জাতীয় ক্রিকেট লিগে শেষ রাউন্ডের প্রথম দিনে দাপট দেখালেন বোলাররা।
Published : 18 Nov 2023, 08:28 PM
সবশেষ টেস্ট খেলার প্রায় দেড় বছর পর নিউ জিল্যান্ড সিরিজের দলে ডাক পেয়েছেন নাঈম হাসান। এই দিনই তিনি করেছেন প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে নিজের প্রথম হ্যাটট্রিক।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে জাতীয় ক্রিকেট লিগে দ্বিতীয় স্তরের ম্যাচে রাজশাহীর বিপক্ষে এই কীর্তি গড়েন চট্টগ্রামের ২৩ বছর বয়সী অফ স্পিনার।
ষষ্ঠ রাউন্ডে রাজশাহীর ইনিংসের ৪৭তম ওভারের শেষ বলে তিনি এলবিডব্লিউ করেন মোহর শেখকে। পরে ৪৯তম ওভারের প্রথম দুই বলে তার বলে বোল্ড হন সাকলাইন সজীব ও নাহিদ রানা।
নাঈমের হ্যাটট্রিকের আগে হাসান মুরাদ ধরেছেন ৪ শিকার। বাঁহাতি এই স্পিনার প্রথমবার সুযোগ পেয়েছেন জাতীয় দলে। ৩ উইকেট পাওয়া হাসান মাহমুদও ফিরেছেন একই সিরিজের দলে।
রাজশাহী গুটিয়ে গেছে ১৮৯ রানে। জবাবে দিন শেষে চট্টগ্রামের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৭২ রান। ১১৭ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করবে তারা।
রাজশাহীর পক্ষে ৭৩ রান করেন সাব্বির হোসেন। কিপার-ব্যাটসম্যান প্রিতম কুমার অপরাজিত থাকেন ৪৭ রানে।
বিশ্বকাপ অভিযান শেষে ফেরা নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাট থেকে আসে ৩১ রান। রানের খাতাই খুলতে পারেননি অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম। তানজিদ হাসান আউট হন ১০ রান করে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: (প্রথম দিন শেষে)
রাজশাহী ১ম ইনিংস: ৪৮.২ ওভারে ১৮৯ (তানজিদ ১০, সাব্বির ৭৩, শান্ত ৩১, আশিক ০, মুশফিক ০, সাব্বির ২, প্রিতম ৪৭*, সানজামুল ১৬, মোহর ৬, সাকলাইন ০, রানা ০; হাসান ১২-২-৪৬-৩, ইফরান ৭-০-২৪-০, মুরাদ ১৯-২-৭৩-৪, নাঈম ১০.২-১-৪৪-৩)
চট্টগ্রাম ১ম ইনিংস: ২০.১ ওভারে ৭২/২ (জয় ১২, পারভেজ ১৫, সাব্বির ২১*, ইরফান ২২*; রানা ৫-০-১৭-০, মোহর ২-০-৯-০, সানজামুল ৮-২-২০-১, সাকলাইন ৩-০-১৯-১, শান্ত ২.১-০-৬-০)
শেষ উইকেটে কামরুল-তানভিরের লড়াই
খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে খুলনার বিপক্ষে দশম উইকেটে দৃঢ়তা দেখিয়েছেন কামরুল ইসলাম ও তানভির ইসলাম। দুজন মিলে গড়েছেন ১১১ রানের জুটি। দুজনই খেলেছেন পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস।
দ্বিতীয় স্তরের ম্যাচের প্রথম দিন কামরুল ও তানভিরের ফিফটিতে ২৩৯ রান করেছে বরিশাল। জবাবে দিন শেষে কোনো উইকেট না হারিয়ে বরিশালের সংগ্রহ ১৬ রান।
স্রেফ ১২৮ রানে নবম উইকেট পতনের পর জুটি বাঁধেন কামরুল, তানভির। কামরুল ৬১ রান করে আউট হন। তানভির অপরাজিত থাকেন ৬৪ রানে। এছাড়া ত্রিশ ছুঁতে পারেন শুধু মইনুল ইসলাম।
খুলনার পক্ষে ৪ উইকেট নেন বিশ্বকাপ খেলে ফেরা শেখ মেহেদি হাসান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: (প্রথম দিন শেষে)
বরিশাল ১ম ইনিংস: ৭৩.২ ওভারে ২৩৯ (রাফসান ০, মইনুল ৩১, নুরুজ্জামান ১৪, সালমান ১৭, ফজলে ১০, মইন ৫, শামসুল ৪, সোহাগ ৪, কামরুল ৬১, রুয়েল ১৬, তানভির ৬৪*; আল আমিন ১৪-৫-৫৩-১, শেখ মেহেদি ২৭-১০-৬২-৪, সালমান ১৩-৩-৫৯-১, সৌম্য ৯-২-২০-১, আওলাদ ৬.২-০-২২-২, মিঠুন ৪-১-১০-০)
খুলনা ১ম ইনিংস: ৫ ওভারে ১৬/০ (এনামুল ১১*, প্রান্তিক ৫*; কামরুল ১-০-১-০, তানভির ২-০-১০-০, মইন ২-০-৫-০)
বগুড়ায় ১৬ উইকেটের দিন
বগুড়ার শহিদ চান্দু স্টেডিয়ামে বোলারদের দাপটে প্রথম দিন পড়েছে ১৬ উইকেট।
প্রথম স্তরের ম্যাচে ১২৫ রানে অল আউট হয়েছে সিলেট বিভাগ। জবাবে দিন শেষে ৬ উইকেটে ১২৪ রান করেছে রংপুর।
একশর আগেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়েছিল রংপুর। শেষ দিকে ৩২ রানের ইনিংস খেলে দলকে একশ পার করান নাসুম আহমেদ। তিন নম্বরে নেমে অমিত হাসানও করেন ৩২ রান।
রংপুরের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন আব্দুল গাফফার।
পরে সিলেটের আবু জায়েদ রাহির ৩ ও রেজাউর রহমান রাজার ২ উইকেটে চাপে পড়ে যায় রংপুর। দিন শেষে ৩৪ রানে অপরাজিত আছেন মাহমুদুল হাসান। তানবির হায়দার আউট হন ৩৩ রান করে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: (প্রথম দিন শেষে)
সিলেট ১ম ইনিংস: ৩৮.২ ওভারে ১২৫ (তৌফিক ০, জাকির ১৯, অমিত ৩২, শামসুর ৮, জাকের ১০, রাহাতুল ০, তাওহিদুল ০, নাসুম ৩২*, রাজা ৪, আবু জায়েদ ৪, সফর ০; গালিব ৯-০-২৯-২, নিহাদউজ্জামান ১-০-২-০, আব্দুল গাফফার ১০.২-২-৩০-৪, আরিফুল ৮-১-৩৫-১, মামুন ৯-৩-১৪-২, নবিন ১-০-৬-০)
রংপুর ১ম ইনিংস: ৪০ ওভারে ১২৪/৬ (মিম ৯, মামুন ৪, নবিন ৩, আকবর ৭, তানবির ৩৩, আরিফুল ৫, মাহমুদুল ৩৪*, নিহাদউজ্জামান ১১*; আবু জায়েদ ১১-২-৩৩-৩, সফর ৯-৪-১৮-১, রাজা ১২-০-৪৫-২, নাসুম ৭-১-১৭-০, রাহাতুল ১-০-১-০)
কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ভেজা আউটফিল্ডের কারণে ঢাকা ও ঢাকা মেট্রোর প্রথম স্তরের আরেক ম্যাচে এদিন কোনো বল মাঠে গড়ায়নি।