেকে।
দুটি চার মেরে গা ঝাড়া দেওয়ার আভাস দিয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। কিন্তু দলকে হতাশ করে দ্রুতই ফিরলেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। পল ফন মেকেরেনের বলে দিলেন ক্যাচ।
অফ স্টাম্পের বাইরে ফুল লেংথ বলে খোঁচা মারেন শান্ত। দ্বিতীয় স্লিপে দারুণ রিফ্লেক্সে ক্যাচ নেন লোগান ফন বিক। ভাঙে ৩৯ বল স্থায়ী ২৬ রানের জুটি।
১৮ বলে দুই চারে শান্ত করেন ৯ রান।
১২ ওভারে বাংলাদেশের রান ৩ উইকেটে ৪৫। ক্রিজে মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গী সাকিব আল হাসান।
অফ স্টাম্পের একটু বাইরের বাড়তি বাউন্স করা বল অনায়াসে ছেড়ে দিতে পারতেন সাকিব আল হাসান। সেটা না করে বাংলাদেশ অধিনায়ক মেরে বসলেন খোঁচা। এর মাশুল দিলেন নিজের উইকেট বিলিয়ে।
উইকেটের মাঝখানে একটু ঘাস আছে। সেখানে পড়ল বল একটু বাড়তি বাউন্স করে। ডাচ পেসাররা বেশিরভাগ বল ওই জায়গাতেই রাখার চেষ্টা করছেন। এতে সাফল্যও আসছে, তানজিদ হাসানের পর সাকিবও ফিরলেন বাড়তি লাফানো বলে।
হয়তো কাট করার কথা ভেবেছিলেন সাকিব। কিন্তু শরীর থেকে খুব বেশি দূরে না থাকায় কাট করতে পারেননি। আবার শট খেলা একটু মন্থরও ছিলেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। অনায়াসে ক্যাচ নেন উইকেটরক্ষক স্কট এডওয়ার্ডস।
১৬ ওভারে বাংলাদেশের রান ৪ উইকেটে ৬৩। ক্রিজে মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গী মুশফিকুর রহিম।
ডাচ বোলারদের সামলানোর পথই যেন পাচ্ছে না বাংলাদেশ। সাজঘরে ফিরে যাওয়ার মিছিলে যোগ দিলেন মেহেদী হাসান মিরাজও।
বোলিংয়ে এসেই সাফল্য পেলেন বাস ডে লেডে। অফ স্টাম্পের বাইরে পড়ে আরও বেরিয়ে যাওয়া বলে খোঁচা মারলেন মিরাজ। সহজ ক্যাচ গ্লাভসে নিলেন স্কট এডওয়ার্ডস।
৪০ বলে এক ছক্কা ও পাঁচ চারে ৩৫ রান করেন মিরাজ।
১৭ ওভারে বাংলাদেশের রান ৫ উইকেটে ৬৯। দলকে অনেকবার খাদের কিনানা থেকে টেনে তোলা মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহর দিকে তাকিয়ে বাংলাদেশ।
ডাচ পেসারদের বোলিংয়ের সামনে দেয়াল হয়ে দাঁড়াতে পারলেন না মুশফিকুর রহিমও। পল ফন মেকেরেনের বলে বোল্ড হয়ে গেলেন অভিজ্ঞ এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান।
টানা তিন ওভারে তিনটি উইকেট হারিয়ে মহাবিপদে বাংলাদেশ।
অফ স্টাম্পের বাইরে পড়ে ভেতরে ঢোকা বলের লাইনে যেতে পারেননি মুশফিক। মেকেরেন দারুণ ডেলিভারি ছোবল দেয় অফ স্টাম্পের মাথায়।
৫ বলে মুশফিক করেন ১ রান।
১৮ ওভারে বাংলাদেশের রান ৬ উইকেটে ৭০। ক্রিজে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গী শেখ মেহেদি হাসান।
মাহমুদউল্লাহ, শেখ মেহেদি হাসানের জুটিতে ২৮তম ওভারে একশ পূর্ণ করল বাংলাদেশ। ২৮ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১০২ রান।
স্রেফ ৭০ রানে ষষ্ঠ উইকেট পড়ার পর ৩২ রানের জুটি গড়ে অবিচ্ছিন্ন রয়েছেন দুই ব্যাটসম্যান। মাহমুদউল্লাহ ৩২ বলে ১৭, শেখ মেহেদি ৩১ বলে ১৪ রানে খেলছেন।
জয়ের জন্য বাকি ২২ ওভারে করতে হবে আরও ১২৮ রান। ওভারপ্রতি রানের চাহিদা এখন ৬ ছুঁইছুঁই।
একশ পার হতেই ফের ধাক্কা খেল বাংলাদেশ। রান আউট হয়ে ড্রেসিং রুমে ফিরলেন শেখ মেহেদি হাসান।
কলিন আকারম্যানের বল তার প্যাড ছুঁয়ে গড়াতে গড়াতে যায় শর্ট থার্ড ম্যানের দিকে। দ্রুত রানের জন্য ছোটেন মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু দৌড় শুরু করতে কিছুটা সময় নেন মেহেদি।
তাতেই ঘটে বিপদ। বাস ডে লেডের সরাসরি থ্রো ভেঙে দেয় নন স্ট্রাইক প্রান্তের স্টাম্প। বিদায় ঘণ্টা বাজে ৩৮ বলে ১৭ রান করা মেহেদির।
তার বিদায়ে ভাঙল ৩৮ রানের সপ্তম উইকেট জুটি। ২০ রানে খেলতে থাকা মাহমুদউল্লাহকে সঙ্গ দিতে ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান তাসকিন আহমেদ।
৩১ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ১১১ রান। ১৯ ওভারে প্রয়োজন আরও ১১৯ রান।
ধীরে ধীরে পরাজয়ের দিকে ধাবিত হচ্ছে বাংলাদেশ। শেষ স্বীকৃত ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহও ফিরে গেলেন ড্রেসিং রুমে।
বাস ডে লেডের অফ স্টাম্পের বাইরে গুড লেংথ বলে পুল করতে গিয়ে শর্ট মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। ৪১ বলে তিনি করেছেন ২০ রান।
৩৪ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ১১৫ রান। ক্রিজে দুই ব্যাটসম্যান তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান।
মাহমুদউল্লাহর বিদায়ের পর মন্থর ব্যাটিংয়ে উইকেট আঁকড়ে ছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। কলিন আকারম্যানের বোল্ড হয়ে ড্রেসিং রুমের ফিরলেন তিনি। ৯ উইকেট হারিয়ে পরাজয়ের দুয়ারে বাংলাদেশ।
২ চার ও ১ ছয়ে ৩৫ বলে ক্যারিয়ার সেরা ২০ রান করেছেন মুস্তাফিজ। তাসকিন আহমেদের সঙ্গে দশম উইকেটে গড়েছেন ৫৭ বলে ২৯ রানের জুটি।
লক্ষ্য তেমন বড় ছিল না। ব্যাটসম্যানদের হতাশাজনক প্রদর্শনীতে বড় পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ পেল বাংলাদেশ।
নেদারল্যান্ডসের করা ২২৯ রানের জবাবে বাংলাদেশ গুটিয়ে গেছে ১৪২ রানে। ডাচদের জয় ৮৭ রানে।
চলতি আসরে ছয় ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের দ্বিতীয় জয় এটি। বাংলাদেশ হারল টানা পঞ্চম ম্যাচ।
রান তাড়ায় বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেন তিন নম্বরে নামা মেহেদী হাসান মিরাজ। এছাড়া মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যাট থেকে আসে ২০ রান। আর কেউই তেমন কিছু করতে পারেননি।
ডাচদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন পল ফোন মেকেরেন। তার হাতেই ওঠে ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
নেদারল্যান্ডস: ৫০ ওভারে ২২৯ (ভিক্রাম ৩, ও’ডাওড ০, বারেসি ৪১, আকারম্যান ১৫, এডওয়ার্ডস ৬৮, ডে লেডে ১৭, এঙ্গেলব্রেশট ৩৫, ফন বিক ২৩*, শারিজ ৬, আরিয়ান ৯, মেকেরেন ০; শরিফুল ১০-০-৫১-২, তাসকিন ৯-১-৪৩-২, সাকিব ১০-১-৩৭-১, মিরাজ ৪-১-১৭-০, মুস্তাফিজ ১৯-১-৩৬-২, মেহেদি ৭-০-৪০-২)
বাংলাদেশ: ৪২.২ ওভারে ১৪২ (লিটন ৩, তানজিদ ১৫, মিরাজ ৩৫, শান্ত ৯, সাকিব ৫, মুশফিক ১, মাহমুদউল্লাহ ২০, মেহেদি ১৭, তাসকিন ১১, মুস্তাফিজ ২০, শরিফুল ০*; আরিয়ান ১০-৩-২৬-১, ফন বিক ৯-১-৩০-১, আকারম্যান ৭-১-২৫-১, ফন মেকেরেন ৭.২-০-২৩-৪, ডে লেডে ৭-০-২৫-২, শারিজ ২-০-১৩-০)