সৈকতের সেঞ্চুরি, জিয়া ও রসুলের ঝড়

লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বিপক্ষে বড় জয়ে শিরোপা সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রেখেছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। অন্য দুই ম্যাচে জয় পেয়েছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স ও প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 May 2023, 01:42 PM
Updated : 10 May 2023, 01:42 PM

শুরুতে ঝড় তুললেন সৈকত আলি। মাঝে হাল ধরলেন নুরুল হাসান সোহান ও রবিউল ইসলাম রবি। শেষে তাণ্ডব চালালেন জিয়াউর রহমান ও পারভেজ রসুল। সম্মিলিত অবদানে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব পেল বড় সংগ্রহ। রান তাড়ায় জয়ের কোনো সম্ভাবনাই জাগাতে পারল না লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জ।

ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে সুপার লিগের পঞ্চম রাউন্ডের ম্যাচে ডাকওয়ার্থ লুইস-স্টার্ন পদ্ধতিতে ৫৯ রানে জিতেছে শেখ জামাল।

সৈকতের সেঞ্চুরি এবং সোহান, জিয়া ও রসুলের ফিফটিতে ৫ উইকেটে ৩৫০ রান করে শেখ জামাল।

আলোকস্বল্পতায় পুরো ওভার ব্যাট করতে পারেনি রূপগঞ্জ। ইরফান শুক্কুরের সেঞ্চুরিতে তারা ৪৬.১ ওভারে ৭ উইকেটে ২৫৫ রান করার পর খেলা বন্ধ হয়। জয়ী ঘোষণা করা হয় শেখ জামালকে।

এই জয়ে ১৫ ম্যাচে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে উঠে গেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা৷ সমান ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে চারে রূপগঞ্জ।

লিগের শেষ ম্যাচটি এখন রূপ নিয়েছে অলিখিত ফাইনালে৷ মিরপুরে আগামী শনিবার আবাহনী লিমিটেডের বিপক্ষে ম্যাচে জিতলেই শিরোপা ধরে রাখবে শেখ জামাল।

দারুণ সেঞ্চুরিতে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতেছেন সৈকত। স্রেফ ৮১ বলে ১০৮ রান করেছেন তিনি। ১০ চার ও ৫ ছয়ে সাজিয়েছেন নিজের ইনিংস।

৫ চার ও ৪ ছয়ে ৪২ বলে ৬৪ রান করেন জিয়া। রসুলের ব্যাট থেকে আসে ৫ চার ও ৩ ছয়ে ২৫ বলে ৫১ রান। 

রূপগঞ্জের বিপক্ষে বুধবার টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে অল্পেই ফর্মে থাকা দুই ব্যাটসম্যান সাইফ হাসান (১৮) ও ফজলে মাহমুদকে (০) হারায় শেখ জামাল। দুজনই উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন।

তৃতীয় উইকেট জুটিতে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন সৈকত ও সোহান। দুজন মিলে যোগ করেন ১১১ রান। ইনিংসের মাঝপথ পেরিয়ে ড্রেসিং রুমের পথ ধরেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় লিস্ট 'এ' সেঞ্চুরি করা সৈকত। 

এরপর রবিউলের সঙ্গে মিলে দলকে দুইশ পার করান সোহান। ৪ চার ও ২ ছয়ে ৭৭ বলে ৬২ রানের ইনিংস খেলে জাওয়াদ রোয়েনের বলে ক্যাচ আউট হন শেখ জামাল অধিনায়ক।

রবিউলও জাগান ফিফটির সম্ভাবনা। কিন্তু থেমে যান ৮ রান আগেই। ৫০ বলের ইনিংসে ৫টি চার মারেন তিনি।

ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে রূপগঞ্জের বোলারদের ওপর দিয়ে ঝড় বইয়ে দেন জিয়া ও রসুল। অবিচ্ছিন্ন জুটিতে স্রেফ ৩৯ বলে ৭১ রান যোগ করেন দুই অলরাউন্ডার। 

বড় রান তাড়ায় শুরুতেই চমক দেয় রূপগঞ্জ। পারভেজ হোসেন ইমনের সঙ্গে নেমে পড়েন মাশরাফি বিন মুর্তজা। তবে সুবিধা করতে পারেননি। ৯ বলে স্রেফ ৩ রান করে রসুলের বলে এলবিডব্লিউ হন রূপগঞ্জ অধিনায়ক।

মাশরাফির বিদায়ের পর তিন নম্বরে নামানো হয় সোহাগ গাজীকে। তিনি ঝড় তোলার আভাস দিলেও বেশিদূর যেতে পারেননি। ২টি করে চার-ছয়ে করেন ১৪ বলে ২৩ রান। 

তৃতীয় উইকেটে ৭৭ রানের জুটি গড়েন পারভেজ ও ইরফান। বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান করেন পারভেজ। তবে এক প্রান্ত ধরে রাখলেও ইরফান দ্রুত রান তোলার তাগিদ মেটাতে পারেননি।

২ চার ও ৫ ছয়ে ৬৫ বলে ৬৩ রান করে আউট হন পারভেজ। 

এরপর চিরাগ জানি, তানবীর হায়দার, আশিক উল আলমরা অল্পেই প্যাভিলিয়নে ফিরে গেলে ম্যাচ থেকে একরকম ছিটকে যায় রূপগঞ্জ। 

জাওয়াদ ও মুক্তার আলির সঙ্গে মিলে নিজের সেঞ্চুরির কাছাকাছি এগোতে থাকেন ইরফান। ৪৭তম ওভারের প্রথম বলে ইরফান তিন অঙ্ক ছুঁতেই আলোকস্বল্পতায় ম্যাচ বন্ধ করে দেন আম্পায়াররা।

লিস্ট 'এ' ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিতে ১১১ বলে ১০০ রান করেছেন ইরফান। ১১ চারে সাজিয়েছেন নিজের ইনিংস।

ব্যাট হাতে ঝড় তোলা রসুল বোলিংয়ে নিয়েছেন দলের সর্বোচ্চ ৩ উইকেট।

সংক্ষিপ্ত স্কোর: 

শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব: ৫০ ওভারে ৩৫০/৫ (সাইফ ১৮, সৈকত ১০৮, ফজলে ০, সোহান ৬২, রবিউল ৪২, জিয়া ৬৪*, রসুল ৫১*; চিরাগ ১০-০-৫২-২, হালিম ৪-০-৪৪-০, নাইম ১০-০-৬২-১, জাওয়াদ ১০-০-৭৪-২, মাশরাফি ৫-০-৫৭-০, তানবীর ১০-০-৫২-০, মুক্তার ১-০-৯-০)

লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জ: ৪৬.১ ওভারে ২৫৫/৭ (মাশরাফি ৩, পারভেজ ৬৩, সোহাগ ২৩, ইরফান ১০০*, চিরাগ ১, তানবীর ১৪, আশিক ৭, জাওয়াদ ১৮, মুক্তার ১৭*; শফিকুল ৪-০-২৫-০, রসুল ১০-০-৩৬-৩, রবিউল ৪-০-৪৫-০, সাইফ ১০-০-৪১-১, আরিফ ১০-০-৫৮-২, শহিদুল ৪.১-০-২৭-১, তাইবুর ৪-০-২২-০)

ফল: ডাকওয়ার্থ লুইস-স্টার্ন পদ্ধতিতে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ৫৯ রানে জয়ী

ম্যান অব দা ম্যাচ: সৈকত আলি

টিপুর ছোবলের পর আসাদুল্লার ফিফটিতে আবাহনীর হোঁচট

শিরোপা পুনরুদ্ধারের অভিযানে ধাক্কা খেল আবাহনী ক্লাব লিমিটেড। তাদের হারিয়ে দিল গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স।

বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ৬ উইকেটে জিতেছে আকবর আলির নেতৃত্বাধীন দলটি।

টিপু সুলতানের স্পিনে নাকাল হয়ে ২৪৬ রানে গুটিয়ে যায় আবাহনী। জবাবে গাজী গ্রুপ ৪১.৫ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২১৫ করার পর নামে বৃষ্টি৷ এরপর আর খেলা সম্ভব হয়নি।

ডাকওয়ার্থ লুইস-স্টার্ন পদ্ধতিতে নতুন লক্ষ্য ঠিক করা হয় ৪৫ ওভারে ২১৪ রান। গাজী গ্রুপ আগেই সেটি টপকে যাওয়ায় আর মাঠে নামতে হয়নি দুই দলকে।

এই পরাজয়ে ১৫ ম্যাচে শেখ জামালের সমান ২৬ পয়েন্টে রইল আবাহনীর। শেষ ম্যাচে শিরোপার লড়াইয়ে নামবে দল দুটি। সমান ম্যাচে গাজী গ্রুপের সংগ্রহ ১৫ পয়েন্ট।

আবাহনীর স্কোর নাগালের মধ্যে রাখার কারিগর টিপু। বাঁহাতি স্পিনে ৪৭ রানে ৪ উইকেট নেন তিনি। চলতি লিগে তার মোট শিকার ২১ উইকেট।

পরে রান তাড়ায় পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস খেলেন এসএম মেহেরব হাসান ও আসাদুল্লা আল গালিব। ৮৫ রানের অপরাজিত ইনিংসে আলাদুল্লার হাতে উঠেছে ম্যাচ সেরার পুরস্কার।

টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে আবাহনীকে দারুণ শুরু এনে দেন এনামুল হক ও নাঈম শেখ। ১৭ ওভারে ৯০ রান যোগ করেন দুজন।  

চলতি লিগে দশম পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংসে ৬১ রান করে আউট হন নাঈম। ৬৪ বলের ইনিংসে মারেন ৬টি চার ও ২টি ছক্কা।  

লিগের ১৫ ম্যাচে নাঈমের সংগ্রহ ৮৬৪ রান। যা প্রিমিয়ার লিগে এক আসরে তার ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ। ২০১৮-১৯ মৌসুমে ৮০৭ রান করেছিলেন বাঁহাতি টপ-অর্ডার ব্যাটসম্যান। 

নাঈম পঞ্চাশ ছুঁলেও ৪৩ রানে থামেন এনামুল। তিন নম্বরে নামা আফিফ হোসেন (১১) বড় কিছু করতে পারেননি।  

চারে নেমে ফিফটির সম্ভাবনা জাগান মাহমুদুল হাসান জয়। কিন্তু টিপুর বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ৪৮ রানে থামেন তিনি। জয়ের ৫৪ বলের ইনিংসে ছিল ৫ চারের সঙ্গে ১টি ছয়।

জয় ফিরে যাওয়ার পর আর কেউই দলের হাল ধরতে পারেননি। স্রেফ ৪৪ রানে শেষ ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬ বল আগেই গুটিয়ে যায় আবাহনী। 

রান তাড়ায় ঝড়ো শুরুর আভাস দেন মেহেদি মারুফ। তবে বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ৫ চার ও ১ ছয়ে ১৯ বলে করেন ৩০ রান। আরেক ওপেনার হাবিবুর রহমান ফেরেন ৮ রান করে।

তিন নম্বরে নামা ফরহাদ হোসেনও অল্পতে আউট হলে কিছুটা চাপে পড়ে গাজী গ্রুপ। চতুর্থ উইকেটে ৭৫ রানের জুটি গড়ে দলকে ঠিক পথে ফেরান মেহেরব ও আসাদুল্লা। 

মেহেরবকে এলবিডব্লিউ করে জুটি ভাঙেন তানভির ইসলাম। ২ চার ও ৩ ছয়ে ৬৭ বলে ৫২ রান করে আউট হন তরুণ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। 

অবিচ্ছিন্ন পঞ্চম উইকেট জুটিতে ৪৩ রান যোগ করেন আসাদুল্লা ও আকবর আলি। ৯৫ বলের ইনিংসে ১১টি চার মারেন গাজী গ্রুপের জয়ের নায়ক।

সংক্ষিপ্ত স্কোর: 

আবাহনী লিমিটেড: ৪৭.২ ওভারে ২৪৬ (এনামুল ৪৩, নাঈম ৬১, আফিফ ১১, জয় ৪৮, মোসাদ্দেক ২৬, জাকের ০, খুশদিল ১২, তানজিম ১৪, রাকিবুল ১৬, তানভির ১*, রিপন ৫; সুমন ৮-০-৪৪-১, এনামুল ১০-০-৩৭-০, জয়নুল ৫.২-১-৪৬-২, টিপু ১০-১-৪৭-৪, আসাদুল্লা ১০-০-৪৩-১, মেহেরব ৪-০-২৯-০)

গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স: ৪১.৫ ওভারে ২১৫/৪ (মেহেদি ৩০, হাবিবুর ৮, ফরহাদ ২৩, মেহেরব ৫২, আসাদুল্লা ৮৫*, আকবর ১৩*; রাকিবুল ১০-১-৪৩-০, রিপন ১-০-১৬-০, তানভির ১০-০-৫০-২, মোসাদ্দেক ২-০-৮-০, তানজিম ৫-০-৩০-০, আফিফ ৬-০-৩২-০, খুশদিল ৭-০-৩০-১, জয় ০.৫-০-৬-০)

ফল: ডাকওয়ার্থ লুইস-স্টার্ন পদ্ধতিতে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স ৬ উইকেটে জয়ী

ম্যান অব দা ম্যাচ: আসাদুল্লাহ আল গালিব

কাশিফ-রাজার ছোবলে দিশেহারা মোহামেডান

উদ্বোধনী জুটি ভাঙলেন কাশিফ ভাট। মিডল অর্ডার গুঁড়িয়ে দিলেন রেজাউর রহমান রাজা। শেষ দিকে ফের কাশিফের ঘূর্ণি জাদু। মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব গুটিয়ে গেল অল্পেই। ছোট লক্ষ্য তাড়ায় অনায়াস জয় পেল প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। 

মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মোহামেডানকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে প্রাইম ব্যাংক। ১১০ রানের লক্ষ্য ১৭৫ বল হাতে রেখেই ছুঁয়ে ফেলেছে তারা। 

এই জয়ে ১৫ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে উঠে গেছে প্রাইম ব্যাংক। সমান ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে মোহামেডানের অবস্থান ষষ্ঠ। 

দারুণ বোলিংয়ে স্রেফ ২২ রানে ৩ উইকেট পেয়েছেন রাজা। তার হাতেই উঠেছে ম্যাচ সেরার পুরস্কার। কাশিদ ভাটির শিকার ৪৪ রানে ৪ উইকেট। 

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে মোহামেডানের শুরুটা তেমন মন্দ ছিল না। ৩৭ রানের জুটি গড়েন দুই ওপেনার ইমরুল কায়েস ও রুবেল মিয়া। কিন্তু ১২ রানের ব্যবধানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় তারা।

কাশিফের বলে সুইপ করতে গিয়ে স্কয়ার লেগে ক্যাচ দেন ইমরুল। নাসির হোসেনকে লং অফ দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মিড অফে ধরা পড়েন রুবেল। 

দলীয় পঞ্চাশ পূরণের আগে রাজার আঘাত। তিন বলের মধ্যে ফেরান ফর্মে থাকা দুই ব্যাটসম্যান মাহিদুল ইসলাম ও মাহমুদউল্লাহকে।

এরপর আব্দুল মজিদ, শুভাগত হোম, আরিফুল হকরাও হতাশ করলে একশর আগে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়ে মোহামেডান। 

শেষ দিকে খালেদ আহমেদ ১ চার ও ২ ছয়ে ১৯ রান করে দলকে একশ পার করান।

রান তাড়ায় উদ্বোধনী জুটিতে পঞ্চাশ রান যোগ করেন জাকির হাসান ও শাহাদাত হোসেন। সাবলিল ব্যাটিংয়ে ২৪ বলে ৩০ রান করেন শাহাদাত। ১৯ রান করতে ৪১ বল খেলেন জাকির।

চার নম্বরে নেমে দ্রুত ম্যাচ শেষ করার তাগিদ দেখা যায় প্রান্তিক নওরোজের ব্যাটে। ৩ চার ও ২ ছয়ে ২৬ বলে ৩০ রান করেন বাঁহাতি তরুণ। মোহাম্মদ মিঠুন করেন ১৬ রান।

পরে নাসির ও আল আমিন ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর: 

মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব: ২৭.৩ ওভারে ১০৯ (ইমরুল ১৬, রুবেল ২১, মাহিদুল ১, মজিদ ১৫, মাহমুদউল্লাহ ০, শুভাগত ৮, আরিফুল ৪, এনামুল ০, মুশফিক ৭, খালেদ ১৯*, নাজমুল ৬; শেখ মেহেদি ৪-০-৯-০, শফিউল ১.৩-০-১১-১, কাশিফ ১০-২-৪৪-৪, নাসির ৬-২-১৩-২, রাজা ৬-০-২২-৩)

প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব: ২০.৫ ওভারে ১১৩/৪ (শাহাদাত ৩০, জাকির ১৯, মিঠুন ১৬, প্রান্তিক ৩০, নাসির ১০*, আল আমিন ২*; মুশফিক ৪-১-২৩-১, খালেদ ৩-১-২৬-০, নাজমুল ৭.৫-০-৩৯-৩, শুভাগত ৫-৩-১৩-০, এনামুল ১-০-১২-০) 

ফল: প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব ৬ উইকেটে জয়ী

ম্যান অব দা ম্যাচ: রেজাউর রহমান রাজা