২২৩ রানের লক্ষ্যে ছোটা রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে ২২১ রানে থামিয়ে দিয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স।
Published : 21 Apr 2024, 08:41 PM
রোমাঞ্চের নানা অলিগলি পেরিয়ে ম্যাচ গড়াল শেষ ওভারে। সেখানেও উত্তেজনা উঠল তুঙ্গে। শেষ ৬ বলে ২১ রানের প্রয়োজনে মিচেল স্টার্কের প্রথম চার ডেলিভারিতে তিন ছক্কা হাঁকালেন কার্ন শার্মা, ম্যাচ হেলে পড়ল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর দিকে। এরপর, আবার নতুন বাঁক। পরের বলে দারুণ ফিরতি ক্যাচ নিলেন স্টার্ক। আর শেষ বলে লকি ফার্গুসনকে দারুণ নৈপুণ্যে রান আউট করে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে অবিশ্বাস্য এক জয় এনে দিলেন ফিল সল্ট।
ঘরের মাঠ ইডেন গার্ডেন্সে রোববার রোমাঞ্চ-উত্তেজনায় ঠাসা ম্যাচে ১ রানে জিতেছে কলকাতা। আগে ব্যাটিং করে ৬ উইকেটে ২২২ রান করে স্বাগতিকরা। লক্ষ্য তাড়ায় ২২১ রানে থামে বেঙ্গালুরু।
আইপিএলে এটাই কলকাতার সবচেয়ে কম রানে জয়। এর আগে ২০১৪ সালে বেঙ্গালুরু ও ২০২০ সালে পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে ২ রানে জিতেছিল তারা।
আর বেঙ্গালুরু এর আগে কখনও এত কম রানে হারেনি, কলকাতার বিপক্ষে ২০১৪ সালে ২ রানে হেরেছিল তারা।
হারের ম্যাচে অবশ্য একটি কীর্তি গড়েছে বেঙ্গালুরু। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে অলআউট হওয়া দলের মধ্যে সবচেয়ে বেশির রানের রেকর্ড তাদের। এই তালিকায় আগের সর্বোচ্চ ছিল ২০১৮ সালে শ্রীলঙ্কা আর্মি স্পোর্টিং ক্লাবের করা ২১৮ রান।
পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়ায় ৩৫ রানে ভিরাট কোহলি ও ফাফ দু প্লেসিকে হারিয়ে ফেলে বেঙ্গালুরু। এরপর দলকে এগিয়ে নেন উইল জ্যাকস ও রাজাত পাতিদার। ৪৮ বলে ১০২ রানের বিধ্বংসী জুটি গড়েন তারা।
দুজনেই করেন ফিফটি। ৫ ছক্কা ও চারটি চারে ৩২ বলে ৫৫ রান করেন জ্যাকস। ৫ ছক্কা ও ৩ চারে ২৩ বলে ৫২ রানের খুনে ইনিংস খেলেন পাতিদার। তাদের দুজনকে এক ওভারে ফিরিয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন আন্দ্রে রাসেল।
পরের ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের আরেক ক্রিকেটার সুনিল নারাইনের শিকার হন ক্যামেরন গ্রিন ও মাহিপাল লমরোর। ১৮ রানে ৪ উইকেট হারানো দলকে পথ হারাতে দেননি দিনেশ কার্তিক ও সুয়াশ প্রাভুদেশাই। এই দুজনের বিদায়ের পর শেষ ওভারে কার্ন শার্মার ঝড়ে জয়ের আশায় ছিল বেঙ্গালুরু। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জয়ের হাসি ফোটে কলকাতার মুখেই।
এদিন টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা কলকাতাকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন সল্ট। ৩ ছক্কা ও ৭ চারে ১৪ বলে ৪৮ রান করেন ইংলিশ এই ওপেনার। নারাইন, রাঘুভানশি ও ভেঙ্কাটেশ আইয়ার পারেননি টিকতে।
রিংকু সিংকে নিয়ে দলের রান বাড়ান শ্রেয়াস আইয়ার। ১৬ বলে ২৪ রান করে ফেরেন রিংকু। দলের হয়ে একমাত্র ফিফটি করেন অধিনায়ক শ্রেয়াস। ১ ছক্কা ও ৭ চারে ৩৬ বলে ঠিক ৫০ রান করেন তিনি।
আন্দ্রে রাসেল ২০ বলে ২৭ ও রামানদিপ সিং ৯ বলে ২৪ রান করে কলকাতাকে এনে দেন বিশাল পুঁজি। পরে তারাই পায় অসাধারণ এক জয়ের স্বাদ।