পাকিস্তান বধের আত্মবিশ্বাসে ভারতকে হারানোর আশায় জিম্বাবুয়ে

ভারতের সেমি-ফাইনালে যাওয়ার আশা শেষ করে দেওয়ার প্রত্যয় জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিনের কণ্ঠে।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Nov 2022, 02:16 PM
Updated : 5 Nov 2022, 02:16 PM

জিম্বাবুয়ের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে যাওয়ার আশা প্রায় শেষ। খুবই ক্ষীণ যে সম্ভাবনা আছে, তা শেষ হয়ে যেতে পারে তারা সুপার টুয়েলভে শেষ ম্যাচে মাঠে নামার আগেই। তবে সেসব নিয়ে না ভেবে সতীর্থদের জ্বলে ওঠার তাগিদ দিলেন অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন। পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ের অনুপ্রেরণায় এবার ভারতকে হারানোর আশায় বুক বাঁধছেন তারা।

মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে রোববার ভারতের মুখোমুখি হবে জিম্বাবুয়ে। ম্যাচ শুরু হবে বাংলাদেশ সময় দুপুর দুইটায়।

একই দিনে দুই নম্বর গ্রুপের বাকি চার দলও খেলবে এই পর্বে তাদের শেষ ম্যাচ। প্রথমে দক্ষিণ আফ্রিকা খেলবে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে। এরপর বাংলাদেশ মুখোমুখি হবে পাকিস্তানের।

এই গ্রুপ থেকে সেমি-ফাইনালের টিকেট এখনও নিশ্চিত হয়নি কারও। ৪ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে ভারত শীর্ষে, ৫ পয়েন্ট নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা দুইয়ে আছে। পরের দুটি স্থানে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের পয়েন্ট সমান ৪ করে। জিম্বাবুয়ের পয়েন্ট ৩। নেদারল্যান্ডস ছিটকে গেছে আগেই।  

দক্ষিণ আফ্রিকা ও পাকিস্তান নিজেদের ম্যাচ জিতলে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ভারতকে জিততেই হবে।

এবার বিশ্বকাপে ফিরে প্রাথমিক পর্বে আয়ারল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে আসা জিম্বাবুয়ে সুপার টুয়েলভে চমক দেখায় সাবেক চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তানকে হারিয়ে। স্রেফ ১৩০ রানের পুঁজি নিয়ে রুদ্ধশ্বাস-উত্তেজনার ম্যাচে তারা পায় ১ রানের নাটকীয় জয়।

সেই জয়ের আত্মবিশ্বাসে বলীয়ান হয়ে ভারতকে হারানোর প্রত্যয় ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে ব্যক্ত করলেন আরভিন।

“অবশ্যই পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় আমাদের বিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে যে, আমরা টুর্নামেন্টে যেকোনো দলকে হারাতে পারি। আমার মনে হয় না, আগামীকালের ম্যাচে তা (বিশ্বাস) পরিবর্তন হবে।”

পাকিস্তানকে হারানোর পর বাংলাদেশের বিপক্ষে জিম্বাবুয়ে হেরে যায় স্রেফ ৩ রানে। গত বুধবার ভারতের বিপক্ষে আশা জাগিয়েও বাংলাদেশ হারে ৫ রানে।

এই আসরে বেশ কয়েকটি ম্যাচেই ফল নির্ধারণ হয়েছে শেষ বলে। খেলাটা গভীরে টেনে নিতে পারলে যেকোনো কিছুই সম্ভব বলে মনে করেন আরভিন।

“বিশ্বকাপটা সত্যিই রোমাঞ্চকর হচ্ছে। কারণ, অনেকগুলো ম্যাচে একদম শেষ মুহূর্তে জয়-পরাজয় নির্ধারণ হয়েছে। একটি ব্যাপার আমরা শিখেছি, তা হলো জয়ের সম্ভাবনা সবারই আছে। চেষ্টা করলে এবং ম্যাচ যতটা সম্ভব গভীরে নিয়ে যেতে পারলে, যেকোনো কিছুই হতে পারে।”

ভারতের বিপক্ষে এখন পর্যন্ত ৭টি টি-টোয়েন্টি (সবগুলোই হারারেতে) খেলে জিম্বাবুয়ের জয় ২টি। ২০১৬ সালের পর প্রথমবার এই সংস্করণে মুখোমুখি হচ্ছে তারা, বিশ্বকাপে প্রথম।