লিটনের হতাশার সিরিজ

ওয়ানডে ক্যারিয়ারে প্রথমবার টানা দুই ম্যাচে শূন্য রানে আউট হলেন লিটন দাস, দ্বিতীয়বারের মতো এক সিরিজে পারলেন না ১০ রানও করতে।

স্যাম কারানের অফ স্টাম্পের বাইরের বলটি অনায়াসেই ছেড়ে দিতে পারতেন লিটন দাস। কিন্তু তার ভাবনায় হয়তো ভিন্ন কিছুই ছিল। শরীরের অনেক দূর থেকে খেলতে গিয়ে ক্যাচ দিলেন জস বাটলারের গ্লাভসে। ব্যাট হাতে শেষ হলো তার দুর্ভোগের এক সিরিজ। তিন ম্যাচ মিলিয়ে এই সিরিজে যেতে পারেননি তিনি দুই অঙ্কে।  

জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে সিরিজের শেষ ম্যাচে প্রথম ওভারেই ড্রেসিং রুমে ফেরার আগে রানের খাতা খুলতে পারেননি লিটন। এর আগে মিরপুরে দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও খালি হাতে ফেরেন তিনি।  

ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এই প্রথমবার পরপর দুই ম্যাচে শূন্য রানে আউট হলেন লিটন।  

প্রথম ম্যাচে করা ৭ রান এই সিরিজে লিটনের সাকুল্য সংগ্রহ। মিরপুরে ওই ম্যাচে ক্রিস ওকসের বলে মিড উইকেট দিয়ে দারুণ একটি ছক্কা মেরেছিলেন স্টাইলিশ ওপেনার। কিন্তু পরের বলেই এলবিডব্লিউ হয়ে যান।  

শেষ ম্যাচের মতো দ্বিতীয়টিতেও কারানের বলে আউট হন লিটন। ৩২৭ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় প্রথম বলেই স্কয়ার ড্রাইভের মতো খেলেন তিনি। কিন্তু ব্যাটে-বলে ঠিক সংযোগ হয়নি। সহজ ক্যাচ নেন পয়েন্টে দাঁড়ানো জেসন রয়। যা ছিল লিটনের ক্যারিয়ারের প্রথম ‘গোল্ডেন’ ডাক। 

ওয়ানডেতে এর চেয়ে বাজে সিরিজ কাটিয়েছেন আগে কেবল তিনি একবারই। ২০১৯ সালে নিউ জিল্যান্ড সফরে তিন ওয়ানডেতে করেছিলেন স্রেফ ৩ রা। ওই সিরিজে তিন ম্যাচের প্রতিটিতে ১ রান করে আউট হন তিনি। 

এই দুটি ছাড়া আর কোনো সিরিজে ২০ রানের কম করেননি তিনি। 

নিউ জিল্যান্ড সফরের ওই তিন ম্যাচে ১৬ বল খেলেন লিটন। এবার তিনি খেলতে পেরেছেন ১৯ বল। আর কোনো সিরিজে ২০ বলের কম খেলেননি। 

এই নিয়ে টানা দুটি সিরিজে প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হলেন লিটন। আগের সিরিজে ভারতের বিপক্ষেও কোনো ফিফটি ছিল না তার। ওই সিরিজে ৩ ম্যাচ মিলিয়ে রান করেছিলেন ৭৭। 

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এই সিরিজে প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি লিটনের উদ্বোধনী জুটির সঙ্গী বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবালও। তিন ম্যাচে তার স্কোর ২৩, ৩৫ ও ১১। দুই ওপেনারের টানা ব্যর্থতায় ভুগতে হয়েছে দলকেও।