পিএসএলে রিজওয়ানের প্রথম সেঞ্চুরির ইনিংসটি ভালো লাগেনি নিউ জিল্যান্ডের সাবেক এই পেসারের।
Published : 23 Feb 2023, 06:35 PM
টি-টোয়েন্টির মারকাটারি ক্রিকেটে মোহাম্মদ রিজওয়ানকে প্রায়ই দেখা যায় মন্থর পায়ে এগোতে। পাকিস্তান সুপার লিগে নিজের প্রথম সেঞ্চুরিটিও করেন তিনি একই পথে হেঁটে। শতকের দেখা পেলেও পাকিস্তান তারকার ব্যাটিংয়ের ধরন একদমই পছন্দ হয়নি নিউ জিল্যান্ডের সাবেক পেসার সাইমন ডুলের।
পিএসএলে বুধবার করাচি কিংসের বিপক্ষে মুলতান সুলতান্সের হয়ে ১১০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন রিজওয়ান। ৬৪ বলের ইনিংসটি সাজান তিনি ৪ ছক্কা ও ১০ চারে।
এই ইনিংসের শুরুতে বলে-বলে রান করেন করেন রিজওয়ান। ৬ ওভার শেষে মুলতানের রান যখন ৫০, রিজওয়ানের ১৫ বলে ১৫। ১০ ওভার শেষে তার রান ছিল ২৮ বলে ৩৩। ইনিংস শুরু করতে নেমে তিনি ফিফটি স্পর্শ করেন চতুর্দশ ওভারে, ৪২ বলে।
চলতি পিএসএলে ধারাভাষ্যের দায়িত্ব পালন করছেন ডুল। করাচি-মুলতানের এই ম্যাচেও ধারাভাষ্য কক্ষে ছিলেন তিনি। তখনই রিজওয়ানের এমন ব্যাটিং দেখে বিরক্তি ঝরে তার কণ্ঠে।
রাইলি রুশো, ডেভিড মিলার, কাইরন পোলার্ডদের মতো বিধ্বংসী ব্যাটসম্যানদের নিয়ে গড়া দলে রিজওয়ানের মন্থর ব্যাটিং মেনেই নিতে পারছেন না ডুল। এক পর্যায়ে তো মুলতান অধিনায়ককে মাঠ ছেড়ে উঠে যাওয়ার পরামর্শও দেন তিনি।
“বলতে খারাপ লাগছে, কিন্তু সে তার মতো খেলা চালিয়ে যাচ্ছে। এখনও আক্রমণাত্মক অনেক ব্যাটসম্যান ক্রিজে আসতে বাকি, আর এ সময় সে মাত্র ১০৯ স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করছে।”
“মাঠে ছেড়ে যাও, অধিনায়ক। তুমি দলের নেতা, দলের জন্য সঠিক কাজটাই করো। তুমি দ্রুততার সঙ্গে দুই রান নিতে পারছ না। অন্য প্রান্তের সতীর্থকে মোটেও সহায়তা করতে পারছ না। চলে যাও, চিকিৎসা নাও, তোমার যা করণীয় করেছ।”
পঞ্চাশের পর অবশ্য রানের গতি বাড়ান রিজওয়ান। খুনে ব্যাটিংয়ে ৬০ বলে করেন টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। পঞ্চাশ থেকে শতক ছুঁতে স্রেফ ১৮ বল লাগে ডানহাতি এই ব্যাটসম্যানের।
রিজওয়ানের সেঞ্চুরি ও শান মাসুদের ফিফটির সৌজন্যে ১৯৬ রানের পুঁজি গড়ে মুলতান। জেমস ভিন্স, ইমাদ ওয়াসিমের ঝড়ে লক্ষ্যের খুব কাছে পৌঁছে যায় করাচি। মুলতান জেতে কেবল ৩ রানে।
সেঞ্চুরি করলেও রিজওয়ানের ইনিংস মনে ধরেনি ডুলের। তার মতে, এমন শতক হতে পারেন দলের হারের কারণ।
“বাজে সেঞ্চুরি বলতে কিছু নেই। কিন্তু এমন কিছু শতক আছে যেগুলো দলের হারের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ইনিংসের শুরুতে রিজওয়ান যে বলগুলো নষ্ট করেছে, সেগুলো আরও ভালোভাবে কাজে লাগাতে পারত।”