সুপার ওভারের অভিজ্ঞতায় খুশি বাংলাদেশ অধিনায়ক, তবে এর পুনরারৃত্তি আর চান না তিনি।
Published : 07 Nov 2023, 06:36 PM
মূল ম্যাচের একদম শেষে মারাত্মক একটা ভুল করে বসেন নিগার সুলতানা। উইকেটের পেছনে তার ওই ব্যর্থতায় জয়সূচক রান প্রায় পেয়েই যাচ্ছিল পাকিস্তান। নিশিতা আক্তারের দারুণ ফিল্ডিংয়ে শেষ পর্যন্ত তা আর হয়নি। নাশরা সান্ধুর রান আউটে রুদ্ধশ্বাস উত্তেজনার ম্যাচ হয় ‘টাই।’ পরে সুপার ওভারের শেষ বলে প্রয়োজন পড়ে ২ রান। ওই অবস্থায় ১ বা ২ রানের চেষ্টায় না গিয়ে বাউন্ডারিতে দলকে জিতিয়ে নিগার বললেন, আরেকটি সুপার ওভার খেলতে চাননি বলেই নেন বড় ঝুঁকি।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে জমজমাট ক্রিকেট উপহার দেয় বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। স্বাগতিকদের ৯ উইকেটে ১৬৯ রানের জবাবে এক বল বাকি থাকতে ওই রানেই থামে পাকিস্তান।
সুপার ওভারে ৫ বলে ২ উইকেট হারিয়ে ৭ রান করে পাকিস্তান। নিগার ক্রিজে যাওয়ার সময়ে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ১ বলে ২ রান। মূল ম্যাচে মন্থর ব্যাটিংয়ে ফিফটি করা অধিনায়ক কী ভাবছিলেন তখন? ১ রান নিয়ে আরেকটি সুপার ওভার নিশ্চিত করবেন নাকি ২ কিংবা চার মেরে শেষ করবেন?
“দেখেন, সবার প্রথমে আমি ফিল্ডিং সেট আপটা দেখছিলাম। আমি স্লগ সুইপ অনেক ভালো খেলি। যখন দেখলাম স্কয়ার লেগের ফিল্ডার উপরে, তখন চিন্তা করছিলাম এখানে...। আমি আমার বাউন্ডারির অপশন খুঁজছিলাম। কারণ দেখেন এক দুই নেওয়া...দেখা গেল এক (রান) নিলাম, আবার সুপার ওভার খেলতে হবে এটা আরেকটা প্যারা।”
“ওই চিন্তা না করে আমি চিন্তা করছি যে যেখানে আছি, আমি ক্লিয়ার করব। আমার চিন্তা ছিল সোজা মারব যেখানেই হোক। কারণ ফিল্ডাররা ওয়াইড ছিল। যখন আমি দেখলাম মিড অফ উপরে এবং আমি খুবই পছন্দ করি তুলে খেলতে। হয়তো মূল ম্যাচে ওভাবে টাইমিং হয়নি, কিন্তু আমি চেষ্টা করেছি। এটা একটা জুয়া। যখন উপরে দেখেছি, সোজা খেলে দিয়েছি।”
ফিল্ডিংয়ে অসংখ্য ভুল না করলে মূল ম্যাচেই জয় নিশ্চিত করতে পারত বাংলাদেশ। নিগারও মনে করছেন, আরেকটু তৎপরতা দেখাতে পারলে হয়তো সুপার ওভারের ঝুঁকিতে পাড়তে হতো না।
“আমি যেটা বললাম, (ম্যাচে) আরেকটু ভালো করলে হয়তো সুপার ওভারে যেত না ম্যাচ। তবে এরপরও জেতা তো জেতাই। ভালো কামব্যাক বলব দলের জন্য। কারণ আজকের ম্যাচটা জিততেই হতো, নয়তো সিরিজ থেকে ছিটকে যেতাম। এখন আমাদের জন্য আরেকটা সুযোগ সিরিজটা নিজেদের করে নেওয়ার।”
কয়েক মাসের মধ্যে দুটি ম্যাচ টাই করল বাংলাদেশ। ভারতের বিপক্ষে সেই ম্যাচে অবশ্য সময়ের অভাবে সুপার ওভার হয়নি। অধিনায়ক হিসেবে আগেই জয় নিশ্চিত করতে চান নিগার, তবে ভবিষ্যতের ভাবনায় সুপার ওভারের অভিজ্ঞতাও তার কাছে ইতিবাচক।
“অবশ্যই আমার মনে হয় এটা অনেক বড় অভিজ্ঞতা বা শেখার দিক আমাদের জন্য। হয়তো বিশ্বকাপের মতো মঞ্চেও হতে পারে। সেক্ষেত্রে এখন যখন আমরা চেষ্টা করছি এবং শিখছি, খেলছি; কোনো পরিস্থিতিতে যখন না আসব, তখন ওটা কীভাবে সামলাতে হয় সেটা জানব না, সেক্ষেত্র থেকে অবশ্যই। তবে সুপার ওভার আর চাই না।”